বিনা বেতনে থেকে গেলেন শুধু আপনি

বিনা বেতনে থেকে গেলেন শুধু আপনি

২০১৮ সালে আমাদের স্কুলে শিক্ষকসংকট কাটাতে বেসরকারিভাবে কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলো। কী মনে করে দুই মাসের মাথায় তাঁদের প্রত্যেককে ছাঁটাই করে দেওয়া হলো। শুধু রয়ে গেলেন আপনি। বিনা বেতনে। শুনেছিলাম, আপনি হেডস্যারকে অনুরোধ করে থেকে গিয়েছিলেন। কারণ, আপনি বাড়িতে একাই ছিলেন, আর তেমন কিছু করারও ছিল না। তারপর রয়ে গেলেন দীর্ঘ দেড় বছর।

হঠাৎ একদিন শুনলাম, আপনি চলে যাচ্ছেন, ঢাকায় ভালো একটা স্কুলে নাকি আপনার চাকরি হয়েছে।

আমরা সেদিন স্বভাবতই খুব হইচই করে ক্লাস মাথায় তুলেছিলাম। আমাদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বকলেন। ক্লাস শান্ত হওয়ার পর থমথমে গলায় বললেন, ‘চলে যাওয়ার দিনেও তোমাদের এভাবে বকাঝকা করতে আমি চাইনি।’ হোমওয়ার্ক দেখাতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ম্যাম, আপনি নাকি চলে যাবেন?’ উত্তরে ছোট একটা নিশ্বাস ফেলে মুচকি হেসে বললেন, ‘বিনা বেতনে আর কত?’

তখনো বুঝিনি আজই আপনার সঙ্গে আমার শেষ ক্লাস!

আমার ধারণা, শিক্ষকেরা কখনো শিক্ষার্থীদের ফোন ধরে না। ধরলেও খুব বিরক্তি স্বরে কথা বলে। তাই আপনার ফোন নম্বরটাও নেওয়া হয়নি।

রেখা ম্যাম, আপনি তো চলে গেলেন। পাঁচ বছর কেটে গেলেও সেই দিনটি আজও পরিষ্কার মনে আছে। থেকে যাবে সারা জীবন। অপটু হাতে হিজাব পরা গোলগাল চেহারার শান্ত স্বভাবের আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক।

কল্পনা করি, কোনো একদিন আকস্মিক আপনার সঙ্গে আমার দেখা হয়ে যাবে। দৌড়ে আপনাকে গিয়ে বলব, ‘ম্যাম, কেমন আছেন? আমাকে চিনতে পারছেন? আমি ইলমা!’

জান্নাতুল ইলমা

শৌলপাড়া, শরীয়তপুর

ফার্স্ট ইমপ্রেশন

কথায় বলে, ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ই ভালোবাসার প্রথম ও শেষ ধাপ। কাউকে পছন্দ বা অপছন্দ করতে একজন মানুষের মস্তিষ্ক মাত্র চার মিনিট সময় নেয়। তাই আপনি কারও সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের প্রথম চার মিনিটের মধ্যে চমৎকারভাবে নিজেকে উপস্থাপন করুন।

তাওসিফ খান, রংপুর

মনের বাক্সে লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’