আবার ফিরলাম স্কুলে

মনের মধ্যে হাজারো কথা জমে থাকে। আর সেগুলো ফেলে রাখি মনের বাক্সে। দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সত্যিই, অন্য রকম এক অনুভূতি হলো স্কুলে গিয়ে। দশম শ্রেণিতে পড়ি বলে প্রতিদিন ক্লাসে যাই। তবে অনেক দিন যে স্কুলে পড়ে আসছি, এবার সেই স্কুলকে নতুন মনে হলো। কেমন একটা প্রশান্তি খুঁজে পেলাম। সব পাল্টে গেছে। মাস্ক পরার জন্য সবার মুখ দেখতে পারি না, তারপরও অনেক শান্তি পেলাম মনে। আর হ্যাঁ, করোনাভাইরাসকে আমার ধন্যবাদ জানানোর আছে। এর কারণে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা ভাইরাস না এলে হতো না।

বিবি মরিয়ম

ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পিরোজপুর

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়

সুপ্রিয়া মুমতাহিনা,

তাহলে তুমি আমার অপরিচিতই রয়ে গেলে। সত্যি অনেক বেশি চেয়েছিলাম তোমাকে। তাই কষ্টও অনেক বেশি পেতে হচ্ছে। তুমি বলেছিলে, ওই ছেলে তোমাকে প্রতিদিন ১৬০–‍এর বেশি মিসডকল দিত। আর আমি তো পাগলের মতো সকাল থেকে সন্ধ্যা ৩০০‍ মিনিটের বেশি শুধু তোমাকে একবার দেখার জন্য গাধার মতো অপেক্ষা করতাম। ওটা কি বেশ কম ছিল তোমাকে পাওয়ার জন্য? ছেলেটা হয়তো তোমাকে কান্না দেখিয়েছে। কিন্তু আমার নির্ঘুম রাত আর প্রতিটি মুহূর্তের অস্থিরতা তুমি কী দেখেছিলে কখনো? ডায়েরির প্রতি পাতা জানে তোমাকে আমি কতটুকু চেয়েছিলাম। বলেছিলে, ভালো কাউকে পাব। আমি তো তোমাকে চেয়েছিলাম, তেমন তো কাউকে দেখি না। এর চেয়ে ভালো আমার চাই না। আসলেই খুব বোকা আমি। তোমাকে পাওয়ার যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। তাই বলে আমি এটা চাই না, তুমি আমার হয়ে যাও। তোমাকে ভালোবেসেছিলাম বলেই তোমার চাওয়াকে শ্রদ্ধা জানাই। ২০১৯ সালের আগস্টে জীবনের প্রথম দেখা স্বপ্নগুলো ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এসে চুরমার হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি। আসলেই লাভ সায়েন্সে হার্ট ব্রেক হয়। ভালো থেকো। আর দোয়া তোমার জন্য আমি সব সময়ই করি। ব্লক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা অবিরাম।

ইহলাম

চমেক, চট্টগ্রাম

প্রকৃতিতে রানির আগমনী বার্তা

আমার চোখে দেখা তোমার মোহিত রূপ কখনো ভুলতে পারব না। রূপময় বাংলায় সবচেয়ে মোহনীয় রূপ তোমার। যে রূপের মোহে বিমুগ্ধ আমি। তুমি প্রকৃতির রানি। মায়াবী রং ছড়িয়েছ প্রকৃতিতে। বর্ষার অবসানে মনকাড়া স্নিগ্ধ-কোমল ভালোবাসা নিয়ে নববধূবেশে প্রকৃতিতে আগমন তোমার। এরপর ধীরে ধীরে মেলে ধরো তোমার রূপের ডালি— উপরে মেঘমুক্ত নীল আকাশ, নিচে দিগন্তজোড়া ধানের সবুজ মাঠ, নদীর তীরে সাদা কাশবন, বিলের জলে ফুটে থাকা সাদা শাপলা, দিঘির কালো জল জড়িয়ে ধরে পদ্ম ও শালুক লতা।

শরতের আগমনে যেন বাংলার প্রকৃতির বুকে নতুন রঙের ছোঁয়া লাগে। প্রভাতে ধানগাছের ডগায় ঝলমলে শিশিরবিন্দু, শিউলি ফুলের সুবাস, ডাহুকের ডাক, পাখির কিচিরমিচির, নীল আকাশে মেঘ রৌদ্রের লুকোচুরি খেলা, পাল তোলা নৌকার সারি মনে আনে চনমনে ভাব। শরৎ যেন কল্পনার রঙিন ফানুস উড়ায় প্রকৃতিতে।

ইলিয়াছ আখন্দ

বাঁশবাড়িয়া, নন্দীগ্রাম, বগুড়া

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’