আম গাছপাকা না রাসায়নিকে পাকানো, কী করে বুঝবেন

আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে ঘ্রাণ নিন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আম হলে গন্ধ থাকবে না, কিংবা গন্ধ হবে বাজে।

বাজার, সুপারশপ আর ঠেলাগাড়ির ওপর এখন থরে থরে সাজানো আম। একটাই মুশকিল, বোঝার উপায় নেই, কোনটা গাছপাকা আর কোনটা রাসায়নিকে পাকানো। আসলেই কি নেই? কৃষিবিদ ও লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় জানান, আমে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে কি না, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।

কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা, আমগুলো কাঁচা অবস্থায়ই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।

ফরমালিনযুক্ত আমে মাছি বসে না
ছবি: নকশা

গাছপাকা আমের ত্বকে রঙের ভিন্নতা থাকবে। গোড়ার দিকে গাঢ় রং হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কার্বাইড দেওয়া আমের রং সুষমভাবে হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেওয়া হলে সাদাটে হয়ে যায়। হিমসাগর ছাড়া আরও কিছু জাতের আম আছে, যেগুলো পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু খেতে অত্যন্ত মিষ্টি হয়।

আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে ঘ্রাণ নিন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আম হলে গন্ধ থাকবে না, কিংবা গন্ধ হবে বাজে।

আম মুখে দেওয়ার পর যদি দেখেন কোনো সৌরভ নেই কিংবা আমে টক বা মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, বুঝবেন আমে রাসায়নিক দেওয়া হয়েছে। হরমোন দিয়ে পাকানো আমে কচকচে ভাব থেকে যায়।

আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে গন্ধে চারপাশ ম ম করবে। ওষুধ দেওয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবে না।

কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন
ছবি: নকশা

দেখতে হবে যে আমের গায়ে মাছি বসছে কি না। ফরমালিনযুক্ত আমে মাছি বসে না। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ভালো আম পেতে চাইলে ফলের মৌসুমে আম কিনতে হবে। মৌসুমের আগে ফল কেনা থেকে বিরত থাকুন। আম পাড়ার দিন সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়। তাই আম কেনার আগে সময় জেনে নিন।