বিয়েতে একজনের বয়স অনেক বেশি হলে যেসব মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে

অনেক পরিবারই এখন সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে দেন। এতে বর–কনের কাছাকাছি বয়সে বিয়ে হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। নানা কারণে কেউ কেউ নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সীকেও বিয়ে করছেন। বিয়ের পর এমন দম্পতিরা নানা রকম মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। বেশি বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করা দম্পতিদের মানসিক চাপ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. মো. জোবায়ের মিয়া

বেশি বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করলে সামাজিক তিরষ্কার থেকেও মানসিক চাপ তৈরি হতে পারেমডেল: হামিদ ও রেহনুমা। ছবি: কবির হোসেন

যেসব দম্পতির মধ্যে একজনের তুলনায় অন্যজন বয়সে অনেক বড় হন তাদের মানসিকভাবেও নানা রকম চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। এমন দম্পতির বিয়ের পরপরই কিছু বিষয় মোকাবিলা করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দুজন মানুষের বয়সের ফারাক অনেক বেশি হলে তাঁদের চিন্তা–চেতনাতেও বিস্তর ফারাক থাকে। আর একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর থেকে সেসব বিষয় বেশি বোঝা যায়। সম্পর্কের ভেতরে ক্ষমতার অসামঞ্জস্য, সন্তান নেওয়া না–নেওয়া, যৌনজীবন, মায়া-মমতা ও স্বাস্থ্যগত টানাপোড়েন নিয়েও চ্যালেঞ্জে পড়েন তাঁরা।

এসব বিষয়ে দুজনের চিন্তা–ভাবনার ক্ষেত্রে মিল না হলে মনের ওপর সেই চাপ পড়তে থাকে। তাই এ ধরনের বিয়েতে ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ডা. মো. জোবায়ের মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশে এমন বিয়েতে নারীর বয়সটাই সাধারণত কম থাকে। সে ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স বেশি হলে আর তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম হলে মানসিক অতৃপ্তি থেকেও সংসারে দুজনের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়। হঠাৎ রেগে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, অস্থিরতা ও অবিশ্বাস তৈরি হয় এমন দম্পতিদের মধ্যে। যিনি বয়সে বড়, তিনি কিছুটা রক্ষণশীল আচরণ করেন, পক্ষান্তরে কম বয়সীদের চিন্তাচেতনা হয় আধুনিক। একজন আরেকজনকে মেনে না নিলে ধীরে ধীরে বিষয়টি প্রকট হতে থাকে।

আরও পড়ুন

এসব বিষয় থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হলো ছাড় দেওয়ার মানসিকতা। দুজনকেই বিয়ের পর নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। একইভাবে বয়সে যিনি বড় তাঁর অভিজ্ঞতা; আর যিনি ছোট, তার আধুনিক চিন্তার সমন্বয়ে সংসার সুখের করে তোলা যায়। দুজনের প্রতি দুজনের শ্রদ্ধাবোধ থাকাটা জরুরি। দম্পতির নিজেদের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন