অন্তরা আজ ভালো নেই
তোকে মনে হয় ভালোবেসে ফেলেছি
প্রিয় আলো, ভালোই আছিস হয়তো। তুই আর আমি চলেছি দুটি ভিন্ন পথে। একই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। বন্ধুত্বের সম্পর্কটি কথাবন্ধুতে রূপ নিয়েছিল করোনায়। তোর সঙ্গে আমার সম্পর্কটি বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু। ভালোবাসি কি তোকে? জানি না। তবে তোকে আমার বড্ড নিজের বলেই ভাবতে ভালো লাগে।
তোকে ছেড়ে হঠাৎ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম আমি। জানি, ভীষণ অভিমান হয়েছিল তোর। কিন্তু বিশ্বাস কর; তোর থেকে দূরে থাকতে পারলেও তোকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
১৮ আগস্টের এই দিনে অধুনার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাই তোর জন্মদিনের। সৃষ্টিকর্তা সর্বদা মঙ্গল করুন তোর। হয়তো একদিন দুজনের দুটি পথ একসঙ্গে মিলে যাবে। নতুন করে বাঁচব আমরা। তখন না হয় তোকে জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলব ‘শুভ জন্মদিন লক্ষ্মীটি, ভালোবেসে যেতে চাই আজীবন।’
তোর আনন্দ, ঢাকা
অন্তরা আজ ভালো নেই
২০১৬ সাল, আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার দুই মাস আগে আমার অন্তরা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। প্রেমে পড়ার একটা বিশেষ কারণ ছিল, ওর দুই ঠোঁটের খোলা হাসি।
এভাবেই কেটে গেল প্রায় ১৫ দিন। এক ভোরে ফোন দিলাম অন্তরাকে, ফোন ব্যস্ত, এভাবেই কেটে গেল দুপুর অবধি। কখনো ফোন ব্যস্ত, কখনো বন্ধ। এভাবেই একবার ফোন রিসিভ হলো।
ফোনটা ধরার পর আমি অভিমান করলেও সে এড়িয়ে গেল।
তিন দিন আর কথা হলো না। চতুর্থ দিন বিকেলে দেখলাম রাস্তার এক পাশে আমগাছের নিচে অন্তরা একটা ছেলের সঙ্গে হাত ধরে কথা বলছে। তারপর থেকে ওর সঙ্গে আমি আর কোনো যোগাযোগ রাখিনি, ফোন নম্বরটা মুছে ফেললাম।
তারপর কেটে গেল প্রায় দুই মাস। একদিন এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, অন্তরা কার সঙ্গে যেন পালিয়েছে।
এক বছর পর শুনলাম স্বামীর সঙ্গে সন্তানসম্ভবা অন্তরার মনোমালিন্য চলছে। সন্তান জন্মগ্রহণের চার মাস পরেই অন্তরার ডিভোর্স হয়ে যায়। শিশুসন্তান আর মা-বাবার চিকিৎসার জন্য অন্তরা যোগ দিল গার্মেন্টসের চাকরিতে। শুনতে পাই, অন্তরা ভালো নেই। ভুল মানুষ কারও জীবনে সুখ এনে দিতে পারে না।
মোতাহির আহমেদ মীর-জাহান, সিলেট
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’