কলবেল কলে কাবাব

কাবাববিলাসীদের অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। সমস্যা নেই রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতে না চাইলে। কারণ, করোনাকালেও রয়েছে বাসায় বসে ভোজনবিলাসীদের উত্তেজিত করার ব্যবস্থা।

‘পৃথিবীতে তত দিন শান্তি আসবে না, যত দিন কাবাব সর্বজনীন না হবে’, কথাটি বলেছেন জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব কফি আনান। মানবজাতির খাদ্যাভ্যাসে কাবাবের অবদান স্বীকার করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছিলেন, ‘কাবাব এই জাতির জন্য যে অবদান রেখেছে, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।’ সেই কাবাবের সঙ্গে ঢাকাবাসীর সম্পর্কও অনেক নিবিড়। ঢাকার অলিগলিতে গড়ে উঠেছে বহু কাবাবের রেস্তোরাঁ। ভোজনবিলাসী মানুষের ভিড়ে কাবাবের দোকানগুলো রমরমা ছিল গত জানুয়ারিতেও।

করোনাকালের বন্দীজীবন থেকে বেরিয়ে কাবাবের রেস্তোরাঁগুলো এখন খুলে গেলেও মানুষের সেই ভিড় নেই। তবু খেতে ভালোবাসে এমন মানুষকে কি আর আটকে রাখা যায়! স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকেই যাচ্ছে কাবাব খেতে। আর যারা দোকানে বসে কাবাব খেতে ভয় পাচ্ছে, তারা অর্ডার করছে অনলাইনে। জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ ফুডপান্ডার মাধ্যমে অনলাইনে খাবার অর্ডার করলেই ক্রেতার ঘরের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে পছন্দের খাবারটি।

খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষিত তরুণেরা, যাঁরা পড়াশোনার ফাঁকে খাবার সরবরাহের কাজ করছেন। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেও খাবার পৌঁছে দেন, এমন একজন তরুণের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ যতই প্রতিকূল থাকুক না কেন, বৃষ্টি মাথায় নিয়েও আমাদের খাবার ডেলিভারি করতে হয়। কারণ, ক্রেতা তাঁর পছন্দের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। খেতে ভালোবাসেন এমন মানুষ যাঁরা বাইরে বের হতে পারছেন না, আমাদের ওপর ভরসা করেন, ভালোবেসেই তাঁরা অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছেন। তাই আমরা দায়িত্ববোধ থেকেই এই কাজ করি।’

জনপ্রিয় কাবাব রেস্তোরাঁ কস্তুরি সুলতানের স্বত্বাধিকারী তৌকির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে খাবার সরবরাহ করতে।’

নতুন স্বাভাবিক সময়ে মানিয়ে নিয়ে পছন্দের খাবার সরবরাহ হচ্ছে অফলাইন ও অনলাইনে। ফুডপান্ডা গ্রাহকদের অনলাইনে অর্ডার করা আরও সুবিধাজনক ও আকর্ষণীয় করে দিচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফার, যা চলবে পুরো অক্টোবরজুড়ে। তাহলে আর দেরি কেন? কলবেল কলে হয়তো চলেই এল আপনার পছন্দের কাবাব!