আকাশের মনটা আজ ভালো নেই

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

১১ বছর আগে

প্রিয় মা,

১১ বছর আগে শ্রাবণের এক রাতে তুমি চলে গেলে। কী নীরবে সেদিন তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে চিরতরে, কেউ জানতেও পারল না। চলে গিয়ে বুঝিয়ে দিলে কী ছিলে তুমি। ১১ বছর কম সময় নয়, আমরা তিন বোন এখন খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। নিহা কত বড় হয়ে গেছে, তোমার তা দেখা হলো না।

আর নিক্কন, যে বড় হওয়ার পরও তোমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে চাইত না, তুমি চলে যাওয়ার পর তোমার সব দায়িত্ব সে কাঁধে তুলে নিয়েছে। আর আমার কথা তো তুমি জানই, সারা জীবনে অপদার্থ, আমার আর মানুষ হওয়া হলো না। আমরা তিনজনই তোমাকে খুব মিস করি। তুমি আমাদের মিস করো মা? নাকি এই পৃথিবীর মানুষগুলোর মতো তুমিও খুব ব্যস্ত।

এই ১১ বছরেও তোমাকে হারানোর সেই একাকিত্ব ঘুচল না। তাই শ্রাবণ মেঘের ফাঁকে যখন তারারা উঁকি দেয়, আমি তাদের মাঝে তোমায় খুঁজি। ভালো থেকো মা। আর সময় পেলে আমাদের জন্য মেঘের গায়ে চিঠি লেখো।

নিপা, নারায়ণগঞ্জ

ছোট্ট সনি

তোকে অনেক দিন ধরে দেখিনি। হয়তো এত দিনে অনেক বড়ে হয়ে গেছিস। আমাকে তোর মনে পড়ে কি না, জানি না, তবে তোকে আমি ভুলতে পারি না। তোর অমায়িক আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব অল্প দিনের পরিচয়ে এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আগে কখনো কারও সঙ্গে হয়নি। যেদিন তুই চলে গেলি সেদিন বুঝতে পারলাম মনের কত গভীরে তুই জায়গায় করে নিয়েছিলি।

তোর ভাইয়া ডাক, দুষ্টু-মিষ্টি হাসি, খুনসুটি সবকিছু স্মৃতিপটে ভেসে উঠছিল। একসঙ্গে কাটানো সেই স্বপ্নিল দিনগুলো খুব মনে পড়ে। বিকেলে মাঠে ব্যাট–বল অনুশীলন করে সন্ধ্যায় আমার পাশে বসে সফলতা-ব্যর্থতার ফিরিস্তি তুলে ধরতি। বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতি। আর আমি তোর মাথায় হাত বুলিয়ে, গাল টেনে আশ্বাস দিতাম, চালিয়ে যা। সময়ের স্রোতে কোথায় যে হারিয়ে গেল রঙিন দিনগুলো।

ইলিয়াছ আখন্দ, নন্দীগ্রাম, বগুড়া

আকাশের মনটা আজ ভালো নেই

আকাশের মনটা আজ খুব খারাপ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কোনোভাবেই তার মনটা ভালো যাচ্ছে না। সকাল থেকে খুব মুখ কালো করে বসেছিল, তারপর সে কী কান্না! সারা দিন ধরে গুমরে গুমরে জোরে, মাঝারিভাবে কাঁদল সে।

এই আকাশের সঙ্গে আমারও অনেক মিল আছে, প্রায় দিন মন খারাপ হলে সেদিন আর মনটা ভালো হয় না আমার। কোথায় জানি একটা হাহাকার কাজ করে। এই হাহাকার কিসের জন্য? কাউকে হারানোর ভয়ে নাকি কোনো কিছু না পাওয়ার বেদনায়।

শরীফ ইমরান, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’