যেভাবে খুঁজি তোমায়

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

ভ্রমের জগতে বাস

আমরা মন খুলে আজকাল কথা বলি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই খুব খুশি। প্রতিদিন স্টোরি দিচ্ছে। খেতে যাচ্ছে, বেড়াচ্ছে। ছবিগুলো প্রায় সবই এডিট করা। আসল জগতের আড়ালে একটা ভ্রমের জগৎ গড়ে উঠেছে যেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে, চাকরি খুঁজতে গিয়ে কত মানুষ ঠকছে, মিথ্যা ফাঁদে পা দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, এই মিথ্যার জগৎটা বাস্তবে আমাদের আরও একা করে দিচ্ছে। অনেক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি জীবনকে আরও জটিল করে তুলছে। আমরা সবাই কি ফেসবুকের পোস্টের মতো হাসিখুশি আর আনন্দে আছি? আমাদের দুঃখগুলো তাহলে কোথায় রাখব? কেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গভীরে চিন্তা করার অভ্যাস। এই ভ্রমের জগৎটা আমাদের আসল জীবন থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক দূরে!

ইশরাদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

অচেনা ভালোবাসা

মৌমিতা, একটা কথা বলব? সত্যিই অনেক ভালো লাগে তোমাকে। অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার কাছে তুমি এক কুইন। তোমাকে প্রথম দেখি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সেদিন কলেজ ছুটি ছিল। দুজনই ভুল করে কলেজে গিয়েছিলাম। শীতের কুয়াশা ভেঙে অযথা কলেজে আসায় ভীষণ রেগে ছিলে। উষ্ণ রাগের মধ্যেও তোমার মুখে ছড়ানো ছিল শরতের শুভ্রতা। সেই প্রথম নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তোমার নামটি শুনেছিলাম। এরপর তোমার ফেসবুক আইডি খুঁজে পাই। রিকোয়েস্ট পাঠালেও অ্যাকসেপ্ট করোনি। আমি ফলোয়ার অপশনে গিয়ে ফেবারিট দিয়ে রেখেছিলাম। মাঝেমধ্যে তোমার আইডিতে গিয়ে প্রোফাইল ফটো দেখে আসতাম। সবকিছু না পাওয়ার মধ্যেও কিছু পেয়ে তৃপ্তি পেতাম।

হঠাৎ একদিন রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলে। ব্যস, এর পর থেকে তোমার প্রোফাইলে থাকা বেশির ভাগ ছবি আমি ডাউনলোড দিয়ে গ্যালারি করেছি। সেই ভালো লাগাটা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তোমাকে কিছু বলতে পারি না তোমার ফেসবুকের শর্ট বায়ো দেখে। মাঝেমধ্যে ভাবি, যখন তোমার উপযুক্ত হব, তখনই বলব ভালোবাসি। কিন্তু তত দিন থাকবে কি না, কে জানে।

সৈকত, খুলনা

যেভাবে খুঁজি তোমায়

আধো মেঘ, আধো আলোয় হন্যে হয়ে হাঁটছি। খুঁজছি যে ছায়া, আদৌ পাব কি তা! এই ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে খুঁজে বেড়াই তোমার একটু স্পর্শ। আঁধার কেটে গেলে ভোর হয়, আলোর পরে আসে রাতের স্নিগ্ধতা। তা–ও তুমি যেন থেকে যাও স্পর্শের বাইরে। বিলপাড়ে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা, হাতে হাত ধরে হতাশার কথা বলা—সবই যেন আজ অতীত। উচ্চশিক্ষার জন্য তুমি চলে গেলে শহরে, আমি রইলাম একা। যে তোমায় না দেখতে পেয়ে আকুল হতো আমার মন, সেই আমি কীভাবে আছি দীর্ঘ প্রতীক্ষায়, একমাত্র ঈশ্বরই জানেন। কবে আসবে তুমি? বিনিদ্র প্রহর খুঁজি তোমায়।

শাহরিয়ার শিহন, চাঁদপুর

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’