মনে মনে স্বপ্ন সাজাই
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
আমিই অপরাধী
মনজু, দীর্ঘ ৪০ বছর পরও তোমাকে মনের পাতা থেকে মুছতে পারিনি। চেষ্টা করি। কিন্তু যতবার চেষ্টা করি, দাগ আরও গভীর হয়। যখন কাছে আসতে চেয়েছিলে, তখন তোমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। কী অবুঝ ছিলাম আমি!
তোমার ভালোবাসার মূল্য দিতে পারিনি। পরিবার ও নিজের পছন্দের একজনের সঙ্গে ঘর করছি। সংসারের নিয়মমতো সবকিছু চলছে, যেভাবে প্রকৃতির নিয়মে সূর্য ওঠে ও ডুবে যায়। এখানে ভালোবাসা নেই, শুধুই নিয়ম রক্ষা। চলতি পথে অনেক মুখ দেখি, কিন্তু আমি যাকে দেখতে চাই, তার দেখা আজও পাইনি। তোমার বোনের সঙ্গে কালেভদ্রে দেখা হয়। তবে তুমি কোথায় আছ, কেমন আছ, জ্ঞিজ্ঞেস করতে পারি না। কারণ, আমি অপরাধী। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো, ক্যাপ্টেন।
তোমার চেনা কেউ
তোমাকে চেয়েছি আজীবন
কিচ্ছু চাইনি আমি, আজীবন তোমাকে ছাড়া। সেই চাওয়া যে পূরণ করতে পারব, সেটা ভাবিনি কখনো। এই যে আমাদের যুগল জীবন শুরু হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে, ভাবতেই আমার কেমন যেন লাগছে। একজন সফল মানুষের জীবন কেমন হয়, এখন আমি জানি। যদিও আমার সাফল্য কোনো চাকরি বা অর্থসম্পদে নয়। কিন্তু তুমি কি আমার সম্পদ নও! একজীবনে যেটুকু চেয়েছি, ১৩ আগস্ট (বিয়ের দিন) হয়তো তা পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। সত্যি বলছি ঋতু, একজীবন আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছি। ভালোবাসায় আগলে রেখো আমাকে।
সাদমান, চট্টগ্রাম
বাবা, তোমাকে বলছি
এই পৃথিবীতে তুমি আমার একটুকরো স্বর্গ। যার জন্য জীবন বাজি রাখা যায়। জীবনের সব সুখ উৎসর্গ করতে পারি, তোমার হাসিমুখের জন্য। একজীবনে যতটা ভালোবাসা তোমার প্রাপ্তি ছিল, আমি অনেক চেষ্টা করেও তা দিতে পারিনি। তাই তো প্রতিদিন তুমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর, ঘুমন্ত তোমার কাছে ক্ষমা চাই! ক্ষমা করে দিয়ো বাবা। তোমার মণি তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
এই জীবনে একটাই চাওয়া, জগতের সব সুখ-ভালোবাসা যেন তোমায় ছুঁয়ে থাকে। গতকাল ১২ আগস্ট তোমার জন্মদিন ছিল। শুভ জন্মদিন বাবা। তোমার জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দের সঙ্গে কাটুক, সুখের হাসি ভরে থাকুক জীবনময়। ভালোবাসি বাবা, তোমাকে খুব ভালোবাসি।
সুমি
মনে মনে স্বপ্ন সাজাই
কোনো এক শান্ত ভোরে বেরিয়ে পড়ব দুজনে। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির কোল ঘেঁষে কোনো এক নির্জন প্রান্তরে পৌঁছে যাব। হয়তো হাত ধরে হাঁটব কোনো এক অজানা নদীর পাড়ে। ওর পরনে থাকবে ওর সেই নীল পাঞ্জাবি আর আমি নাহয় নীলের সঙ্গে মিলিয়ে পরব শাড়ি। রোদের ঝাঁজে চোখ ঝলসে যদি যায়, বসে পড়ব বিশাল একটা গাছের ছায়ায়। কে জানে, ঘুমিয়েও যেতে পারি ওর কাঁধে মাথা রেখে। কিংবা দুজনে ভিজব ঝুম বৃষ্টিতে। ইটপাথরের চিলেকোঠায় খুঁজে নেব বৃষ্টিভেজা পাগলামিগুলো। আমাদের সঙ্গে ভিজল নাহয় ছাদের টবের ফুলগুলো, নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া সবুজ-ধূসর গাছগুলো।
নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে যেকোনো এক দিন রাতে হাঁটতে যাব আমরা। নিস্তব্ধ রাতে মৃত শহরের বুকে ঘুরে বেড়াব দুজন। চা খাব মোড়ের টংদোকানে। প্রতি রাতে যখন তুমি হাসপাতাল থেকে ফিরবে, তখন আমার জন্য বেলির মালা আনবে শাহবাগের মোড় থেকে। আমিও নাহয় রান্নাটা শিখে নেব ঠিকঠাক করে। অ্যানাটমি, ফিজিওলজির বইগুলোর মধ্যে ঠিকই সময় করে ওকে কল দেব, বরটা আমার দুপুরে ঠিকমতো খেয়েছে কি না। দুজনের আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া হাত, হঠাৎ চোখে চোখ পড়লে বোবা হাসি দিয়ে সরিয়ে নেওয়া চোখ কিংবা একসঙ্গে হেঁটে যাওয়া নিশ্চুপ মুহূর্তগুলো, ভাবতেই কেমন একটা ভালো লাগা কাজ করে, তাই না?
অপরিচিতা, ঢাকা
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’