ভালোবাসি বলতে পারি না

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

আঁকা: তুলি

ডিসেম্বরের প্রতি

প্রিয় ব্যথিত ডিসেম্বর, তুমি কি জানো আমার হৃদয় নিংড়ানো ব্যথার কথা? এই ব্যর্থ ডিসেম্বরে আমার জন্ম। যে মাসে কুয়াশার ঝড়ে পড়া বিন্দুগুলোয় আগুন জ্বলে আর আগুনের উত্তাপে পোড়ে হৃদয়। ডিসেম্বর তুমি কি জানো, জন্মদিনে আমি এখন আর হাসতে পারি না? বুক ভারী হয়ে আসে, হৃদয় করে দুঃখবিলাস।

তুমি কি জানো, এই ব্যথা আজীবনের। এই অপেক্ষাও আজীবনের। আমি জানি, এই শুকনো পাতার মড়মড় করে পাঁজর ভাঙার শুষ্ক গল্প শুনতে বসে নেই কোনো বসন্তের কোকিল। সুদিন চাওয়া কি আমার অপরাধ? ভালো থেকো প্রতিটি ডিসেম্বর, আমার ব্যথিত হৃদয় অন্তরালে।

মইনুল ইসলাম, ঢাকা

ক্ষমা করে দিয়ো

কেউ আমার প্রেমে পড়ুক বা আমি কারও প্রেমে পড়ি—এই দুটোতেই আমার খুব ভয় ছিল। কারণ আমাকে চলতে হয় জীবন গড়ার নেশায়, পরিবারকে সুখী করার চেষ্টায়। তবু কীভাবে যেন তোমার প্রেমেই পড়ে গেছি!

এখন আমি সেটা অনুভব করি। সব সময় তোমার ভালোটাই চেয়েছিলাম। আজীবন হয়তো এটাই চাইতাম। কিন্তু তুমি এখন আছ সুন্দরের অহংকারে। তোমার অহংকারের বলি আর হতে চাই না। তোমাকে তোমার জায়গায় রেখে এ যাত্রায় ফিরে এলাম। গার্লফ্রেন্ড বলার অপরাধে মাফ চাইতে তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম একটু আগে। কিন্তু কথা বলার সুযোগ পেলাম না। তাই এই বার্তায় লিখছি, মাফ করে দিয়ো অপরাধ।

গোবিন্দ রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী

ভালোবাসি বলতে পারি না

এই বছরের ১৪ মে তোমাকে প্রথম দেখি। এরপর থেকে আমার মনে যে ভালোবাসার প্রদীপ জ্বলে উঠেছিল, তার দীপ্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তোমার প্রতি আকর্ষণ এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে প্রতিটি মুহূর্তে তোমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। তোমাকে দেখলে আমার হৃৎস্পন্দন এতটা বেড়ে যায় যে আমার পক্ষে সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। তোমাকে কিছুতেই বলতে পারি না, কোনোভাবেই বোঝাতে পারি না যে কতটা ভালোবাসি আমি তোমায়।

ওয়াহিন, তুমি কি কখনোই আমার আবেগ বুঝবে না? এখানে জানালাম আমার মনের কথা, প্লিজ পড়ে উত্তর দিয়ো।

শহিদুল ইসলাম, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

প্রিয় বান্ধবীকে খুঁজছি

প্রিয় ইমু, সেই ক্লাস নাইনে এই শহর থেকে নোয়াখালী চলে গেলি, আর ফিরে এলি না। আমার কথা কি তোর মনে পড়ে না? তুই কোথায় চলে গেলি? তুই চলে যাওয়ার পরে আমি কতটা একলা হয়ে গেছি তুই যদি জানতি। মনের বাক্স যদি পড়িস তাহলে ফিরে আয়, প্লিজ। তোর অপেক্ষায় রইলাম।

আনিকা, ময়মনসিংহ

আপনাকে পাঠ করে যেতে চাই আজীবন

লাল পরি আপনি কি জানেন, কথা বলা ময়না পাখির মতো আপনার নাম জপতে থাকি? আপনার চোখের তারায় লেখা গুচ্ছ গুচ্ছ অপ্রকাশিত শব্দ পাঠ করে আমি বিমোহিত হই। আপনার চোখ পাঠে পেয়েছি এক সমুদ্র শান্ত জলের ছোঁয়া। আপনাকে পাঠ করলে পাই খেতের পাকা ধানের গন্ধ, লাউয়ের পাতায় লেপ্টে থাকা শিশিরের মুক্তা, সেরে যায় প্রতিকারহীন অসুখ।

আপনাকে পাঠ করলে পাঠ করা হয় পুরো পৃথিবী।

সামির, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’