ফাইনালে ওঠার পর ভারতের জার্সি বিক্রি বেড়েছিল ১০ গুণ
অন্যদিকে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিতে হলুদ রঙের জার্সিতে গাঢ় সবুজের স্ট্রাইপ আর তাৎপর্যপূর্ণ জাতীয় ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছিল অজিরা। সঙ্গে ছিল অস্ট্রেলিয়ার পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মানস্বরূপ কারুকাজ। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথের হলুদরঙা জার্সিও ভালোই বিক্রি হয়েছে।
স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস ভারত ফাইনাল খেললে যত জার্সি বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করেছিল, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে তার দ্বিগুণ তৈরি করে অফিশিয়াল ইন্ডিয়ান জার্সি। সেটার জন্য পাঁচ হাজার রুপি গুনতে হলেও বর্তমানে কাঙ্ক্ষিত এই অফিশিয়াল জার্সিটি ‘সোল্ড আউট’।
ফ্যানকোড আরও জানায়, ভক্তরা কাস্টমাইজ জার্সির প্রতি বেশি আগ্রহী। সাধারণ ভক্তরা যাতে দোরগোড়াতেই সব প্রোডাক্ট পান, এর জন্য তারা অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে কাজ করছে। ফাইনাল ম্যাচের আগে গুজরাটের বিভিন্ন গ্রোসারি ডেলিভারি অ্যাপ ১০ মিনিটে শুধু পিৎজাই নয়, জার্সিও ডেলিভারি দেওয়ার প্রচার করে। আহমেদাবাদের বিভিন্ন অলিগলির দোকানে ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শার্মা, তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি আর বোলার মোহাম্মদ শামির জার্সির রেপ্লিকারও চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল।
ভারতীয়দের জন্য খেলার ফল আশানুরূপ না হলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এবারের বিশ্বকাপ ঘিরে প্রত্যাশা ছাপিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছেন বলেই ধারণা বিজনেস এক্সপার্টদের।