আপনার আশপাশে ‘টক্সিক’ ব্যক্তিদের চিনবেন কীভাবে

এক বছরে প্রায় ৪০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন রুনা খান। কীভাবে কমিয়েছিলেন, জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী জানান, সবার প্রথমে তিনি জীবন থেকে ‘টক্সিক’ ব্যক্তিদের বিদায় দিয়েছেন। কেননা, এই ব্যক্তিদের কটু কথায়, নেতিবাচক আচরণে, বুলিংয়ের শিকার হয়ে তিনি ক্রমাগত হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছিলেন। আর তখন তাঁর ‘অ্যাংজাইটি ইটিং’, ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ দেখা যেত। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে ইচ্ছেমতো অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করতেন। সেই মানুষগুলোকে বিদায় জানিয়েই ডায়েট শুরু করেছিলেন রুনা।

‘টক্সিক’ মানুষগুলোকে বিদায় জানিয়েই ডায়েট শুরু করেছিলেন রুনা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কথায় বলে, আপনি আপনার আশপাশের সবচেয়ে কাছের পাঁচজন মানুষের গড়। এর মানে হলো আপনার জীবনে গুরুত্ব পাওয়া মানুষগুলো আপনার চিন্তা, জীবনসঙ্গী বাছাই, পছন্দ, অপছন্দ, রুচি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—সবকিছুতে প্রভাব ফেলে। আপনি এই মানুষগুলোর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন। এই মানুষগুলো আপনাকে ক্রমাগত পিছিয়ে দেয়। এমনকি জীবন থেকে ছিটকেও পড়তে পারেন। তাই ‘টক্সিক’ এই মানুষগুলো থেকে দূরে থাকার জন্য আপনি আগে জীবন থেকে এই মানুষগুলোকে বিদায় করুন, নিজে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

টক্সিক মানুষগুলোর সংস্পর্শে আপনি হতাশায় নিমজ্জিত হন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

১. এসব ‘টক্সিক’ মানুষদের সঙ্গে কথোপকথনের পর আপনার হালকা অনুভূত হয় না। বরং আবেগীয়ভাবে ভার ভার লাগে। আমাদের আশপাশেই রয়েছে অনেক ‘টক্সিক মানুষ’। এই মানুষদের সঙ্গে কথা বলার পর আপনার ওপর ‘নেতিবাচক এনার্জি’ ভর করে। মাঝেমধ্যে বিরক্তি, হতাশা আর রাগ আপনাকে গ্রাস করে।


২. ‘টক্সিক’ মানুষেরা সাধারণত কোনো কিছুর দায়িত্ব নিতে চায় না। যেকোনো কিছুর দায়ভার অন্যের কাঁধে চাপাতে তারা ওস্তাদ। তাদের নিজেদের দুরবস্থার জন্য আপনাকে বা অন্যদের দায়ী করে। অন্যদিকে কৃতিত্ব নিজের দিকে টেনে নেওয়ার বেলায় পটু।

‘টক্সিক’ মানুষেরা সাধারণত কোনো কিছুর দায়িত্ব নিতে চায় না। যেকোনো কিছুর দায়ভার অন্যের কাঁধে চাপাতে তারা ওস্তাদ
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৩. সমালোচনা, কথা লাগানো তাদের অবসরের প্রিয় কাজ। বিয়ের পর মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, চরিত্রের বিশ্লেষণ, নেতিবাচক চর্চা—এগুলোতে তারা কখনোই ক্লান্ত হয় না। আপনি মনে রাখবেন, আপনার কাছে অন্যের সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলছে। এর অর্থ হলো আপনার সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলতেও তাদের নীতিতে আটকাবে না।

৪. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও পিছপা হয় না তারা।

৫. আপনাকে আপনার পরিবার বা কাছের মানুষদের থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে এই টক্সিক মানুষেরা। এসব টক্সিক মানুষ আপনাকে ‘একঘরে’ করে ফেলতে পারে।

৬. এরা সহানুভূতিশীল নয়। ‘টক্সিক’ এই মানুষেরা কখনো আপনার জুতায় নিজের পা গলিয়ে আপনার অবস্থা বা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবে না। এই মানুষদের আপনি আপনার অনুভূতি বোঝাতে ব্যর্থ হবেন।