ফাইনালে ওঠার পর ভারতের জার্সি বিক্রি বেড়েছিল ১০ গুণ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঘিরে গত চার সপ্তাহজুড়েই স্বাগতিক ভারতের স্টেডিয়াম ছিল নীল সমুদ্রের রঙে রাঙা। এটা প্রমাণ দেয়, কী ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে ভারতের জার্সি। শেয়ার মার্কেটের ভাষায়, সেটা গত বিশ্বকাপের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি
ছবি: রয়টার্স
অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মুখপাত্র বলেন, অ্যাডিডাসের ওডিআই জার্সিটা অ্যামাজন ফ্যাশনের ১ নম্বর বেস্টসেলার প্রোডাক্ট। তবে বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্বে ভারতের খেলার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর গত দু–তিন দিনের মধ্যে ভারতের জার্সির বিক্রি ১০ গুণ বেড়েছে! ছবিতে নীল–সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল–সাদা জার্সিতে কোহলি
ছবি: রয়টার্স
শুধু তা–ই নয়, ক্রিকেট জার্সির প্রতি ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখে টিম ইন্ডিয়ার অফিশিয়াল কিট স্পনসর ‘অ্যাডিডাস’ শনিবার ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রেইনার শুর সীমিত সংস্করণ বাজারে আনে। তা–ও কয়েক ঘণ্টায় হাওয়া! ছবিতে ভারতের জার্সি গায়ে বলিউড তারকা রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট জুটি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
আইসিসি ক্রিকেটে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর এবারের আসরে টিম ইন্ডিয়ার জন্য ছিল রিচ ব্লু, জাফরানি বর্ডারের মিশেলে জার্সি। কাঁধে সাদা আর সবুজের ছোঁয়া। লোগোতে দুটি তারকা, যা ১৯৮৩ আর ২০১১ বিশ্বকাপে তাদের জয়ের গর্বিত প্রতীক
ছবি: রয়টার্স

অন্যদিকে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিতে হলুদ রঙের জার্সিতে গাঢ় সবুজের স্ট্রাইপ আর তাৎপর্যপূর্ণ জাতীয় ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছিল অজিরা। সঙ্গে ছিল অস্ট্রেলিয়ার পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মানস্বরূপ কারুকাজ। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথের হলুদরঙা জার্সিও ভালোই বিক্রি হয়েছে।

স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস ভারত ফাইনাল খেললে যত জার্সি বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করেছিল, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে তার দ্বিগুণ তৈরি করে অফিশিয়াল ইন্ডিয়ান জার্সি। সেটার জন্য পাঁচ হাজার রুপি গুনতে হলেও বর্তমানে কাঙ্ক্ষিত এই অফিশিয়াল জার্সিটি ‘সোল্ড আউট’।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথের হলুদরঙা জার্সিও ভালোই বিক্রি হয়েছে
ছবি: রয়টার্স
ভক্তরা কাস্টমাইজ জার্সির প্রতি বেশি আগ্রহী ছিল
ছবি: রয়টার্স
ফাইনালের মুখোমুখি এই দুই দলের জার্সির জন্য মাতোয়ারা ছিলেন পুরো বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর এবারের আসর ভারতে হওয়ায় এশিয়ান ভক্তদের মধ্যে উত্তাপ যেন দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেল!
ছবি: রয়টার্স
আইসিসির অফিশিয়াল রিটেইল পার্টনার ফ্যানকোডের কো–ফাউন্ডার ইয়ান্নিক কোলাকো বলেন, ‘শুধু অফিশিয়াল জার্সিই নয়, আমরা অফিশিয়াল মার্চেন্ডাইজের অন্যান্য পণ্য, যেমন কলম, ডায়েরি, মগ, কি চেইন, জ্যাকেট, টি–শার্ট—এসবও ব্যাপক হারে বিক্রি করেছি।’ ছবিতে খেলা শেষ হবার আগেই স্টেডিয়াম ছাড়ছেন ভারতীয় ভক্তরা
ছবি: রয়টার্স

ফ্যানকোড আরও জানায়, ভক্তরা কাস্টমাইজ জার্সির প্রতি বেশি আগ্রহী। সাধারণ ভক্তরা যাতে দোরগোড়াতেই সব প্রোডাক্ট পান, এর জন্য তারা অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে কাজ করছে। ফাইনাল ম্যাচের আগে গুজরাটের বিভিন্ন গ্রোসারি ডেলিভারি অ্যাপ ১০ মিনিটে শুধু পিৎজাই নয়, জার্সিও ডেলিভারি দেওয়ার প্রচার করে। আহমেদাবাদের বিভিন্ন অলিগলির দোকানে ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শার্মা, তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি আর বোলার মোহাম্মদ শামির জার্সির রেপ্লিকারও চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল।

ভারতীয়দের জন্য খেলার ফল আশানুরূপ না হলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এবারের বিশ্বকাপ ঘিরে প্রত্যাশা ছাপিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছেন বলেই ধারণা বিজনেস এক্সপার্টদের।