তুমি চাইলে সব ছেড়ে চলে আসব

মনের বাক্স

চোখের জলে বাবাকে স্মরি

হাসপাতাল থেকে যখন তুমি বাসায় এলে, সব দ্বিধা উবে গিয়ে তোমাকে নতুন করে পেয়েছিলাম, বাবা। তুমি জানো না, বাবা, অপ্তির মতো কাউকে সেদিন এত খুশি দেখিনি। গত জন্মদিনে তুমি যে পুতুলের সেট ওকে কিনে দিলে, সেদিনও এত খুশি দেখিনি ওকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে আমি পড়ছি, রনক এসে আমাকে বলল, ‘তোর বাবার চিঠি এসেছে।’ আমার মুখে একরাশ হাসি। চিঠি খুলে দেখি, আমার প্রিয় নীল রঙের হাতঘড়িটা কেনার জন্য তুমি মানিঅর্ডার করেছ। আমিও সেদিন অপ্তির মতো খুশি হয়েছিলাম।

আমার এখনো মনে পড়ে, সেই ছোট্টবেলায় আমাকে তোমার আঙুল ধরিয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলে। আমি খুব কাঁদছিলাম। তুমি আমায় সাহস দিয়ে বলেছিলে, ‘সাহসীরা কাঁদে না।’

এই একটি কথা স্মরণে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন তোমাকে কাছে না পেয়েও কষ্ট হয়নি।

বারান্দায় রাখা তোমার চেয়ার, আঙিনায় লাগানো পুঁইশাকের গাছ, তোমার হাতে লাগানো জামগাছ, তোমার চশমা—সব যেমন ছিল, তেমনই আছে। শুধু তুমি নেই, বাবা। আজ তুমি কবরে শুয়ে আছ আর আমি সেলফ কোয়ারেন্টিনে। জানালা দিয়ে বৃষ্টিতে তোমার কবরটা ভিজে যেতে দেখি, কিন্তু আমি গিয়ে তোমার কবরের পাশে বসতে পারি না।

ই এ এস এম তানভির হাসান, ঢাকা

তবু সময় যাচ্ছে কেটে

কেমন আছ তুমি? নিশ্চয় ভালো। শুনেছি, ছোট্ট একটা অনলাইন ব্যবসা শুরু করেছ তুমি। স্বামী, সন্তান আর ব্যবসা নিয়ে কী সুন্দর গোছালো তোমার সংসার। আর আমার ছোট্ট টেবিলে এখনো চাকরির বইয়ের সমাহার। জানো, তোমার সঙ্গে শেষ দেখা হওয়ার পরদিন থেকে ভীষণ রকম অগোছালো আর এলোমেলো আমি। নিজেকে ঠিকঠাক গোছাতেই পারছি না। অথচ তুমি সবকিছু তোমার মতো করে কীভাবে যেন গুছিয়ে নিতে পার।

আচ্ছা, পুরোনো দিনের মান-অভিমানে একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো এত সহজে পেছনে ফেলে কি এগিয়ে যাওয়া যায়?

তন্ময় বাড়ৈ, জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমার স্বপ্নচারিণী

বাস্তবে আপনার সঙ্গে দেখা হলেও ঘোরাঘুরি হয়নি। কেবল কয়েক মিনিট কথা হয়েছে। ওটাই ছিল শুরু। তবে শেষ নয়। কিন্তু না, শেষ হইয়াও হইল না শেষ। আজ এক অসাধারণ, অনন্য একটি স্বপ্নে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। স্বপ্নেও মানুষের এতটা কাছে যাওয়া যায়, আগে কখনো ভাবিনি। কত সুন্দর, কত স্নিগ্ধতায় মোড়ানো একটি স্বপ্ন। স্বপ্নটা কেন বাস্তবে হলো না, তা–ই ভাবছি। দীর্ঘদিন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও আপনার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, মায়া, আবেগ একবিন্দুও কমেনি। আপনি সব সময় মস্তিষ্কে আছেন বলেই হয়তো স্বপ্নে আপনার অবাধ বিচারণ। এমন স্বপ্ন বারবার আসুক। ভালো থাকবেন স্বপ্নচারিণী।

সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল

তুমি চাইলে সব ছেড়ে চলে আসব

অরি, তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিলে কেন? আমি আর পারছি না। এই চিঠি তোমার কাছে পৌঁছাবে কি না, জানি না। তবে চিঠি পেলে আমার সঙ্গে কথা বোলো, প্লিজ। বড্ড ভালোবাসি তোমাকে। তুমি চাইলে সারা জীবন তোমার ঘরনি হয়ে থাকব। সব ছেড়ে দেব। শুধু একবার বলে দেখো।

তাহিয়া

চাঁদের বুড়ি

চাঁদ দেখতে খুব ভালোবাসিস তুই। একদিন আমাকে বলছিলি যেন তোর একটা ডাকনাম দিই। আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না, কী নামে আমি ডাকব তোকে! হঠাৎ মাথায় এল চাঁদপ্রেমী মানুষটার ডাকনাম ‘চাঁদের বুড়ি’ দিলে কেমন হয়! তুই খুব হেসেছিলি শুনে। বিধিনিষেধের লম্বা এই সময়ে অনেকটা সময় কেটেছে তোর সঙ্গে সুখ-দুঃখ আর নানা ভাবনার কথা বলে। অসময়ে চায়ের লোভ জাগিয়ে দিতি তুই।

বেশ কয়েক দিন কোনো খোঁজখবরই নেই তোর! চাঁদের বুড়ি, তোর উপহারটা পাওনা (পেন্ডিং) রইল।

তানভীর, হালিশহর, চট্রগ্রাম

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’