বাবা-ছেলে দুজনেরই পছন্দ মাশরাফি বিন মুর্তজা

>
সৈয়দ আফজালুল করিম ও তাঁর ছেলে সৈয়দ তাকশেদ করিম। ছবি: সাইফুল ইসলাম
সৈয়দ আফজালুল করিম ও তাঁর ছেলে সৈয়দ তাকশেদ করিম। ছবি: সাইফুল ইসলাম

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম। তাঁর ছেলে সৈয়দ তাকশেদ করিম। কাজ করছেন নিজের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে। আজ থাকছে এই দুই প্রজন্মের পছন্দ–অপছন্দের কথা

১. প্রিয় সিনেমা?

সৈয়দ আফজালুল করিম: পুরোনো দিনের যেকোনো বাংলা সিনেমাই ভালো লাগে। কাহিনি এবং ভালো গান আছে এমন সিনেমা পছন্দ।

ছেলে: ব্যাক টু দ্য ফিউচার

২. যাদের অভিনয় ভালো লাগে?

সৈয়দ আফজালুল করিম: দিলীপ কুমার, উত্তমকুমার।

ছেলে: পিয়ার্স ব্রসনান।

৩. প্রিয় সংগীতশিল্পী?

সৈয়দ আফজালুল করিম: দেশের মধ্যে আমার আবদুল জব্বারের গান ভালো লাগে। আর ভারতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মুহাম্মদ রফি।

ছেলে: রক গান ভালো লাগে। আইয়ুব বাচ্চু,

শাফিন আহমেদ, জেমস।

৪. কোন খেলা দেখতে ভালো লাগে?

সৈয়দ আফজালুল করিম: ক্রিকেট। এ ছাড়া আমি ছোটবেলায় টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন খেলতাম। এগুলোও ভালো লাগে।

ছেলে: ক্রিকেট। 

৫. প্রিয় খেলোয়াড়?

সৈয়দ আফজালুল করিম: মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান।

ছেলে: মাশরাফি বিন মুর্তজা।

৬. অবসরে কী করেন?

সৈয়দ আফজালুল করিম: আগে খুব আড্ডা মারতাম। এখন বাইরে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু

শরীরের কারণে যেতে পারি না। এখন ঘুমাতে ভালো লাগে।

ছেলে: অবসর পেলে বিভিন্ন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে।

৭. কোথায় ঘুরতে ভালো লাগে?

সৈয়দ আফজালুল করিম: সুন্দর প্রকৃতি আছে এমন জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে।

ছেলে: ফ্রান্স ও জার্মানি।

৮. দেশের জন্য কী করতে চান?

সৈয়দ আফজালুল করিম: দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত নিয়ে আমি কাজ করছি। একটা মানুষ যেন কিছু করে খেতে পারে সেটা করতে চাই।

ছেলে: স্টার্টআপ (নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ) নিয়ে কাজ করছি। ভালো একটা স্টার্টআপ দাঁড় করানোর ইচ্ছে আছে। এর মাধ্যমে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চাই।

৯. ইন্টারনেটে কী করেন?

সৈয়দ আফজালুল করিম: যানজটে থাকলে বেশির ভাগ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করি। মূলত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আমার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার রোগীদের সঙ্গেও অনেক সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করি।

ছেলে: মূলত কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামেও সময় কাটাই।

১০. ঢাকা শহর নিয়ে কিছু বলুন।

সৈয়দ আফজালুল করিম: ঢাকা শহরে আমাদের আনন্দ বলে কিছু নেই। তেমন কোথায়ও যাওয়ার জায়গা নেই। পরিবার নিয়ে কোথায় যেতে চাইলে খাবার দোকান ছাড়া ভালো কোনো জায়গা নেই।

ছেলে: ঢাকায় আমার বেশ কিছু বন্ধু আছে। সময় পেলে এদের সঙ্গে আড্ডা দিই। কাজের মধ্যে থাকি।

১১. পরস্পরের যা ভালো ও খারাপ লাগে।

সৈয়দ আফজালুল করিম: আমার ছেলে খুব মেধাবী। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে আছে। মাঝেমধ্যে আমার ছেলে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি না জেনে বা বুঝে কাজ করে।

ছেলে: বাবার তেমন কোনো দোষ আমার চোখে পড়ে না। আব্বা আমাকে অনেক আদর করে। তবে বাবা অনেক আস্তে-ধীরে সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক সময় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও বাবা তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে না।

সাক্ষাৎকার: তারিকুর রহমান খান