হাটে না ঘেঁটে, গরু কিনুন নেটে

প্রায়ই শোনা যায়, গবাদিপশু লালনপালন করেও বিক্রির সময় ঠিকমতো দাম পান না খামারিরা। আবার ইচ্ছা সত্ত্বেও টাকার অভাবে গবাদিপশু পালনের সাধ্য হয় না অনেকের। তবে খুদে খামারিদের সেই প্রচেষ্টাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছে ‘প্রাণিসেবা যৌথ খামার প্রকল্প’। এর আওতায় অ্যাপের মাধ্যমেই গবাদিপশুর লালনপালন থেকে ক্রয়—সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে। এভাবে পাল্টে যাচ্ছে গবাদিপশুর খামারিদের জীবন।

জানা যায়, বিনিয়োগকারীর টাকায় প্রাণিসেবার কর্মকর্তারা বিভিন্ন হাট যাচাই-বাছাই করে প্রথমে গরু কেনেন। বিনিয়োগকারী ও খামারির আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতে গবাদিপশুগুলোকে বিমাসেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগবালাই এড়াতে গবাদিপশু কেনার পর প্রাণিসেবা প্রকল্পের মাধ্যমে গরুটিকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো ও টিকা দেওয়া হয়। এরপর গরুটি নির্বাচিত খামারিকে দেওয়া হয়।
লালনপালনের সময় গরুটির চিকিৎসার খরচ বহন করে প্রাণিসেবা ও ওষুধের খরচ খামারি। পরবর্তী চার-পাঁচ মাস খামারি গরুটিকে লালনপালন করেন। এরপর প্রাণিসেবা শপের মাধ্যমে লাভজনক দামে গরুটি বিক্রি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ‘আদর্শ প্রাণিসেবা যৌথ খামার প্রকল্প’–এর আওতায় গরু না কিনে, শুধু লালনপালন করেই গরু বিক্রির পর লাভের ৬০ শতাংশ টাকা পাওয়া যায়। এভাবেই বদলে যাচ্ছে দরিদ্র খামারিদের জীবন।

জানা যায়, আসন্ন কোরবানি ঈদেও প্রকল্পের অধীনে থাকা গরুগুলো বিক্রি হবে প্রাণিসেবা শপের (https://pranishebashop.com.bd/) মাধ্যমে। এ লক্ষ্যে গরুর খামারির কাছ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে আশুলিয়ার প্রাণিসেবা গবেষণা খামারে নিয়ে আসা হয়। পরে সেগুলোকে অনলাইন গরুর হাট ‘প্রাণিসেবা শপ’-এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে আদর্শ প্রাণিসেবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক বলেন, যৌথ খামার উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হচ্ছেন, তা নয়, বরং এতে প্রান্তিক খামারিদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে এবং শহুরে গ্রাহকেরাও ভালো মানের গরুর মাংস ও কোরবানির গরু পাচ্ছেন।