মনের বাক্স
বিয়ে করলে অন্য কাউকে, আমায় করলে ব্লক
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
তোর দেওয়া ঘড়িটা
তোর দেওয়া ঘড়িটা আজও যত্ন করে রেখে দিয়েছি। সময় যতই গড়িয়ে যাচ্ছে ঘড়িও তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। আমারও ততই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তোর কথা যখনই মনে পড়ে তখনই বাক্স থেকে বেল্ট ছাড়া ঘড়িটা বের করে দেখি। ঘড়ির বেল্ট ছিঁড়ে গেছে রে। তবু ঘড়িটা বুকে আগলে রেখেছি। তোর দেওয়া শেষ স্মৃতিটুকু আমার বড় পাওয়া। একদিন হয়তো ঘড়িও হারিয়ে যাবে কিন্তু তুই আমার মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবি।
তোর মনে পড়ে মফস্বলের স্কুলে পড়ার সময় পরীক্ষার খাতায় আমি লুকিয়ে তোর ডাকনাম সাথী লিখে দিয়েছিলাম। সেই কারণে ইংরেজি স্যার তোকে কী বকাটাই না দিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তুই আমার কথা স্যারকে কেন বললি না আমার আজও জানা হয়নি। তুই আমাকে ভালোবাসতি বলেই হয়তো বলিসনি। তুই ভালো করেই জেনেছিলি যে, আমার নামটা স্যারকে বলে দিলে আমাকে খুব মারতেন। আমারও বিশ্বাস ছিল তুই আমার নাম বলবি না। যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস। আমি তোকে এখনো খুব ভালোবাসি।
আল-আমিন, ঢাকা
আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা
তোমার সঙ্গে আমার সেই অর্থে কোনো সম্পর্ক ছিল না। মুখ ফুটে কখনো বলোনি তুমি আমাকে ভালোবাসা কি না। শুধু কিছু অব্যক্ত বাক্যবাণে আমাকে জড়িয়ে আছ। তুমি বলেছিলে আমি তোমার সিগারেটের গন্ধ নিতে পারব কি না, আমাকে তুমি মিস করো।
ক্যাম্পাসের সেই শীতের সন্ধ্যার কথা তোমার মনে আছে? আমার হাত ধরতে চেয়েছিলে। ১০টা বছর তোমার শব্দগুলো জড়িয়ে অপেক্ষায় আছি। গত তিন বছর কখনো একবারের জন্য একটা ফোনকল বা এসএমএস দাও না। বিশ্বাস করো, আমি এখনো তোমার অপেক্ষায় আছি। আমার নিশীথ রাতে বাদলধারা হয়ে অবিরাম ঝরছ। তোমার আলোছায়ার মিছিলে আমি গোধূলি হয়ে তোমায় আবির দিতে চাই। তোমার একাকিত্বের অপূর্ণতায় আমি পূর্ণতা হতে চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চট্টগ্রাম
জীবনটা কেমন যেন
জীবন এমনই, সবারই অনেক কিছু চাওয়ার থাকে। এর মধ্যে আমার জন্য আমার চাওয়াটা খুবই সামান্য। আর এই সামান্য চাওয়াটাও পাওয়ার ক্ষেত্রে অসামান্য হয়ে ওঠে। পাওয়া না–পাওয়ার দোটানায় জীবন জরাজীর্ণ। আসলে কি জানো, জীবনটাই না কেমন। বেঁচে থাকতেও পারি না, মরে যেতেও পারি না। অথচ বেঁচে থেকেই বারবার মরি। বড় অদ্ভুত এই জীবন। তবে একটা কথা কি জানো, বেঁচে থাকাটা আর ভালো থাকাটা কেন জানি পরনির্ভরশীল বলে মনে হয়। কেউ বাঁচতে বললে প্রশ্ন এসে যায়, কেন বাঁচব? আর ভালো থাকতে বললে প্রশ্ন আসে, কিসে ভালো থাকা যায়? মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি এটাই কি জীবন? কেন জানি মনটা নিরুত্তর।
ইয়াসমিন খাতুন, সরকারি এম এম কলেজ, যশোর
আমায় করলে ব্লক
আমাদের শুরুটা ছিল বেশ রোমান্টিক। আমায় দেখতে না পেয়ে তুমি অস্থির হয়ে যেতে। আমি সত্যি কখনোই ভাবিনি আজকের মতো দিন আমাকে দেখতে হবে। শেষে তো শুধু সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে ভুল না করেও সহস্রবার তোমায় সরি বলে গেছি। আগে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও তুমি আমায় সময় দিতে। আর শেষে অযথা বলতে তুমি ব্যস্ত, কাজ আছে, ঘুমাবে। কিন্তু পরক্ষণেই যখন তোমায় কল দিতাম, দেখতাম কল ওয়েটিং। এই ওয়েটিংই আমার জীবন শেষ করে দিল। বিয়ে করলে অন্য কাউকে আর আমায় করলে ব্লক। আর আমি, শুধু আত্মহনন মহাপাপ বলে জীবন্ত লাশ হয়ে আজও তোমায় খুঁজি।
রাশেদুল, বগুড়া
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA
খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’