আপনার প্রিয় এই তারকারাও ভেগান (পর্ব ২)
‘প্রাণীরা খাদ্য নয়, বরং মানুষের মতোই আলাদা এক সত্তা।’
এই চিন্তাধারা থেকে ১৯৪৪ সালে ডোনাল্ড ওয়াটসনের হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ভেগানিজমের যাত্রা। ধীরে ধীরে ভেগানিজমকে অনেকেই গ্রহণ করেছেন জীবনযাপনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে। গত দশকের শুরুতে নতুন করে ট্রেন্ড হয়ে ওঠে ভেগানিজম। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে অনেকেই নিজেদের জীবন থেকে সরিয়ে রেখেছেন প্রাণিজ খাদ্য। এই তালিকায় আপনার অনেক প্রিয় তারকাও আছে, যাঁরা ভেগান। দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে আরও আট ভেগান তারকাকে চিনে নিন।
৬. ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ আর ‘শার্লক হোমস’ও ভেগান
ব্যক্তিগত জীবন যতটা সম্ভব আড়ালে রাখার চেষ্টাই করেন ৪৭ বছর বয়সী অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। ২০১৮ সালে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ সিনেমার প্রমোশনের সময় সামনে আসে তাঁর ভেগান জীবনযাপনের কথা। যদিও ‘শার্লক হোমস’, ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’খ্যাত তারকা কবে থেকে ভেগান হয়েছেন, জানা সম্ভব হয়নি।
৭. স্যাডি সিঙ্ককে উদ্বুদ্ধ করেন উডি
এই ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ তারকাকে ভেগানিজমে উদ্বুদ্ধ করেছেন উডি হ্যারেলসন। ২০১৬ সালে ‘দ্য গ্লাস ক্যাসল’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় উডির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেখানে হ্যারেলসনের জীবনযাপন তাঁর মনে দাগ কেটে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় স্যাডির ভেগানিজম যাত্রা।
৮. জেসিকা চ্যাস্টেইনকে অনুপ্রাণিত করেন তাঁর এক বন্ধু
প্রায় ১৫ বছর নিরামিষভোজী ছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে এক বন্ধুকে ভেগান ডায়েট করতে দেখে তাঁর মধ্যেও আগ্রহ জন্মায়। সেখান থেকে শুরু, গত পাঁচ বছর ধরে ভেগান জীবন যাপন করছেন তিনি। এমনকি যুক্ত হয়েছেন ‘বিয়ন্ড মিট’ নামক উদ্ভিদজাতীয় খাদ্য কোম্পানির সঙ্গে।
৯. জ্যারেড লেটোর পছন্দ বাংলাদেশের ছোলার ডাল
ভেগানিজম জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকে ভেগান, এমন তারকাদের তালিকার আরেক গুরুত্বপূর্ণ নাম জ্যারেড লেটো। ২০ বছর ধরে ভেগান জীবন যাপন করে আসছেন এই অস্কারজয়ী তারকা। বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূরের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে জ্যারেড জানান, তিনি এখানকার ছোলার ডাল রান্নার ভক্ত।
১০. টুইটারে ঘোষণা দিয়ে ভেগান আরিয়ানা গ্রান্ডে
২০১৩ সালে টুইটারে একপ্রকার ঘোষণা দিয়েই ভেগানিজমে নাম লেখান আরিয়ানা গ্রান্ডে। ছোটবেলা থেকেই যতটা পারতেন মাছ-মাংস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতেন আরিয়ানা। আর ২০১৩ সালে এসে শতভাগ ভেগান জীবন যাপন শুরু করেন।
১১. বিলি আইলিশের বাসায় আগে থেকেই মাছ–মাংস নিষিদ্ধ
বিলি আইলিশ বড় হয়েছেন নিরামিষভোজী হিসেবেই। তাঁর বাসায় ছোটবেলা থেকেই মাছ-মাংস নিষিদ্ধ ছিল। ১৬ বছর বয়সে এসে নিরামিষভোজী থেকে পাকাপাকিভাবে ভেগান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিলি।
১২. রেসিং ড্রাইভার লুইস হ্যামিলটনও ভেগান
সাতবারের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন ব্রিটিশ রেসিং ড্রাইভার লুইস হ্যামিলটন ২০১৭ সাল থেকে পুরোপুরি ভেগান বনে যান। এর আগে কিছুদিন ভেজিটেরিয়ান থাকলেও পাঁচ বছর ধরে পুরোপুরি ভেগান জীবন যাপন করছেন তিনি। এমনকি কিছুদিন আগে ‘নিট বার্গার’ নামে একটি ভেগান বার্গার রেস্তোরাঁও তৈরি করেছেন। যেখানে শুধু উদ্ভিদজাতীয় খাবার পরিবেশিত হয়ে থাকে।
১৩. ডাক্তারের পরামর্শে ভেগান ভেনাস উইলিয়ামস
টেনিস তারকা ভেনাস উইলিয়ামস ভেগানিজমে পা দেন ২০১১ সালে। সে বছর তাঁর শরীরে বিরল এক রোগ ধরা পড়ে, যে কারণে ডাক্তার তাঁকে পরামর্শ দেন সকল প্রকার প্রাণিজ আমিষ ত্যাগ করতে। তখন থেকেই ভেগান জীবন যাপন করছেন তিনি।