উৎসবের কেনাকাটায় ঢুঁ দিতে পারেন মাইডাসের মেলায়

মেলা ঘুরে দেখছেন মাইডাসের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পারভিন মাহমুদ
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

রাজধানীর ধানমন্ডির ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় মাইডাস সেন্টার। সেখানকার প্রতিটা লিফটের ভেতর যেখানে ৯ লেখা বোতাম, তার পাশে একটা স্টিকার লাগানো। স্টিকারে লেখা—‘এসএমইয়ের পণ্য মেলা এখানে’, অর্থাৎ ৯ তলায়। ২১ মার্চ দুপুরবেলা। কথা ছিল, সকাল ১০টায় শুরু হবে মেলা। রমজান মাস, দেড়টায় মেলায় ঢুকে দেখা গেল, তখনো অনেক উদ্যোক্তা পসরা সাজাচ্ছেন। অনেক পণ্য তখনো ব্যাগ থেকে বের হয়নি। চলছে সাজসজ্জার কাজ। এর ভেতরেই ক্রেতারা ঘুরেফিরে দেখছেন। তবে মেলার প্রথম দিনের প্রথম প্রহর, তাই ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই।

মেলায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
ফ্যাশন পণ্যের পাশাপাশি ছিল বিউটি প্রোডাক্টস
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

সামনে ঈদ, পহেলা বৈশাখ। মেলার সংগ্রহের প্রধান আকর্ষণ মেয়েদের ফ্যাশন পণ্য। তাই সেসব সংগ্রহে দেখা গেল উৎসবের আমেজ। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। বেনারসি-কাতান, খাদি, সিল্ক, হাফ-সিল্ক—এসব কাপড়ের ওপর কলমকারি, ডিজিটাল প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্ট, ভেজিটেবল ডাই, কাঁথা স্টিচ, এমব্রয়ডারি, জারদৌসি প্রভৃতির কাজ। বেশির ভাগ শাড়ির দাম এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার ভেতর।

বেশির ভাগ শাড়ির দাম এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার ভেতর
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
প্রাকৃতিক ডাইয়ের সরঞ্জাম
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

কিছুসংগ্রহ আছে, যেগুলো সচরাচর মেলে না। শাড়িগুলোর দাম মোটামুটি নাগালের ভেতর। রয়েছে কো-অর্ডস, ওয়ান–পিস আর থ্রি–পিস। সেগুলোর দামও এক হাজার থেকে শুরু। টু–পিস, থ্রি–পিসগুলোর দাম দুই হাজারের ওপর।

তাহারের ফারনাজ খাদিজা নিয়ে এসেছেন কিছু এক্সক্লুসিভ কানের দুল। সেগুলোর বেশির ভাগই মুক্তার তৈরি। দাম ২৫০ থেকে ৬০০ টাকার ভেতর। যাঁদের মুক্তা আর কানের দুলের প্রতি আগ্রহ আছে, সংগ্রহ করতে পারেন এখান থেকে। এ ছাড়া হাতের ব্রেসলেটের ভালো কিছু সংগ্রহ আছে মেলায়। দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার ভেতর।

আগরবাতিও আছে মেলায়
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

আছে কাজল, লিপস্টিক, চুলের ব্যান্ড, চুরি, গলার হার, সেটসহ নানা অলংকার। ‘গোল্ডেন মোদিনা’ নিয়ে এসেছে হাতে তৈরি সাবানের সম্ভার। সাবানগুলো দুধ, পেঁপে, অ্যালোভেরা, জাফরান দিয়ে তৈরি। ‘টেস্টার’ সাবানগুলোর দাম ৫০ টাকা। বড়গুলো ৪০০–৫০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন দামের আছে।

হাতে তৈরি সাবান
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

ছিল শুদ্ধ কৃষির মিষ্টি আলুর চাল, ঘি, সূর্যমুখী তেল, তিসির তেল, বাদামের তেল, লাল চাল, লাল আটাসহ আরও নানা কিছু। ছিল ইফতারি, পিঠা, কাবাবসহ তৈরি খাবারও। এ ছাড়া পাটের ব্যাগ, জুতা, রিকশাচিত্রের ট্রে, ট্রাংক, চায়ের কাপ, গ্লাস, মগ—এগুলোও ছিল। এ যেন এক ছাদের ভেতর অনেক কিছু!

ছিল ওয়ান কালচারের রিক্সা আর ট্রাক পেইন্টিংয়ের নানাকিছু
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

২১ থেকে ২৩ মার্চ চলবে এই ‘মাইডাস এসএমই মেলা ২০২৪’। যদিও প্রথম দিনেই উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে মেলা আরও একটা দিন বর্ধিত করার দাবি শোনা যাচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ মেলা।

সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ মেলা
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন