স্বামী হিসেবে যে কাজগুলো করা যাবে না

প্রতীকী ছবিছবি: প্রথম আলো

বিয়ের পর ছেলেদেরও জীবনযাপন পাল্টে যায়। চেনা ছকে চলা গতিতে টান পড়ে। পুরোনো পৃথিবীতে এ যেন নতুন এক জীবন। ব্যাচেলর থেকে বিবাহিত হওয়ার পর এমন অনেক অভ্যাস থাকে, যা ত্যাগ করা জরুরি। তাতে স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া আরও পোক্ত হয়। নতুন সংসার ভালোবাসায় ভরপুর রাখা সহজ হয়। ফ্যামিলি লাইফ ডটকম-এর এক নিবন্ধে সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:

প্রতীকী ছবি
ছবি: প্রথম আলো

১. সারাক্ষণ স্ত্রীর পেছনে লাগবেন না। বিনা কারণে এটা-সেটা নিয়ে তাকে দোষারোপ না করে ভালোবাসুন।

২. আপনার স্ত্রী যদি গৃহিণী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তাঁর কাজকে খাটো করে দেখবেন না। আপনি হয়তো অফিস বা ব্যবসা থেকে ফিরছেন, সারা দিন তিনিও বাসার নানা কাজ সামলাচ্ছেন। নিজের কাজের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর কাজকে খাটো করে দেখা যাবে না।

৩. বাসায় ফিরে আপনি হয়তো টিভি দেখতে বসলেন। স্ত্রী যদি এমন সময় আপনাকে কোনো কথা বলেন, সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। টিভি দেখতে দেখতে ‘হ্যাঁ শুনছি’ টাইপ উত্তর দিলে আপনার স্ত্রীর মেজাজ খারাপ হতে পারে। আগে তাঁর কথাটা শুনুন, এরপর টিভি দেখুন।

৪. নিয়মিত অতিরিক্ত কাজ করা থেকে নিজেকে বের করে আনুন। পরিবার এবং কাজের মধ্যে একটা সুন্দর ভারসাম্য রেখে জীবন যাপন করুন।

৫. হঠাৎ একদিন সন্তানদের নিয়ে বসে পড়াশোনা, আচরণ বা শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা করবেন না। বরং ছোটবেলা থেকে প্রতিদিন তাকে একটু একটু করে ঠিক-ভুলের শিক্ষা দিন।

৬. স্ত্রীর কথা মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে ‘বুঝেছি’ বলা যাবে না। বরং আগে তাঁর কথা পুরো মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর নিজের কথা বলুন।

প্রতীকী ছবি
ছবি: প্রথম আলো

৭. মুঠোফোন বা বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরান। ঘুমানোর আগে স্ত্রীর দিকে তাকান। দু-চারটে কথা বলুন। নিজের আবেগ প্রকাশ করুন। তাঁকেও বুঝুন।

৮. বাড়িতে যে আপনিই কর্তা, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। বরং স্বামী-স্ত্রী দুজনের মতামতই যে একটা সংসারকে সুখের করে, সেটা ভুলে যাবেন না।

৯. স্ত্রী কোনো ভুল করলে সেটা নিয়ে সন্তানদের সামনে বা বাইরের মানুষের সামনে কথা বলবেন না। একা ডেকে কথা বলুন, যাতে সে অপমানিত না মনে করেন।

১০. স্ত্রী যদি আপনাকে বিরক্ত করেন, তাহলে তখনই রাগ না দেখিয়ে চুপ করে যান। মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুণুন। রাগ কমে এলে তারপর আলোচনা করুন।

১১. স্ত্রী বা সন্তানদের ভয় দেখাতে নিজের রাগ বা শক্তি দেখানো বন্ধ করুন। এতে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।

১২. আপনার ডিকশনারি থেকে ‘ডিভোর্স’ বা বিবাহবিচ্ছেদ কথাটা মুছে ফেলুন।

১৩. কোনো বড় জিনিস বা বেশি টাকার জিনিস কেনার আগে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুন। কিছু না জানিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে কিনে আনবেন না।

১৪. হঠাৎ পাশ দিয়ে কোনো সুন্দরী চলে গেলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন না। যদি চোখ চলেই যায় তাহলে স্ত্রী সঙ্গে থাকলে তার কাছ থেকে লুকানোর চেষ্টা করবেন না, একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার দেখার চেষ্টা করবেন না।

১৫. স্ত্রীর চেয়ে আপনার জ্ঞান বেশি, এই চিন্তা বাদ দিন। আপনি যেদিক বেশি জানেন আপনার স্ত্রী হয়তো অন্যদিকে আপনার চেয়ে বেশি জ্ঞানী। তাই নিজেকে সেরা ভাবা ঠিক না।

১৬. নিজে থেকেই স্ত্রীর কুশলাদি জেনে নিন। অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যা স্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারে, আপনার জিজ্ঞাসা তাঁকে শক্তি দেবে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: প্রথম আলো

১৭. বিয়ের পর আপনি একজনের সঙ্গে কমিটমেন্টে আছেন। তাই অন্য মেয়েদের সঙ্গে গোপনে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলা আপনার নৈতিক দায়িত্ব।

১৮. আপনার স্ত্রী বা কাছের কোনো নারী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে একা সময় কাটানো বন্ধ করুন। এমনকি এমন কারও সঙ্গে কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা থেকেও নিজেকে বিরত রাখুন, যে আলোচনা আপনার স্ত্রীর সঙ্গে করার কথা।

১৯. ফেসবুকে পুরোনো প্রেমিকাকে সার্চ করবেন না। তাঁকে স্টক করার অভ্যাস ছেড়ে দিন।

২০. বন্ধুদের সামনে নিজের স্ত্রীকে ছোট করবেন না। কোনো বিষয়ে খোঁচা দিয়ে কথা বলার অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।