নতুন আঙ্গিকে শুরু খাজানার মেহমানদারি

উষ্ণ আতিথিয়েতা দেবে আন্তরিক অন্দর

ভারতীয় রসনার সমৃদ্ধ সম্ভার নিয়ে দুই দশক আগে শুরু হয়েছিল খাজানা। নানা দেশে রাজকীয় রসনার ক্যারাভান নিয়ে হাজির হয়েছে খাজানা। বাংলাদেশে খাজানার উপস্থিতি ভারতীয় রসনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপনার অভিপ্রায়ে। দীর্ঘ রসনাপরিক্রমায় সেই মান বজায় রাখার পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন নতুন পদ। বাংলাদেশেও অব্যাহত রয়েছে খাজানার ফাইন ডাইনিংয়ের সেই ধারা।

নানা পদ জিবে আনবে জল

করোনাক্রান্তিতে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর নতুন আঙ্গিকে বৃহত্তর পরিসরে পুনরায় শুরু হয়েছে এই রেস্তোরাঁর মেহমানদারি। গুলশান দুইয়ের ৫৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়িই এখন খাজানার নতুন ঠিকানা। ১০ মার্চ দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে অতিথিদের জন্য।
দোতলা বাড়িটিকে সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় করে।

অতিথিরা মুগ্ধ হবেন এর অন্দরসজ্জায়। প্রতিটি রুমের ইন্টেরিয়র দৃষ্টি কাড়বে। পান্নার মনকাড়া সবুজ খাজানার ব্র্যান্ড কালার। এর সঙ্গে মিলিয়ে অন্য রঙের উপস্থিতি অন্দরের আবহকে দিয়েছে বিশেষ নান্দনিক মাত্রা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আসবাব নকশা, আলোর অনিন্দ্য ব্যবহার আর দৃষ্টিনন্দন চিত্রকর্ম। অন্দর ও বাইরের সজ্জায় স্পষ্ট আধুনিকতার সঙ্গে রাজকীয়তার সম্মিলন।

অন্দরসজ্জায় আধুনিকতার সঙ্গী হয়েছে রাজকীয় ঐতিহ্য

আট হাজার বর্গফুটের বিশাল পরিসরে ব্যাঙ্কোয়েট হল ছাড়াও আছে তিনটি প্রাইভেট ডাইনিং রুম। ব্যাঙ্কোয়েট হলে বড় অনুষ্ঠান করার সব বন্দোবস্ত রয়েছে। অন্যদিকে প্রাইভেট ডাইনিং রুমগুলোতে পরিবার-পরিজন আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রসনাবিলাসের সঙ্গে মেতে ওঠা যাবে গল্প আর আড্ডায়। তেমনি সেরে ফেলা যাবে করপোরেট মিটিংও।

কেবল মুখরোচক পদ নয়, বরং প্রতিটি পদের উপস্থাপনাতেও সব সময় জোর দেওয়া হয় বলেই খাজানার পরিবেশন আকর্ষক। ভারতীয় খাবারের বনেদিয়ানা আর পরম্পরা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বৈচিত্র্যময় সব ক্যুজিন শুরু থেকেই ঢাকার রসনাপ্রিয়দের দেওয়ার যে চেষ্টা খাজানা করে আসছে, তা অব্যাহত থাকবে উষ্ণ আতিথেয়তার পাশাপাশি, নিশ্চিত করেছেন খাজানার প্রধান নির্বাহী অভিষেক সিনহা।

আলোর ব্যবহার মন কাড়বে

খাজানার নিচতলায় রয়েছে মিষ্টি ও স্ন্যাকের জন্য পৃথক কর্নার। এ ছাড়া উভয় তলায় রয়েছে অতিথিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। খাজানার বিশেষ রিক্রিয়েশন জোনটাও ভালো লাগবে যে কারও। খোলা আকাশের নিচে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সঙ্গে জিবে জল আনা পদ হলে তো কথাই নেই। মেতে ওঠা যাবে সবান্ধব আড্ডায়।

এবার আরও সংযোজিত হয়েছে লাইভ কিচেন। অভিষেক মনে করেন, এটাই এখন খাজানার অতিথিদের কাছে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠবে। নিজের অর্ডার করা ডিস তৈরির প্রক্রিয়াটাও দেখা যাবে স্বচক্ষে। তিনি আরও জানালেন, বিভিন্ন পদের সংযোজনে কেবল রসনাবিলাসকেই ঋদ্ধ করা হয়নি; বরং ভারতের বিভিন্ন জনপ্রিয় পথখাবারকে নতুন মাত্রায় উপস্থাপনের প্রয়াস পেয়েছে খাজানা।

স্বাদের বৈচিত্র্যে মাতানো রসনা

একেবারে শুরু থেকেই খাজানায় আছে ভারতীয় শেফরা। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। বরং এর মেনুকে গ্রহণযোগ্য, সময়োপযোগী ও উপভোগ্য করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, বললেন অভিষেক।

এখানে এখন একসঙ্গে বসে অন্তত দেড় শ অতিথি রসনাস্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আর তাঁদের সেবা দিতে প্রস্তুত আছে জনা পঞ্চাশেক প্রশিক্ষিত কর্মী।
আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে বিশেষ আয়োজন থাকবে খাজানায়। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খাবারদাবার নিয়ে ভবিষ্যতে ফুড ফেস্টিভ্যাল করার পরিকল্পনার কথা সূচনাসন্ধ্যায় জানালেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী অভিষেক সিনহা।

ছবি: খাজানা