ফিরতে চাইলে এসো

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

ফিরতে চাইলে এসো

তোমার মনে আছে, কোনো এক ক্লান্ত বিকেলে ভবঘুরে আমার বিক্ষিপ্ত মন ঠাঁই খুঁজেছিল তোমার ভ্রমর কালো চোখের কাজলে। তোমার দৃষ্টি ছিল দূর আকাশের চাঁদের পানে। আমি মাটির প্রদীপ হয়ে রইলাম তোমার ভালোবাসার দ্বারে। তুমি চাঁদ ছুঁতে চাওয়ার অজুহাতে দূরে ঠেলে দিলে আমায়। আমি তবু রয়ে গেলাম প্রেম বেহায়া হয়ে। তুমি ফিরবে বলেছিলে। অকূল সমুদ্রে ডুবে যাওয়া নাবিকের মতো দূরের দিগন্ত ছোঁয়ার আশায় ছিলাম।

তুমি জানো রেজো, আমার অস্তিত্বের সবটাই তোমায় ঘিরে। বেলি ফুল ভালোবাসতে তুমি। তোমার জন্য যে বেলির চারা পুঁতেছিলাম, সেটাতে রোজ ফুল ফোটে এখন। নিজের মতো ঝরেও যায়। দেওয়ার জন্য তোমাকে শুধু খুঁজে পাই না।

কোনো এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় তোমার চাঁদ ছেড়ে মাটির প্রদীপের আলোয় ফিরতে ইচ্ছে করলে চলে এসো। আমি এক বুক ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখব।

রিফাত খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা

ভালোবাসি তোমাকেও

রোজ তো কতজনকেই দেখি! কই, সবাইকে তো ভালোবেসে ফেলি না। তাহলে, তোমাকে ভালোবাসি কেন? আমার জীবনে কোটি টাকার এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু ভিন্নভাবেই দিই।

আমার প্রতি তোমার ক্ষুদ্র আগ্রহগুলোও সবার থেকে তোমাকে আলাদা কেউ ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, তুমি আমাকে প্রতিমুহূর্তে অনুভব করো। তুমি যখন আমার দিকে তাকাও, তখন আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি। তোমার চোখ আমাকে তোমার না–বলা কথাগুলো বলে দেয়। তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার বড্ড ইচ্ছা করে। কিন্তু কী করব বলো? লোকচক্ষুর আড়ালে যে রূপকথার গল্প তোমাকে শোনাব, সেটা কি সবার সামনে বলা যায়? আচ্ছা, আমাদের ভালোবাসা কি আড়ালেই থাকবে?

সেটা শুধু তোমার ওপর নির্ভর করছে। তুমি চাইলেই কিন্তু জুড়ে দিতে পারো দুটি প্রস্ফুটিত মন। ভয় নেই, আমি তোমায় ফিরিয়ে দেব না। বরং আগলে রাখব সারা জীবন।

জান্নাতুল ফেরদৌস, কুড়িগ্রাম

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’