আমার সঙ্গে আকাশ দেখবে?

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

আবার হবে কি দেখাঅলঙ্করণ: প্রথম আলো

আর কিছু চাওয়ার নেই

প্রিয়তমা,

ভুল বুঝে সেই যে অভিমান করলে, আর একবারও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করলে না, সেটা সত্যি ছিল কি না? যা–ই হোক, তুমি ভালো থেকো। শুনেছি, তোমার হবু স্বামী নাকি কুয়েতে অনেক ভালো চাকরি করে। তবে এটাও জেনে রেখো, সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবেসেছিলাম। সুখে থেকো আর এই অধমকে ঘৃণার চোখেই দেখো। এর বেশি কীই–বা চাইতে পারি বলো?

মো. অন্তর, সিরাজগঞ্জ

আর কখনো কি দেখা হবে না

কত যে দিন গড়াল আর রাত পোহাল। তবু আর তোমার দেখা মিলল না! ট্রেনের কামরায় পাশাপাশি বসে মিষ্টি কণ্ঠে আমার নামটা জিজ্ঞেস না করলেও পারতে। তাহলে আজ হয়তো তোমাকে এভাবে খুঁজতাম না। দুর্ভাগ্যবশত তোমার নামটাও জিজ্ঞেস করা হয়নি। তোমার মুখে মাস্ক ছিল। তাই হয়তো কখনো দেখা হলেও চিনব না। কিন্তু গায়ের সুগন্ধি ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছি। যদি কখনো ঢাকাগামী ট্রেনে আমাকে দেখে চিনে ফেলো, তাহলে আমার পাশের সিটে এসে বোসো। তোমার সুগন্ধি দিয়েই তোমাকে চিনে নিতে পারব আশা করি। দেখা হলে এবার নাম-ঠিকানাটাও জেনে নিতে ভুল হবে না। আমাদের কি আর কখনো এভাবে দেখা হবে, অচেনা তরুণ?

হুমায়রা, রংপুর

আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না

প্রিয় সাদাত,

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে তোমার কথা ভেবে কষ্ট লাগে। হঠাৎ বুকটা খালি খালি লাগে। কান্নাকাটি করতে ইচ্ছা করে, গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে থাকে। মধ্যরাতে গানের সুরে ডাকলেও তোমার কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। এই যে দিন যায়, রাত যায়, সব কেমন ছন্নছাড়া লাগে। জীবনানন্দ লিখেছিলেন, ‘নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।’ তোমার–আমার সম্পর্ক বোধ হয় সে রকম খসে পড়া তারার মতো। যার খবর আকাশ কখনোই রাখে না। আমার প্রচণ্ড মন খারাপের সময়ে যেমন তোমাকে ভাবি, আবার সুখের সময়েও ভাবনায় তুমি।

তুমি যে আমার বিশাল দুর্বলতার জায়গা, সেটা কি তুমি টের পাও? কখনো প্রকাশ করব না ভেবেও বারবার ভালোবাসা প্রকাশ করে ফেলি। আসলে ভালোবাসা তো লুকিয়ে রাখা যায় না। আমাদের সুসময়ে পৃথিবীর সব প্রেম ছিল আমাদের মনে। এই যে আমার সব ভালো হতে গিয়েও শেষমেশ হয় না, সেটা বুঝি কপালের ফের। এই যে জীবনটা চলে যাচ্ছে দোয়েল আর ফড়িংয়ের মতো, সেই জীবনে তোমার সঙ্গে কি আমার কখনো দেখা হবে? আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না?

মোহনা

আমার সঙ্গে আকাশ দেখবে?

প্রিয় চন্দ্রকথা,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল আড়াই বছর আগে। সেদিন কালো রঙের একটা শালে নিজেকে জড়িয়ে আমাকে কী পরিমাণ অবজ্ঞা করে চলে গেলে সুফিয়া কামাল হলে! পিছু পিছু হলের গেট পর্যন্ত গিয়েও তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তারপর অনেক দিন বাদে আবার আমাদের কথা হয়। আমরা দুজন দুজনকে নতুন করে ভালোবাসি। এরপর হঠাৎ একদিন কোনো কারণ ছাড়াই আলাদা হয়ে গেলে তুমি। তারপর অনেকবার আমি মেঘ আর জ্যোৎস্নার শহর সিলেট ছেড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। তোমার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে খুদে বার্তা দিলাম মুঠোফোনে। কিন্তু আমাদের আর দেখা হলো না। তোমার কি একবারও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে মন চায় না নুসরাত? ইচ্ছা করে না টিএসসিতে একসঙ্গে বসে কফির কাপ হাতে চাঁদ দেখতে?

দেলোয়ার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’