নাইবা হলে তুমি আমার

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

নাইবা হলে তুমি আমার

বসন্ত চলছে, তাই বলে কি শীতের বিদায়? মন যে সায় দিতে চায় না! শীত যে কত স্মৃতি জাগিয়ে রাখে মনে, পরিমাপ অযোগ্য। কুয়াশার তীব্রতা মাঝেমধ্যে ভালোবাসাকে প্রকাশ করে উজ্জ্বলভাবে। ভালোবাসা হারানো বা খুঁজে পাওয়ার গুনগুন গান যে বসন্ত আর শীতের মাঝখানেই পাওয়া যায়, সে কথা তুমি বুঝবে কবে, বলো তো? তোমাকে উদ্দেশ্য করে কত গান, কত ছন্দ লিখেছি খাতায়। ভেবেছি, তুমি দেখবে চুপিসারে।

বৃথা, তুমি হওনি আমার লুকায়িত বাক্যগুলোর একমাত্র শ্রোতা। কিন্তু তাতে কি! তুমি তো আমারই। আর আমি? হা হা হা, নাইবা হলাম তোমার। শত কল্পনা নাইবা হলো পূরণ, স্মৃতিতে তবু রহিবে আজীবন। ভালোবাসি তব রিক্ত শীতেরেই আমি।

ওয়াসীমা অর্পা, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ

তোদের দিয়েই চিনেছি নতুন পৃথিবী

বন্ধুত্বের সংজ্ঞা মানেই তোরা দুজন। প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক পাস করা পর্যন্ত বন্ধু বলতে সে রকম কেউ ছিল না। এ জন্য অবশ্য আমিই দায়ী। কারও সঙ্গে তেমন মিশতাম না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, গান, ক্রিকেট, ফুটবলের মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে আমি অপরিচিতই ছিলাম। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ওমর ফারুক আর সুমন ভৌমিকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বুঝতে পারি আসলে বন্ধুত্ব কী। আড্ডা, ঘুরতে যাওয়া, মাঝরাতেও মাঠে বসে গান গাওয়া—এগুলোর আনন্দ তো তোদের কাছ থেকেই পাওয়া। আরও বন্ধু আছে। কিন্তু সবার মধ্যে তোরা দুজন আলাদা। একযুগ পর এখনো আমাদের বন্ধন অটুট! বেঁচে থাকুক বন্ধুত্ব, বেঁচে থাকুক বন্ধুরা আজীবন।

ইকবাল হোসেন, নোয়াদিয়া উচ্চবিদ্যালয়, কাপাসিয়া, গাজীপুর

আমি তোমাকে ভালোবাসি

হ্যালো, কেমন আছো? তোমার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এক বছরের বেশি হলো তোমার সঙ্গে পরিচয়। প্রায়ই তোমাকে রাস্তায়, এদিকে-ওদিকে দেখি। আমাদের পরিচয়টাও ততটা শক্তপোক্ত নয়। তোমাকে অনেক মেসেজ দিয়েছি, কিন্তু কোনো রিপ্লাই এল না। যাক, সেসব বাদ দিলাম। তোমার সামনে এখনো আমার দাঁড়ানো হয়নি। কিন্তু মনের ভেতর একটা কথা, না বলার অপূর্ণতা ও আক্ষেপ রয়ে গেছে। তোমার চলাফেরা আমাকে খুব বিস্মিত করেছে। তাই আজ লাখ লাখ পাঠককে সাক্ষী করে বলতে চাই, অনেক ভালোবাসি তোমায়। আই লাভ ইউ খান। প্লিজ, না করে দিয়ো না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চট্টগ্রাম

অপেক্ষায় আছি

প্রিয়,

আমি মনে হয় সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। কারণ, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমার যত অভিমান, রাগ, ভালোবাসা, আনন্দ–দুঃখ—সব তোমার সঙ্গে। খুব কষ্ট হয়, যখন তুমি আমাকে ভুল বোঝো। তখন ইচ্ছে করে, তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যেতে। কিন্তু কোথায়? একমুহূর্তও তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না। আমাদের কথা খুব কম হলেও সারাক্ষণ তোমাকে চিন্তা করি। আচ্ছা রায়হান, তুমি আমাকে কেন ভালোবাসতে চাও না? তুমি যখন আমাকে একটু ভালোবাসো, খুশিতে আমার চোখে পানি চলে আসে। তোমার ব্যস্ত জীবন, সমাজ, ক্যারিয়ার আমাকে ভালোবাসতে দেয় না। তারপরও অপেক্ষায় আছি, কখন তুমি আমাকে সত্যিকারে ভালোবেসে কাছে টেনে নিয়ে যাবে।

ইতি তোমার মারিয়া

চিঠি দিয়ো প্রিয়া

তোমায় কিছু বলার ছিল চন্দ্রা। খুব বেশি কথা না। খুব ভারী কথা যে তা–ও না। বলতে পারছি না তবু। কারণ, কী বলে তোমাকে যে সম্বোধন করব, তা-ই জানা নেই। জানা নেই তোমার ভালো নাম। তুমি তো আর জানো না যে আমি তোমার নাম দিয়েছি ‘চন্দ্রা’। জানবেই–বা কী করে, সন্ধ্যাবেলা যখন তোমাদের বাড়ি যাই, তখন তো তুমি ভীষণ ব্যস্ত টেলিভিশনে কিংবা পড়াশোনায়। কিন্তু তোমার মাধ্যমিকের তো বেশ দেরি, টেক্সটবুক এত পড়তে হবে না এখনই। আচ্ছা চন্দ্রা, তুমি কি খবরের কাগজ পড়ো? প্রথম আলো? বেখেয়ালেও কি কোনো দিন চোখ পড়ে না মনের বাক্স? যদি চোখে পড়ে, তাহলে চিঠি দিয়ো। না হয় ছদ্মনামেই দিয়ো, আপত্তি নেই। প্রত্যুত্তরে লিখে দেব আমার যা কিছু বলার।

ঋয়াণ, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা

মেমরিতে এসেছে সেই ভ্রমণের ছবি

বছর চারেক আগে আমরা চারজন ঘুরতে গিয়েছিলাম পাকশী। আজ যখন ছবিগুলো দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল এই তো সেদিনের কথা। সব যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। ভোরের ট্রেনে গিয়েছিলাম আমরা। সেই তপ্ত দুপুরে স্টেশনে বসে থাকা, বিকেলে নদীর তীরে হেঁটে বেড়ানো, আরও কত কি। শত বছরের পুরোনো অথচ কী সুন্দর গৌরবে খরস্রোতা পদ্মায় দাঁড়িয়ে আছে রেলসেতুটি। নদীতে সাঁতার কেটেছি সেই প্রথম। মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু যখন সেতুর নিচে গিয়েছি, আর মাথার ওপর দিয়ে ট্রেন যাচ্ছিল, সেই অনুভূতি ছিল খুব চমৎকার। শেষ পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরেছি রাত্রে। আজ অনেক দিন পর সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ গুগলকে সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

সুইট রহমান, ইংরেজি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’