যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনাদের বিচ্ছেদ অনিবার্য

‘ম্যারেজ ইজ ওয়ার্ক’—কথাটি শুনেছেন হয়তো। কেননা দাম্পত্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিনিয়ত দুই পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালাতে হয়। আবার দাম্পত্যে নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার পরও আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, আমাদের সম্পর্ক কি ঠিক পথে এগোচ্ছে? কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে যাবেন, সম্পর্কের একমাত্র পরিণতি বিচ্ছেদ।

দাম্পত্যে নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার পরও আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, আমাদের সম্পর্ক কি ঠিক পথে এগোচ্ছে?মডেল: বাপ্পা ও জুঁই। ছবি: প্রথম আলো

কোয়ালিটি সময় না কাটানো

এর মানে হলো সঙ্গীর সঙ্গ আপনাকে আনন্দ দিচ্ছে না। এ কারণেই আপনি সঙ্গী নয়, অন্য কিছুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গীর জন্য আপনার সময় থাকছে না। আবেগপূর্ণ নির্ভরশীলতা না থাকা, শারীরিক আকর্ষণ না থাকা বা কমে যাওয়া, গভীর কথোপকথনের অভাব বিচ্ছেদের পূর্বলক্ষণ।

প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়া

আপনি যে প্রত্যাশা নিয়ে সঙ্গীকে বিয়ে করেছিলেন, সেটি না মেলা। বা বিয়ের পর চাহিদা বদলে যাওয়া। অথবা দুজন দুজনের শারীরিক, মানসিক, আবেগপূর্ণ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়া।

দুজনের ভিন্ন ভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

বেশির ভাগ বিয়ে ভাঙার অন্যতম প্রধান কারণ জীবন থেকে দুজনের চাওয়া না মেলা। দীর্ঘ মেয়াদে দুজনার পরিকল্পনায় ভিন্নতা।

আরও পড়ুন

অন্যের সামনে সঙ্গীর সমালোচনা

তৃতীয় ব্যক্তির সামনে সঙ্গীর সমালোচনার মাধ্যমে আপনি আসলে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কটাকেই অসম্মান করছেন। আর এটাও ধীরে ধীরে বিচ্ছেদ ডেকে আনতে ভূমিকা রাখে।

ক্রমাগত অভিযোগ, সব সময় ঝগড়া

সঙ্গীর সব কর্মকাণ্ডে দোষ খোঁজা, সঙ্গীকে সহ্য করতে না পারা, ক্ষমা করতে না পারা, ক্রমাগত একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুড়ে দেওয়া, এটা–সেটা নিয়ে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকাও ভালো লক্ষণ নয়।

সঙ্গীর কথা মন দিয়ে না শোনা

অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায় সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনার চর্চা বা অভ্যাসের অভাবে। এর ফলে একজন আরেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে ব্যর্থ হয়। ফলে তা সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝি বাড়ায়।

আরও পড়ুন

সঙ্গীকে বিশ্বাস, সম্মান না করা

সঙ্গীকে বিশ্বাস না করার মানে হলো আপনাদের সম্পর্কের ভিত্তিই নড়বড়ে হয়ে গেছে। সম্পর্কে সবকিছুর সঙ্গে কমবেশি আপস করা যায়, তবে সম্মানের সঙ্গে নয়। একজন আরেকজনকে সম্মান না করলে বুঝবেন সম্পর্ক আগেই শেষ হয়ে গেছে। যেটুকু টিকে আছে, তা নিতান্ত প্রয়োজনে বা লোকদেখানোর খাতিরে।

পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া

সঙ্গীকে যতভাবে অসম্মান করা সম্ভব, তার মধ্যে সবার ওপরে পরকীয়ার স্থান। বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তো দূরের কথা, কোনো সম্পর্কই রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে।

সংসারে অর্থ কোন খাতে ব্যয় হবে, তা নিয়ে ভিন্নমত

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দুজনকে একমত হতেই হবে। আর সংসারে ‘অর্থনীতি’ এমন একটা বিষয়, যে ক্ষেত্রে দুজনকে একমত হতে হয়। না হলে জটিলতা বিচ্ছেদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

অসুখী থাকা

সে যে কারণেই হোক, সঙ্গীকে নিয়ে আপনি সুখী নন, এ কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে অনিবার্য।

সূত্র: লরেন্স ল ও হাডসন ল অফিস

আরও পড়ুন