রানির কুকুরগুলোর কী হবে

ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে বিশ্বের মানুষের যেন কৌতূহলের শেষ নেই। এমনকি রানির পোষা কুকুরগুলো নিয়েও কৌতূহল আছে। ঠিক হয়েছে রানির কর্গি জাতের দুটি কুকুরের দেখভাল করবেন রানির ছোট পুত্র, ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও তাঁর সাবেক স্ত্রী, ডাচেস অব ইয়র্ক সারা। মুইক আর স্যান্ডি নামের কুকুর দুটি রানিকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুই ২০২১ সালে উপহার দিয়েছিলেন। ওই বছর রানির ১৩ বছর ধরে পোষা প্রিয় কুকুর ভালকান মারা যায়। ভালকানের মৃত্যুতে খুব দুঃখ পেয়েছিলেন রানি।

রানির এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০২২ সালের জানুয়ারিতে
ছবি: সংগৃহীত

জীবনভর ঘোড়া আর কুকুরের প্রতি দুর্বল ছিলেন রানি। তিনি ১৮ বছর বয়স থেকে ৩০টির বেশি কর্গি জাতের কুকুর পুষেছেন। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছের এক সূত্র বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে এই কুকুরগুলো সম্পর্কে বলেন, রানির কর্গিগুলো আগের মতোই রাজপ্রাসাদের উইন্ডসর এস্টেটের রয়্যাল লজে থাকবে। আগের মতোই সব সুযোগ–সুবিধা পাবে। ডাচেসই কুকুরগুলো রানির জন্য পছন্দ করেছিলেন আর ডিউকের মাধ্যমে রানিকে উপহার দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদের পরও ডাচেস আগের মতোই রাজকীয় সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন। আর বিচ্ছেদের পরও এই দুজনের বন্ধুত্বের কথা সবাই জানেন। দুজন মিলেই তাঁদের সন্তানদের বড় করছেন। ডাচেসই কুকুরগুলো নিয়ে হাঁটতে বের হবেন। সেগুলোর সঙ্গে আনন্দময় সময়ও কাটাবেন।

এমন সিদ্ধান্তে প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও সারার দুই কন্যা বিয়েট্রিস ও ইউজেনি যারপরনাই খুশি। তাঁরা ইতিমধ্যে মুইকের নতুন নাম দিয়েছেন—ফার্গুস। এখন থেকে মুইক কেবল ফার্গুস নামেই পরিচিতি পাবে। ফার্গুস রানির এক মামার নাম, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিজ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা যান। প্রিন্স ফিলিপ যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেই সময় রানির মনোবল বাড়ানোর জন্য এই নতুন নামকরণ হয়েছিল। রানির ড্রেসার, ব্যক্তিগত সহকারী ও দীর্ঘ সময়ের বন্ধু অ্যাঞ্জেলা কেলি জানান, এই কুকুরগুলো রানির মুখে হাসি ফোটাতে পারত।

ছবিতে রানি, কার্গি ও প্রিন্স অ্যান্ড্রুর এই ছবিটি তোলা ১৯৬৬ সালে
ছবি: সংগৃহীত

১৯৪৪ সাল থেকে কুকুর পালতে শুরু করেন রানি। ১৮তম জন্মদিনে বাবা চতুর্থ জর্জের কাছ থেকে একটি কর্গি জাতের কুকুর উপহার পেয়েছিলেন। সেই শুরু। রানির কুকুরগুলোর দেখভালের জন্য একটা বড় দল আছে। কুকুরগুলোর মনের কথা বোঝার জন্য আছে পশুমনোবিদ। কুকুরগুলোকে রাজকীয় আদবকেতা শেখানোর জন্য আছে বিহেভেরিয়াল থেরাপিস্ট। আছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাবুর্চি। রানির পোষা কুকুরকে খাওয়ানো হয় স্টেক, খরগোশের রোস্ট, চিকেন। আর এই খাবারগুলো পরিবেশন করা হয় নকশা করা অভিজাত রুপার থালায়। সেগুলোর চিকিৎসার জন্যও সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত আছে চিকিৎসকদের একটি দল।