রাজধানীর গুলশানে এক ছাদের নিচে ৩০ নারী উদ্যোক্তা

১১ ও ১২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান ২–এর ৫৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ি খাজানায় চলবে ‘লিংকস ফল এক্সিবিশন’। ছোট ও মাঝারি ৩০ ফ্যাশন উদ্যোক্তা এখানে তাঁদের শীতকালীন সংগ্রহ মেলে ধরবেন। আর থাকবে কয়েকজন উদ্যোক্তাদের ‘ক্লিয়ারেন্স সেল’। অর্ধেক দামে তাঁর সব পুরোনো সংগ্রহ বিক্রি করে দেবেন এই আয়োজনের উদ্যোক্তা নুযাত নাওয়ার।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে একটা প্ল্যাটফর্মের নিচে এনে দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের বিকাশে কাজ করছে লিংকস ইভেন্টস। এর উদ্যোক্তা নুযাত নাওয়ার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে পড়াশোনা করে এখন ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন। নুযাত মূলত সেই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করেন, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে ব্যবসা চালান। তাঁদের বেশির ভাগেরই নেই কোনো শো রুম।

১১ ও ১২ নভেম্বর চলবে ‘লিংকস ফল এক্সিবিশন’
ছবি: সংগৃহীত

স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনা করে কেনো ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন? জানতে চাইলে নুযাত বলেন, ‘আমি ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি। মূলত বেড়ানোর জন্য যে অর্থ দরকার, তা জোগাড় করতেই পড়াশোনার পাশাপাশি ৯ বছর আগে অনলাইন ব্যবসা শুরু করি। তারপর দেখলাম, আমি যে ঘুরে বেড়াই, সেটা ফ্যাশনে কাজে লাগছে। আবার এসব পোশাক বিক্রির মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানোর টাকাও জোগাড় হয়ে যাচ্ছে। দুটোই দুটোকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তারপর আর অন্যকিছু করা হয়নি।’

এরপর নুযাতের মনে হলো, তাঁর মতো অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, যাঁরা অনলাইনে ব্যবসা করেন। তাঁদের কোনো নির্দিষ্ট শোরুম বা দোকান নেই। এই উদ্যোক্তাদের কেউ কাউকে চেনেন না। আবার তাঁদের ক্রেতাদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ নেই। এরপর নুযাত নিজ উদ্যোগে এরকম উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের নিয়ে একটা মেলার মতো আয়োজন শুরু করেন। সেখান থেকেই লিংকস ইভেন্টসের পথচলা শুরু।

ফ্যাশনপণ্যের পাশাপাশি এখানে থাকবে বিউটিপণ্য ও ঘর সাজানোর নানা উপকরণ
ছবি: সংগৃহীত

নারীদের পোশাকের সঙ্গে আছে পুরুষদের পাঞ্জাবি আর শিশুদের সংগ্রহ। ফ্যাশনপণ্যের পাশাপাশি এখানে থাকবে বিউটিপণ্য ও ঘর সাজানোর নানা উপকরণ। প্রদর্শনীতে ত্বকের কোরিয়ানপণ্যের প্রতিষ্ঠান ফ্ললেস বিউটিও থাকবে। ত্বক পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ভেতর রয়েছে মায়া, যোবাইদা ফাইজা, সারা, ফারিয়া নূর, ওয়েভিনসহ আরও অনেক নাম। যাঁরা অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে নামগুলো বেশ পরিচিত।