করোনাকালে থেমে থাকা কফি হাউসগুলো এখন খুলতে শুরু করেছে। সকাল, দুপুর, বিকেল বা সন্ধ্যার আড্ডায় পুরোপুরি জমজমাট না হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে সমাগম। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে নতুন স্বাভাবিকতা।
ক্যাফেতে আসা এক তরুণী বললেন, করোনার লকডাউনের কারণে ক্যাফেতে বসে খাওয়াটা অনেক মিস করছিলাম। আর এখন যেহেতু এটাই নতুন স্বাভাবিকতা তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়েই বের হচ্ছি। অনেক দিন পর এসে ভালো লাগছে।
নতুন স্বাভাবিক সময়ে ক্রেতাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখছে ক্যাফে কর্তৃপক্ষও। নর্থ অ্যান্ড ক্যাফের শেফ সুপারভাইজার মো. ফয়সাল খান বললেন, আমরা ক্যাফেতে আসা কাস্টমার এবং কর্মীদের গায়ের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পরই তাঁদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি।
ক্যাফেতে বসে কফি খাওয়া ও আডডা দেওয়ার কোনো তুলানা হয় না। তবে করোনাতঙ্কে থাকা কফিপ্রেমীরা অনলাইনেও কফির অর্ডার দিচ্ছেন। ফুডপ্যান্ডা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের গরম ধোঁয়া ওঠা কফি পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতার দোরগোড়ায়।
ফুডপ্যান্ডায় খাবার ডেলিভারি দেন এমন এক তরুণ জানালেন, কিছুদিন আগেও মানুষ করোনার ভয়ে বাইরের খাবার খাচ্ছিল না। চেষ্টা করত যতটা সম্ভব ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়ার। তবে এখন অনেক ক্রেতা ঘর থেকে না বের হলেও অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছেন। করোনাতে আমাদের ব্যবসায়ের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন আবার মানুষ রেস্তোরাঁয় আসা শুরু করেছেন এবং অনলাইনেও অর্ডার দিচ্ছেন বলে জানালেন কফি রেস্তোরাঁ গ্লেজডের কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
নতুন স্বাভাবিক সময়ে মানিয়ে ওঠার গতি মন্থর হলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে ক্যাফেগুলোতে। সেই চেষ্টা সফল করতে সাহায্য করছে ফুডপ্যান্ডা তাদের গ্রাহকদের মাসব্যাপী ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাথা নষ্ট ডিসকাউন্টের মতো অফার দিয়ে, যা অনলাইনে অর্ডার করা আরও আকর্ষণীয় ও সুবিধাজনক করে তুলছে। এ জন্য কফিপ্রেমীরা দেরি না করে অনলাইনেই অর্ডার করে ফেলতে পারেন।