অমীমাংসিত বিচ্ছেদ

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

ভালো লাগা একটি দিন

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে আমি যেদিন নানার বাড়িতে যাই, আপনি ট্রেনে ছিলেন আমার উল্টো পাশে। আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখার ভান করে মূলত আপনাকে দেখছিলাম। আপনিও যে একটু একটু আমাকে দেখছিলেন, সেটা বুঝেছিলাম কয়েকবার চোখাচোখি হওয়ার পর।

আপনার প্রতি আমার ভালো লাগা শুরু হতেই আপনি নেমে গেলেন পার্বতীপুর স্টেশনে। আপনি যখন নেমে যাচ্ছিলেন, তখন আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চেয়েছিলাম, বলতে চেয়েছিলাম ভালোবাসি। কিন্তু এত দ্রুত আর সাহস হলো না। সেই দিনটা এখনো আমার কাছে উজ্জ্বল। আজও যখনই ট্রেনে চড়ি, সেখানেই খুঁজি ভালো লাগার সেই আপনাকে।

শেষ বিকেলের শূন্যতা

ইমু, প্রিয় ভাই আমার, তোকে অনেক ভালোবাসি। আমার আপন ছোট ভাই নেই। কিন্তু তোকে আমি সে রকমই ভাবি। যদিও সেটা তুই হয়তো বুঝতে পারিস না। কিংবা বুঝিস হয়তো, আমি ধরতে পারি না। তোকে এত ভালোবাসি বলেই তোর কোনো খারাপ দিক দেখলে আমি সহ্য করতে পারি না। তোর কোনো আচরণে কষ্ট পেলে অভিমান করি, রাগ করি, আবার ঝগড়াও করি।

তোর সঙ্গে কাটানো সময়গুলো খুব মিস করি। বিশেষ করে শেষ বিকেলে নদীর পাড়ে বসে গল্প করা, আড্ডা দেওয়ার সময়টা। ইট–পাথরের এই ব্যস্ত নগরটাতে শেষ বিকেলটা তোকে ছাড়া শূন্য মনে হয়। আবার কবে দেখা হবে আমাদের, আর নদীর পাড়ে আড্ডার আসর জমাব। অপেক্ষায় রইলাম।

জহির রায়হান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

অমীমাংসিত বিচ্ছেদ

বর্তমানে মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ থাকা সত্যেও আমাদের প্রেমটা ছিল সেকালের। আমাদের কথোপকথন হতো চিরকুটে। হঠাৎ একদিন চিরকুটের ফিরতি চিরকুট পেলাম না।

তখনই বুঝেছি তুমি রেখা টেনে দিলে অমীমাংসিত বিচ্ছেদের।

তোমাকে এখন চিরকুট দিতে পারব না বলেই মনের বাক্সে লিখে দিলাম। আমি চাই আমাদের হোক মীমাংসিত বিচ্ছেদ, অমীমাংসিত বিচ্ছেদ।

মাহমুদ নাঈম, কিশোরগঞ্জ

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’