মা মারা গেছে, এখন কেউ একমাস পরও ফোন করে বাড়িতে ডাকে না

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মায়ের ভালোবাসার তুলনা হয় নাঅলংকরণ: মাসুক হেলাল

ক্ষমা করে দিয়ো

ভালোবাসলে পেতে হয় না। না পেয়েও ভালোবাসা যায়। আমি তো দোকান দিইনি যে বিনিময় নিতে হবে। আমার ভালোবাসাতে পাওয়ার কিছু ছিল না, শুধু ভালোবাসি।

গত পাঁচ বছরে কত অবহেলা সহ্য করেছি, তারপরও আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে তোকে কল দিয়েছি, এসএমএস করেছি। শুধু তুই কেমন আছিস জানার জন্য। বিনিময়ে তোর মুঠোফোনে ব্লকলিস্ট আমার নম্বর দিয়ে পূর্ণ হয়েছে। আমার কল ও মেসেজে নাকি তোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমাকে ভালোবাসতে হবে, তা আমি চাই না। কারণ, আমি তোকে ভালোবাসি, এটাই যথেষ্ট। তোর কোনো অপরাধ নেই। আমি তো একপক্ষীয়ভাবে আজীবন তোকে ভালোবাসি।

তোর কাছে আমার দুটি অনুরোধ আছে। প্রথমত, মৃত্যুর আগে তোকে একবার হলেও দেখতে চাই। দ্বিতীয়ত, আমার দেওয়া উপহারগুলো গ্রহণ করিস। তোকে এই কথাগুলো বলার অনেক মাধ্যম খুঁজেছি, পেলাম না। তাই মনের বাক্সে লিখলাম, কারণ তোর পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আছে। ভালো থাকিস, নিজের যত্ন নিস।

এ এইচ আলী, নোয়াখালী (এখন প্রবাসী)

কোথায় হারালে মা

মা, তোমাকে হারানোর পাঁচ বছর পূর্ণ হলো। এই জানুয়ারির শুরুর দিকেই তোমাকে হারিয়েছিলাম। সেদিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। ছাত্রাবাসে যাওয়ার সময় রাস্তায় এগিয়ে দিতে। দিয়ে দিতে নানা রকম খাবার। তোমার হাতের জমানো সব টাকা দিয়ে বলেছিলে, ‘এই টাকাটা রাখ। তোর কাজে লাগবে।’ প্রায়ই বাবাকে না বলে টাকা দিতে আমাকে।

কলেজে থাকাকালে প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়ি না গেলে ফোন করে ডেকে নিতে। কিন্তু এখন মাসের পর মাস বাইরে থাকলেও কেউ ফোন করে বলে না, বাড়িতে আয়। তোকে দেখতে মন চাচ্ছে।

তোমাকে হারিয়ে সবচেয়ে বেশি বুঝেছি, মায়ের ভালোবাসা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে নিঃস্বার্থ। মা কখনো প্রতিদান চায় না। শুধু মোমবাতির মতো জ্বলে সন্তানদের আলোকিত করার জন্য। এই পৃথিবীর জান্নাত মা। ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা। যার মা নেই, সে-ই জানে, সে কী হারিয়েছে। তুমি ওপারে ভালো থেকো মা।

তৈয়ব আলী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়

অনেক দিন থেকেই ভাবছি, তোমাকে নিয়ে লিখব। কিন্তু লেখা আর হয় না। এখন লেখা ছাড়া আর উপায় কী বলো। আমাকে ব্লক করে রেখেছ সেই কত দিন আগে। আমি তো সেই কষ্টই ভুলতে পারছি না। অন্যভাবে ফোন দেব, ভাবছি যদি তুমি বিরক্ত হও। যদি বাসার অন্য কেউ রিসিভ করে। আমার মনের কথা জানাতেই পারিনি। জানাব কী করে, সুযোগই তো দিলে না। কথা বলতে চেয়েছিলাম, তাতেই ব্লক করেছ। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি তো তোমাকে বলেছি, অপেক্ষা করব। এখনো অপেক্ষা করছি। নিশ্চয় একদিন আমাকে আনব্লক করে মেসেজ করবে। তোমার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন কী করছ, জানতে পারছি না। তুমি ভালো কোথাও ভর্তি হবে, সে আশাতেই আছি।

একটা অনুরোধ, আমাকে আনব্লক করো প্লিজ। মনের কথা বলতে চাই, সুযোগটা দিয়ো।

সবুজ, রংপুর

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’