স্টার -ফ্রায়েড চিকেন উইথ ক্যাপসিকাম

ঝটপট রান্না হবে, আবার স্বাদেও হবে মজাদার। আর সেই পদ জিবে জল আনবে ছেলে বুড়ো সবার। তাহলে গৃহকর্ত্রীর সময়ও বাঁচবে, প্রশংসাও মিলবে। তা ছাড়া পদটি দর্শনধারীও। এমন একটি মজাদার পদ উপহার দিয়েছেন সিডনিপ্রবাসী মীর সাবিনা আক্তার

স্টার -ফ্রায়েড চিকেন উইথ ক্যাপসিকাম
ছবি: রন্ধনশিল্পী

বেশ মজাদার ও পুষ্টিকর একটি পদ। মুরগির মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। পাশাপাশি মুরগির মাংসে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

মুরগির বুকের মাংস
ছবি: অলেকসানা, পেকজেলসডটকম

রান্নায় মুরগির বুকের মাংস ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ প্রয়োজন, প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংসে থাকে ৭৪ শতাংশ পানি, ১৬৫ ক্যালরি শক্তি, ৩১ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম চর্বি, ১৪ মিগ্রা ক্যালসিয়াম, ২০ মিগ্রা ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ১৮৯ মিগ্রা ও ক্যালসিয়াম ১২ মিগ্রা।

অন্যদিকে খাবারে বাড়তি স্বাদ যোগ করতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। বাজারে সবুজ, লাল, হলুদ—এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। ক্যাপসিকামের নানা উপকারিতা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন বি, ই, কে প্রভৃতি পাওয়া যায়।

নানা রংয়ের ক্যাপসিকাম
ছবি: পেকজেলসডটকম

এখানে তিন রকমের ক্যাপসিকাম এবং মুরগির বুকের মাংস দিয়ে স্বাস্থ্যকর এই স্টার-ফ্রাই রান্না করেছি। ভীষণ সুস্বাদু এই স্টার ফ্রাই মুরগির মাংস সাদা ভাত, পোলাও, পরোটা অথবা পাস্তা ও নুডলস দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। আবার স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা এটি শুধু সালাদ দিয়ে পরিবেশন করতে পারবেন। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও বেশ পছন্দ করবে এই স্টার ফ্রায়েড চিকেন উইথ ক্যাপসিকাম।

উপকরণ

প্রয়োজনীয় উপকরণ
ছবি: রন্ধনশিল্পী

মুরগির বুকের মাংস ৭০০ গ্রাম, অলিভ অয়েল বা যে কোনো তেল ১/২ কাপ, তিলের তেল ১-২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১/২ কাপ, সয়াসস ১/৩ কাপ, টমেটো সস ৩-৪ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১/২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১/২ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, বেকিং পাউডার ১/২ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, ক্যাপসিকাম প্রয়োজনমতো, লাল পেঁয়াজ বড় ১টি, ধনেপাতা ১/২ কাপ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, রসুনের কোয়া ৫-৬টি, পেঁয়াজপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালি

প্রথমে মুরগির বুকের মাংস ১/২ ইঞ্চি করে কেটে লবণ, সয়াসস, আদা, রসুনবাটাসহ সব মসলা মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ২-৩ ঘণ্টা। (বেকিং পাউডার দিলে মাংস দ্রুত সেদ্ধ হয়)। আমি সাধারণত রাতে ম্যারিনেট করে ফ্রিজে রেখে পরের দিন রান্না করি। ক্যাপসিকাম এবং লাল পেঁয়াজ লম্বা লম্বা ফালি করে করে কেটে নিতে হবে।

একটি পাত্রে তেল দিয়ে তাতে ম্যারিনেটেড মুরগির মাংস দিয়ে হালকা করে ভেজে অন্য একটি পাত্রে তুলে রেখে ওই তেলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে তাতে ভাজা মুরগির মাংস দিয়ে নাড়িয়ে ক্যাপসিকাম এবং লাল পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। এ পর্যায়ে চুলার আঁচ মাঝারি রাখতে হবে।

একে একে টমেটো সস, রসুন, কাঁচা মরিচ এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে রান্না শেষ করতে হবে। নামানোর আগে তিলের তেল ওপর দিয়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে দিলে খুব সুন্দর একটা ঘ্রাণ হবে। পরিবেশনের সময় ভাজা তিল এবং পেঁয়াজপাতা কুচি ছিটিয়ে দিলে দেখতে সুন্দর লাগবে খেতেও দারুণ লাগবে!!

টিপস

এ রান্নাটা একটু ঝটপট করতে হয়। কারণ মুরগির বুকের মাংস ৪-৫ মিনিটে গলে যায় আর ক্যাপসিকামও দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে গলে যাবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে না