লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’
বন্দী খামের চিঠি
হৃদয়পটে হাজারো স্মৃতি আমাকে রোজ খাবলে খায়, রক্তাক্ত করে। মনবাক্সের ভেতরকার চিঠির রঙিন খামগুলো নোনা জলে ফিকে হয়। কত চিঠি লিখি তোমার কাছে পাঠাব বলে। কিন্তু তা কেবল মরিচা ধরা বাক্সে বন্দী হয়। আমি জানি, তুমি থেকে থেকে আমাকে বল ‘খোকা ভাত খেয়ে নে।’ কিন্তু তারপর?
তারপর, মুখে আঁচল চেপে কাঁদো, যখন মনে পড়ে, তোমার খোকা মেসে। আমার শূন্য ঘরের শূন্যতা তোমাকে আক্রমণ করলে মুখে গুঁজে রাখা আঁচলখানা বেদনার ঘূর্ণিপাকে উড়ে যায়। পাশের বাড়ির ছেলেটা মা বলে ডাকলে, তুমি হয়তো উত্তর দাও। তারপর? তার পরেরটুকু বলতে গেলে আমার গলা ধরে, নাকে জ্বালা করে। আমি তোমায় ফোন করলে, তুমি বলো ‘ভালো আছি।’ কী দারুণ অভিনয়! আমকে বলো, বাড়ি না এসে ভালো করে পড়। কী নিদারুণ স্বার্থপরতা! ভালো থেকো। চিঠিটা হয়তো আগামী বুধবারে পৌঁছাবে (ছাপা হবে) তোমার কাছে। নয়তো রীতিমতো বন্দী হবে বাক্সে।
মো. সাইফুর রহমান, কুষ্টিয়া
আজও বলোনি ভালোবাসি
হ্যাঁ, আমিও বাস্তববাদী। আমিও বাস্তবতা বুঝি। তাই বলে কি সব বাস্তবতা ভালোবাসায় খাটানো উচিত? ভালোবাসা কোনো বাস্তবতা মানে না প্রিয়! তুমি ভয় পাও, আমিও পাই। কই, তারপরও তো আমার মন আমার মস্তিষ্ককে হার মানিয়েছে। বলব না বলব না করেও কতবার বলে ফেলেছি সেই কাঙ্ক্ষিত শব্দ, আমি তোমাকে ভালোবাসি। সামগ্রিকভাবে মানসিকতা মিললেও কেন এই একটি জায়গায় মেলে না? কেন বলতে পারো না আমিও তোমাকে ভালোবাসি? কেন এ অসহ্য ভিন্নতা?
মো. পারভেজ মোশারফ, শহিদ বুলবুল সরকারি কলেজ, পাবনা
হঠাৎ মামাবাড়ি প্রিয় হয়ে উঠেছে
ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর মামার বাড়িতে যাওয়া প্রায় ছেড়েই দিছিলাম। খুব বড় প্রয়োজন না পড়লে যেতাম না। সেদিন বড় মামার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রথম দেখি তোমাকে। বেহায়ার মতো তাকিয়েছিলাম তোমার দিকে। মুগ্ধতায় আটকে গেছিলাম তোমায়। জীবনে প্রথমবার কোনো মেয়েকে দেখে আমার এমন অনুভূতি হয়েছিল। তারপর তো শুরু হয়ে গেল নানা উঁকিঝুঁকি মেরে তোমাকে দেখার বাহানা। পরদিন অনুষ্ঠান শেষ করে তুমি চলে যাও শহরে, আমিও তোমার পেছন পেছন চলে আসি বাড়িতে। সেদিনের পর থেকে মামার বাড়িটা প্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকাল কারণে-অকারণে মামার বাড়ি যাওয়া হয়। আমি ওখানে গেলে তোমার উপস্থিতি টের পাই। আমার কেন জানি মনে হয় তুমি গুনগুন করছ বাচ্চাদের সঙ্গে, খিলখিল করে হাসছ, নিবিড়ভাবে হেঁটে যাচ্ছ। অনেক ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়। জানি, তোমার প্রিয়দের তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
সেতু জিৎ মিত্র, চট্টগ্রাম
আশায় আছি সেদিনের
তোমাকে পাওয়া আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল। তবে এটাও সত্য যে কিছু পেতে হলে বিনিময়ে কিছু দিতে হয়। আমার ক্ষেত্রে বিনিময়ের অঙ্কটা বেশ ভারী ছিল। তোমাকে ভালোবাসার জন্য আমার থেকে দূরে চলে যায় আমার মা–বাবা। শুধু তাই নয়, তোমার জন্য বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে কষ্টের জীবন বেছে নিয়েছি।
সবকিছুর পেছনে একটাই কারণ ছিল, সেটা তোমার বিশ্বাস, যেটা আমি নষ্ট করতে চাইনি। যে কারণে তোমাকেও বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। মনে রেখো, তোমাকে আমি আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি। একদিন তুমি, আমি আর আমাদের ছোট ফাজু মিলে আব্বু–আম্মুর কাছে ক্ষমা চাইব। হয়তো সেদিন আমাদের তাঁরা ক্ষমা করে দেবেন। আশায় আছি সেদিনের।
আকাশ
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’