বন্ধুদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার

.
.

পরিবারের সবাই মিলে বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে আমরা অনেকেই যাই। কিন্তু মাসে দু-একবার এভাবে আনন্দ করতে গিয়ে বছর শেষে শরীরে কতখানি মেদ বা ওজন যোগ করা হয়ে যাচ্ছে, সে খেয়াল আছে? তাই জেনে নিন, কীভাবে রেস্তোরাঁয় বসে বা বন্ধুর নিমন্ত্রণ রক্ষা করেও নিজেকে ওজনাধিক্যের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
একটু সচেতন হলেই কিন্তু আপনি অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের ঝুঁকি থেকে নিজেকে বেশ খানিকটা বাঁচিয়ে ফেলতে পারবেন।
—প্রথমত বাইরে খেতে যাওয়ার সময় ভাবুন কোন ধরনের রেস্তোরাঁ আপনার জন্য উপযুক্ত। বুফে রেস্তোরাঁ হলে তো ভালোই, রুচি ও পছন্দমতো খাবার বেছে নেওয়া যায় সেখানে। তা না হলে চেষ্টা করুন প্রাচ্যদেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয় এমন রেস্তোরাঁ যেমন: থাই, জাপানি বা কোরীয় খাবার বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। বাঙালি এবং ভারতীয় কায়দার রেস্তোরাঁয় খারাপ নয়, তবে ফরমায়েশ দিতে হবে বেছে।
—চেষ্টা করুন প্রথম দিকে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে নানা রকমের স্যুপ, সালাদ ইত্যাদি খেয়ে নিতে। এতে পেট যেমন খানিকটা ভরে যাবে, তেমনি মস্তিষ্কও তৃপ্তি সংকেত পেতে শুরু করবে মূল ভোজ শুরুর আগেই। ফলে মস্তিষ্ক আপনাকে বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।
—ভাজা-পোড়া বা ডিপ ফ্রা ও ক্রিসপি খাবারগুলো রেখে অর্ডার দেওয়ার সময় স্টিমড, বেকড বা গ্রিলড আইটেমগুলো বেছে নিন। একই ভাবে মাংস বা চিংড়ি যাই হোক, আইটেম এমন নিন যাতে সবজি বা সালাদ মেশানো থাকে। উদাহরণ: ডুবো তেলে ভাজা চিকেন ফ্রাইয়ের বদলে নিন মিক্সড ভেজিটেবল চিকেন। এতে করে তেলচর্বি বেশ খানিকটা এড়ানো সম্ভব। ভারতীয় রেস্তোরাঁ হলে পোলাও বিরিয়ানির বদলে রুটি বা ভাত নিলে ক্ষতি কী।
—চিনিযুক্ত পানীয় বা কোমল পানীয় না নিয়ে ফলের রস, চা-কফি বা কেবল পানি অর্ডার দেওয়ার অভ্যাস রপ্ত করা ভালো। ডেজার্টের বেলায় ফলের সালাদ বা দই।
—পাতলা করে কাটা বা স্লাইস করা মাংসের আইটেম ভালো। যেমন: মাংসের স্টেক। তেমনি মুরগির রানের চেয়ে ভালো হলো বুকের মাংস। সেটা ফ্রাইয়ের বদলে গ্রিল হলে আরও ভালো। মনে রাখবেন, আপনার প্লেটের ৫০ শতাংশ হবে শাকসবজি, ২৫ শতাংশ প্রোটিন, ২৫ শতাংশ শর্করা।
—খেতে খেতে গল্পগুজব করুন, হাসিঠাট্টাও। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে খান। অনুভব করুন যে এখানে খাওয়াটাই মুখ্য নয়, মুখ্য হলো আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটানো। এই ভাবনা আপনাকে খাবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বাঁচাবে। সূত্র: হেলদি লিভিং