‘ঝামেলা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর রান্নার নিশ্চয়তা দেয় আমাদের পণ্য’

রান্নার কাজকে সহজ করে তুলতে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়ালটন হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামাল।

ওয়ালটন হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামালছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো :

রান্নার কাজকে সহজ করে তুলতে ওয়ালটনে কী কী পণ্য রয়েছে?

রান্নার কাজকে সহজ করে তুলতে ওয়ালটনের রয়েছে গ্যাস স্টোভ, গ্যাস হব, রাইস কুকার, ডিজিটাল মাল্টিকুকার, ইনফ্রারেড ও ইনডাকশন কুকার। এ ছাড়া বিভিন্ন ডিজাইন ও মডেলের প্রেশার কুকার রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির নন-স্টিক কুকওয়্যার, কাস্ট আয়রন কুকওয়্যারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। জুস তৈরি ও মসলা গুঁড়া করার জন্য আমাদের রয়েছে নানা মডেলের ব্লেন্ডার ও মিক্সার গ্রাইন্ডার। ঈদ সামনে রেখে আমরা বিভিন্ন রং ও নকশার আধুনিক ও স্মার্ট সিরামিক কোটেড কুকওয়্যার বাজারে এনেছি।

প্রথম আলো :

এসব পণ্য ব্যবহারের সুবিধা কী কী?

আমাদের সব পণ্য পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে উৎপাদিত হওয়ায় গ্রাহকের রান্না হয় স্বাস্থ্যকর। তা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমাদের পণ্যগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করে। ফলে গ্রাহকের রান্নার সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাতে পারেন। মোটকথা, ঝামেলা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর রান্নার নিশ্চয়তা দেয় আমাদের পণ্য।

প্রথম আলো :

এসব পণ্য কতটা জ্বালানিসাশ্রয়ী?

আমাদের নন-স্টিক কুকওয়্যারগুলো পিএফওএ, এলইএডি ও ক্যাডমিয়ামমুক্ত (ভারী ধাতু, যা অস্বাস্থ্যকর), এফডিএ অনুমোদিত, তিন স্তরের নন-স্টিক আবরণ থাকায় এগুলো ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তেলসাশ্রয়ী। রাইস কুকারগুলোর বিদ্যুৎ খরচ বাজারের অন্যান্য রাইস কুকারের তুলনায় কম। এ ছাড়া আমাদের গ্যাস স্টোভ ব্যবহারে অল্প গ্যাসেই দ্রুত রান্না করা যায়। আমাদের প্রেশার কুকারে ৫৫ শতাংশ দ্রুত রান্না হয়, যা জ্বালানি সাশ্রয় করে।

প্রথম আলো :

বিক্রয়-পরবর্তী কী ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন আপনারা?

সারা বাংলাদেশে আমাদের ৮০টির বেশি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। অভিজ্ঞ সার্ভিস টিমের মাধ্যমে আমরা সব সময় গ্রাহকদের বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদান করে আসছি, যাতে তাঁরা দ্রুত ও কার্যকর সমাধান পেতে পারেন। এতে করে আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও বেড়েছে।

প্রথম আলো :

হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর জনপ্রিয়তা কতটা?

বাংলাদেশের মানুষের বরাবরই দেশীয় পণ্যের প্রতি একটি আলাদা টান রয়েছে। সে বিবেচনায় ওয়ালটন দেশীয় পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমরা মানের ব্যাপারে কখনো ছাড় দিই না। আমাদের দেশের মানুষ সব সময় দেশীয় পণ্য ক্রয় করার চেষ্টা করেন, যা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। একই সঙ্গে আমাদেরও আরও মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।