জনপ্রিয়তায় শীর্ষে বাংলাদেশি কিশোয়ার

এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে নিচের তিনে থাকলেও দর্শক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী।

বিচারক ও বিশিষ্ট শেফ জক জনফ্রিলোর সঙ্গে কথোপকথন

‘টানবার যে সে না টানলে, লাভ নাই কোনো কানলে’, প্রবাদটির মতোই টানাটানির কাছে কুপোকাত হতে হয়েছে কিশোয়ারকে। গতকাল মঙ্গলবার রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম পর্ব প্রচারিত হয়। আর এতে দেখা যায়, প্রতিযোগিতার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র কিছুক্ষণ আগে কিশোয়ারের রান্নার একটি উপকরণ আটকে যায় ছাঁচের মধ্যে।

সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা

কিশোয়ার যতই টানাটানি-ঝাঁকাঝাঁকি করেন না কেন, সেই ছাঁচ থেকে কিছুতেই বের হয়নি সে উপকরণটি। ফলে অসমাপ্ত থেকে যায় তাঁর রান্না। তবে এমন টানাহেঁচড়ার গ্যাঁড়াকলে পড়া প্রতিযোগী কিশোয়ার একা ছিলেন না, বরং আরও দুজন একই সমস্যার মুখে পড়েন। শেষ অবধি অবশ্য বিচারকদের রায়ে মাজা ভেইত নামের প্রতিযোগী বাদ পড়েন প্রতিযোগিতা থেকে। এ যাত্রায় বেঁচে যান কিশোয়ার।

এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে নিচের তিনে থাকলেও দর্শক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী। সেরা ২৪ জনকে নিয়ে শুরু রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার এবারের আসরে প্রতিযোগী তিনি। মোট পাঁচটি প্রচারিত বাছাই পর্বের মধ্যে ইতিমধ্যে পাঁচজন বাদ পড়েছেন প্রতিযোগিতা থেকে।

গরুর মাংসের প্যাটিস, তেঁতুল ও টমোটের চাটনি আর কামরাঙ্গার সালাদ

এদিকে বাংলাদেশি খাবারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা কিশোয়ার জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। প্রতিযোগী হিসেবে সর্বাধিক ভক্তের সংখ্যাও রয়েছে কিশোয়ারের ঝুলিতে। বিদেশে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে উঠেও মা–বাবা কাছে শেখা বাংলাদেশি খাবারের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ইতিমধ্যে বিচারকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে।

শুধু নিয়মিত বিচারক নন, প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে কিশোয়ারের তৈরি বাংলাদেশি খাবার। প্রতিযোগিতার একটি পর্বে বিখ্যাত রাঁধুনি পোহ লিং ইয়াওসহ অন্য অতিথিদের প্রত্যেক প্রতিযোগীকে এমন একটি খাবার রান্না করে দেখাতে হয়েছিল, যা তাঁরা তাঁদের রেস্টুরেন্টের মেনুতে রাখতে চাইবেন। কিশোয়ার সেখানে বাংলাদেশি গরুর মাংসের পেটিস রান্না তৈরি করেছিলেন। কিশোয়ারের এ খাবার দারুণ পছন্দ করেন পোহ লিং ইয়াও।

সতীর্থদের সঙ্গে

প্রতিযোগিতায় কিশোয়ার সব সময় চেষ্টা করেন ঘরে তৈরি করা যায়, এমন বাংলাদেশি খাবার রান্না করার। তবে ঘরের খাবারগুলো খেতে সুস্বাদু হলেও প্রতিযোগিতায় উপস্থাপনের মতো আকর্ষণীয় নয় বলে শঙ্কিত ছিলেন কিশোয়ার। তবে তাঁর রান্না করা পরপর দুটি রেসিপিই মনে ধরেছে বিচারকদের।

ছবি: কিশোয়ার চৌধুরীর ইনস্টগ্রাম হ্যান্ডল