পাঁচ স্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড!

কিন্তু ফাস্টফুডের প্রচলিত নানা পদ যদি স্বাস্থ্যকরভাবে প্রস্তুত করা হয় তাহলে আর চিকিৎসকেরা মুটিয়ে যাওয়ার মহামারির জন্য একে দায়ী করবেন না। ছবিটি প্রতীকী।
কিন্তু ফাস্টফুডের প্রচলিত নানা পদ যদি স্বাস্থ্যকরভাবে প্রস্তুত করা হয় তাহলে আর চিকিৎসকেরা মুটিয়ে যাওয়ার মহামারির জন্য একে দায়ী করবেন না। ছবিটি প্রতীকী।

দুনিয়াজুড়ে মুটিয়ে যাওয়ার মহামারির জন্য কোন ধরনের খাবারদাবার দায়ী? যেকোনো চিকিৎসকের কাছে এ প্রশ্ন করলে তিনি হয়তো উত্তরের তালিকায়‘ফাস্টফুডকে’ ওপরের দিকেই রাখবেন। নানা দেশের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করলে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফাস্টফুডের প্রচলিত নানা পদ যদি স্বাস্থ্যকরভাবে প্রস্তুত করা হয় তাহলে? চিকিৎসকেদের উত্তরটা তখন পাল্টে যাবে।

ফ্রাইড চিকেন

স্বাস্থ্যকর ফ্রাইড চিকেন সম্ভব। অবশ্য সে জন্য আপনাকে ঘরেই এই খাবার তৈরির প্রক্রিয়াটা সযত্নে আয়ত্ত করতে হবে। মুরগির চামড়া ছাড়ানো পা ও বুকের অংশ কম চর্বিযুক্ত বাটার মিল্কে চুবিয়ে রাখুন। এরপর জলপাই তেল স্প্রে করে দিন। এরপর মচমচে করতে চাইলে এর ওপর বাদামি রুটির গুঁড়ো বা সুজি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার ওভেনে ৪৫০ ডিগ্রি তাপে মুরগির টুকরোগুলোকে বেক করে নিন।

স্যান্ডউইচ

আপনি চাইলেই নিজের ঘরেই বিকেল/সন্ধ্যার নাশতা হিসেবে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিতে পারেন। রুটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাদামি রুটি, বান বা নানও বেছে নিতে পারেন। এবার আপনার স্যান্ডউইচ মেকারের আকার অনুযায়ী প্রয়োজনে রুটি কেটে নিন। স্যান্ডউইচের পুর আগেই তৈরি করে রাখতে পারেন। সেদ্ধ করে রাখা চিকেনের কিমার সঙ্গে মেশাতে পারেন নানা রকমের সবজি। সঙ্গে রাখুন পছন্দসই সস।

পিৎজা

ঘরে বসে স্বাস্থ্যকর পিৎজা বানানোর ক্ষেত্রে এগপ্ল্যান্ট পিৎজা বা মাশরুম পিৎজা বানানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বাজারি পিৎজা সস না কিনে বাড়িতে বানানো টমেটো সস ব্যবহার করতে পারেন। ভালো মানের আঁশ চাইলে কলে ভাঙানো গমের ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে খানিকটা তিসির দানাও দিয়ে দিতে পারেন। এতে এটা দারুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ ওমেগা-থ্রি উপাদানে সমৃদ্ধ হবে।

মিল্কশেক

স্বাস্থ্যকর মিল্কশেকের জন্য হালকা মাখনের মিশ্রণটা অল্প রাখুন। এবার পছন্দমতো ভ্যানিলা, চকলেট কিংবা স্ট্রবেরির ফ্লেভার যোগ করতে পারেন। পুরোটাই সাধারণ দুধ না দিয়ে সঙ্গে খানিকটা হলেও লো-ফ্যাট মিল্ক বা ফ্যাট কমানো হয়েছে এমন দুধ মেশান। এতে করে কিছুটা ক্যালরি ও ফ্যাট কমবে এবং মিল্কশেকের প্রোটিন উপাদানের পরিমাণ বাড়বে।

চকলেট

ভালো চকলেট স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে গণ্য হলেও অতিরিক্ত খেলে আপনার কোমরের স্ফিতি হয়তো আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। খেতে হলে চকলেটের গাঢ় রঙের নানা ধরনের পদগুলো বেছে নিন। চকলেট রক্তচাপ কমিয়ে আপনার মনোযোগ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করতে পারে। মিষ্টিমুখের জন্য চকলেটের বদলে দই ও দুগ্ধজাত নানা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে চকলেট খাওয়ার নেশাও কমবে, মিষ্টির চাহিদাও মিটবে।