যমুনা ফ্রিজের যত সুবিধা

রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বর্তমান সময়ে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। তাই সঠিক গুণগত মানসম্পন্ন একটি ফ্রিজ নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। খাবার সতেজ ও টাটকা থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত মান ঠিক আছে কি না, সেই বিষয়ও নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিতে সেরা একটি রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রয়োজন।
গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস সাশ্রয়ী মূল্যে দেশসেরা রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করছে। দেশের মানুষের কাছে যমুনা রেফ্রিজারেটর পছন্দের শীর্ষে। কারণ, যমুনাই সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কমপ্রেসর, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্যটি সরবরাহ করছে।  

‘সকল প্রয়োজন আয়োজনে যমুনার পণ্য’ স্লোগানে যমুনা ইলেকট্রনিকস এখন  বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছে। কেন কোটি মানুষের আস্থায় যমুনা রেফ্রিজারেটর? আসুন জানা যাক—

১. সিলিকন জেল ছাড়াই পণ্য তৈরি

সিলিকন জেল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যমান নষ্টও করে এই জেল। অথচ দেশের বাজারে প্রচলিত ফ্রিজগুলো তৈরি হয় এই সিলিকন জেল দিয়ে। যমুনা রেফ্রিজারেটর নিশ্চিত করছে, তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করা হয় না।

যমুনা ফ্রিজ তৈরিতে সিলিকন জেল ব্যবহার করা হয় না বলেই এই প্রতিষ্ঠানের দাবি
ছবি: সংগৃহীত

২. মানবদেহের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ  

বাজারে প্রচলিত অনেক ফ্রিজেই যে গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যমুনার ফ্রিজগুলোতে R600a গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের ক্ষতি করে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গ্যাস্কেট ব্যবহারের ফলে খাবারের মান ঠিক থাকে এবং বাইরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে খাবারে প্লাস্টিকের গন্ধ ছড়ায় না। খাবার থাকে দীর্ঘদিন সতেজ ও টাটকা। মাল্টি ডিরেকশনাল ফাস্ট কুলিং টেকনোলোজি খবারের সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং দ্রুত ঠান্ডা করে।

৩. সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী

যমুনার রেগুলার রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী হিসেবে বাজারের শীর্ষে। প্রতিটি রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে ৮৫ মিমি আলট্রা ফোমিং পিভিসি কোটিং থাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়েও ৭২ থেকে ২০ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিতে পারে।

যমুনা ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী
ছবি: সংগৃহীত

৪. উৎপাদন ত্রুটি ১ শতাংশের কম

যমুনা ইলেকট্রনিকস বিশ্বাস করে, সংখ্যায় নয়, গুণে ও মানে সেরা হওয়াটাই মূল কথা। যমুনার রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সেবার প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। প্রতি পাঁচ বছরে কমপ্রেসর পরিবর্তনের হার প্রায় ১-এর নিচে, যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটেরের থেকে অনেক কম। সাধারণত রেফ্রিজারেটর বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনার উৎপাদন ত্রুটি ১ শতাংশের নিচে।

৫. সর্বাধিক আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেল

দেশের সব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ধারণক্ষমতা ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। দেশীয় বাজারে উন্নত প্রযুক্তির আকর্ষণীয় ও নান্দনিক ডিজাইনের ২৫০-এর বেশি মডেল এনেছে যমুনা। আন্তর্জাতিক গুণগত মান ঠিক রাখতে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি থাকা সত্ত্বেও যমুনা বাজারের প্রচলিত যেকোনো রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার থেকে কম মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যমুনা উন্নত কাঁচামাল, উদ্ভাবন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যমুনাই প্রথম বাংলাদেশে গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করে, যা ছিল দেশীয় রেফ্রিজারেটের ইন্ডাস্ট্রিতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

৬. ক্রেতাবান্ধব বিক্রয়-পরবর্তী সেবা

‘ক্রেতাই প্রথম’ স্লোগানে বিশ্বাস করে যমুনা সার্ভিস টিম। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে কমপ্রেসর ওয়ারেন্টি ১০ বছর, পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা ও পাঁচ বছরের স্পেয়ার পার্টস ওয়ারেন্টি নিয়ে দেশব্যাপী ২৪/৭ কাজ করছে যমুনার দক্ষ সার্ভিস টিম। পাশাপাশি অনলাইনে ও টেলিফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সেবা পেতে পারেন গ্রাহকেরা।

৭. ক্রেতা-সুবিধায় কিস্তিসহ অন্যান্য প্রমোশনাল অফার

যমুনা সব সময় ক্রেতা-সুবিধা ও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সর্বনিম্ন ডাউনপেমেন্টে কিস্তি সুবিধা দিয়ে আসছে। ৪০ শতাংশ পর্যন্ত একচেঞ্জ অফারে ফ্রিজ কেনা ও ৩৬টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা থাকছে। যেকোনো উৎসব ও বিশেষ দিনে আকর্ষণীয় সব অফার দিয়ে ক্রেতাদের পণ্য কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে যমুনা ইলেকট্রনিকস। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি ক্রেতাদের অ্যাপ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হওয়া, ১০০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক ও ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

দুটি বড় উৎসব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় অনেক গ্রাহক লাখ লাখ টাকা, অসংখ্য পণ্য ফ্রি, ১০০ শতাংশ ক্যাশ ডিসকাউন্ট, ১০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার, একটি ফ্রিজ কিনে একটি ফ্রিজ ফ্রি, ফ্রিজ কিনে টিভি ফ্রি এবং ফ্রিজ কিনে এসি ফ্রি পেয়েছেন। বছরব্যাপী এই ক্যাম্পেইনগুলোর কারণে গ্রাহকের কাছে যমুনা ইলেকট্রনিকসের পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি দুটিই বৃদ্ধি পায়।

বিজ্ঞাপন বার্তা