প্রেমে পড়েছেন কি না, বুঝবেন কীভাবে
আপনি কি সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত, এমনকি মাঝেমধ্যে ঘুমের মধ্যেও বিশেষ একজনকে মন থেকে সরাতেই পারছেন না? তাঁর ছবি জুম করে করে দেখছেন? কোনো কাজে মন দিতে পারছেন না? তীব্র অস্থিরতায় ভুগছেন?
অভিনন্দন! আপনি প্রেমে পড়েছেন।
পৃথিবীতে যত মত আর মতপার্থক্যই থাকুক, একটা বিষয়ে সম্ভবত পৃথিবীর অনেক মানুষই একমত হবেন। সেটা হলো, প্রেমে পড়ার অনুভূতি ‘স্বর্গীয়’। এর চেয়ে সুন্দর, এর চেয়ে মধুর অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনে খুব কমই আসে। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী। সেখানে লেখা, ‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়।’ মোদ্দাকথা হলো, সঠিক মানুষের সঙ্গে প্রেম যতটা স্বর্গীয়, ভুল মানুষের সঙ্গে সেই প্রেমই হয়ে উঠে নারকীয়। তাই সঠিক মানুষের প্রেমে পড়া খুবই জরুরি। কিন্তু আপনি প্রেমে পড়েছেন কি না, বুঝবেন কীভাবে? নিচের সাতটি লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে আপনি প্রেমে পড়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই পারেন।
১. চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হয় না
ভালোবাসার মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, সে চোখের আড়াল হলেও কখনো আপনার মনের আড়াল হবে না। দূরত্ব যতই হোক, সে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের ডিএম বা মেসেঞ্জারে থাকবে। আপনার মনের ভেতর থাকবে।
২. অন্যের চেয়ে বেশি চেনেন
আপনি যদি কাউকে অন্য সবার চেয়ে ভালো চেনেন, পছন্দ–অপছন্দ জানেন, কখন কী বলবে আগাম বলে দিতে পারেন, তবে খুব সম্ভবত আপনি মানুষটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ওই মানুষটার মুড আর ‘নেক্সট মুভ’ আঁচ করতে পারা।
৩. ভবিষ্যতের আয়নায় তাঁর মুখ দেখেন
একজন বিশেষ মানুষকে নিয়ে আপনি ভবিষ্যৎ কল্পনা করছেন। ভবিষ্যতে নিজের কাল্পনিক আনন্দের মুহূর্তগুলোতে তাঁকে পাশে রাখছেন। আজ থেকে আরও কয়েক বছর পর কোনো ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে গিয়ে যদি নিজের পাশে আর কাউকে দেখতে পান, তবে আপনি তাঁকে ভালোবেসে ফেলেছেন। তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাচ্ছেন।
৪. যার পাশে থাকলে নিজেকে নিরাপদ লাগে
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অনুভূতি। এই নিরাপত্তা কেবল শারীরিক নয়, বরং মানসিকও। কারও সঙ্গে থাকার সময় যদি একা থাকার চেয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করেন, তবে আপনি অবচেতনভাবেই তাঁকে মন দিয়ে ফেলেছেন।
৫. গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়েও যখন কেউ আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
যার সঙ্গে সময় কাটাতে পারলে আপনি নাওয়া–খাওয়া থেকে শুরু করে অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যান, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ফেলে পার্ক বা রেস্টুরেন্টে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন আর বারবার ঘড়ি দেখতে থাকেন, তিনি আপনার কাছে সাধারণ কেউ নন। বরং সত্যিটা হলো, ভালো না বাসলে এত গুরুত্ব কোনো মানুষকে দেওয়া সম্ভব নয়!
৬. স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে
ভালোবাসার আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো স্পর্শ। প্লেটোনিক ভালোবাসায় কিছু মানুষ যতই গুরুত্বারোপ করুক না কেন, শরীরকে ভালোবাসাবাসি থেকে আলাদা রাখা খুবই কঠিন। ভালোবাসার মানুষের একটা আলিঙ্গনও আপনার দিনটা সহজ করে দিতে যথেষ্ট।
৭. হাসি আটকাতে পারবেন না
সময়ে–অসময়ে আপনার হেসে উঠতে ইচ্ছা করবে, বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করবে, জোছনা দেখতে দেখতে রাত পার করে দিতে ইচ্ছা করবে। রিকশা করে এমনি এমনিই ঘুরতে ইচ্ছা করবে, একসঙ্গে চা খাওয়ার জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দেবেন, তখন বুঝবেন, আপনি প্রেমে পড়েছেন!
তথ্যসূত্র: টিনভোগ