ফ্লাইট বুকিংয়ে নতুনত্ব

Farzana

২০০৬ সাল, রফিক সাহেব একটার পর একটা কল করে যাচ্ছেন তাঁর পরিচিত একজন এজেন্টকে একটি এয়ারটিকেট কেটে দেওয়ার জন্য। এয়ার টিকিট কাটতে তাঁকে পুরোপুরিই নির্ভর করতে হচ্ছে সেই এজেন্টের ওপর। নিজে নিজে ফ্লাইট বুক করার কথা চিন্তা করা প্রায় অসম্ভব। তাই এজেন্টের ওপর ভরসা করা ছাড়া আপাতত আর কোনো পথ তাঁর জানা নেই।

অনেকক্ষণ ধরে ফোনলাইনে থাকার পর রফিক সাহেবকে তাঁর ভ্রমণের দিনের একটি ফ্লাইটের হিসাব দেওয়া হলো। সাধারণত এয়ার টিকিটের দাম এত বেশি হয় না, এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি জানতে পারলেন যে এটাই সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের টিকিট, এখনই টিকিটটা কেটে না রাখলে নাকি দামটা একটু পর আরও বেড়ে যাবে। ফ্লাইটের টাইম, কোনো বিমানে যাচ্ছেন বা সেই ফ্লাইটে, তিনি কত কেজি পর্যন্ত লাগেজ নিতে পারবেন—কিছু না জেনেই সেই বেশি দামে তাঁকে কেটে নিতে হলো টিকিটটা, এই ভয়ে যে একটু পর যদি দামটা আরও বেড়ে যায়!

২০২০ সাল, রফিক সাহেবের ছেলে রাকিব মুঠোফোন হাতে নিয়ে বসে আছে তার বাবাকে একটা এয়ার টিকিট কেটে দেওয়ার জন্য। গো যায়ানের ওয়েবসাইটে ডেসটিনেশনটা সিলেক্ট করে যাত্রার দিন–তারিখ ইনপুট দিয়ে সহজেই দেখে নিল রাকিব ওই দিনে কোন কোন সময়ে কোন কোন ফ্লাইট রয়েছে এবং কোন ফ্লাইটের টিকিটের দামটা কত কমবেশি। তার পাশাপাশি ওয়েবসাইটে খুবই গোছানোভাবে দেওয়া আছে, কোন কোন টিকিট রিফান্ডেবল এবং কোন কোন টিকিট আংশিক রিফান্ডেবল বা রিফান্ডেবল নয়।

Farzana

বাবার কাছ থেকে বাজেটটা জেনে সেই নির্ধারিত বাজেট ইনপুট দিয়ে এরপর দেখতে বসল ওই বাজেটে কোন কোন এয়ারলাইনস বাবার যাত্রার দিনে ফ্লাইট অপারেট করবে। খুঁজতে খুঁজতে সে বুঝতে পারল যে তার ওই ফ্লাইটটাই আরও ১০ জনের বেশি খোঁজ করছে, তার মানে টিকিটটা আগেভাগে কিনে নেওয়াই ভালো। মোবাইল ব্যাংকিং এবং কার্ড পেমেন্ট—দুই রকম পেমেন্ট অপশনে কী রকম ডিল এবং ডিসকাউন্ট চলছে, তা দেখে নিল রাকিব। প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইনপুট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে পেমেন্ট করে মেইলে চলে এল সেই ফ্লাইটের একটি ভাউচার! ব্যস!

রফিক সাহেবকে সেই ভাউচার মুঠোফোনে ডাউনলোড করে দিয়ে রাকিব বলে দিল, কাউন্টারে গিয়ে এই গ্যালারি থেকে এই ভাউচারের ছবি দেখালেই নাকি হবে। রফিক সাহেব তো অবাক! এয়ার টিকিট কেটে ফেলাটা যে এখন এতটা সহজ, তাও আবার কয়েক মিনিটের মধ্যে, ২০০৬ সালে এই জিনিসটা তিনি কল্পনাও করতে পারতেন না।
অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজে নিজে অনলাইনে ফ্লাইট বুকিংয়ের সুযোগটা এভাবে সবার জন্যই স্বস্তির নিশ্বাস বয়ে এনেছে। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের ব্যাপারে অনলাইনে ফ্লাইট বুকিংটাও করে ফেলা সম্ভব প্রয়োজনীয় সব তথ্য জেনেই।

গো যায়ান ইতিমধ্যেই তাদের ‘গো সেফ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত তিনটি কোভিড টেস্ট ল্যাবকে নিয়ে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের দিচ্ছে বিশেষ সুবিধা, যেখানে যাত্রীরা গো যায়ানে ফ্লাইট বুকিংয়ের সময়েই কোভিড টেস্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। টেস্ট ল্যাবে গিয়ে অথবা ঘরে থেকেই টেস্ট করে তার রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চলে আসবে যাত্রীর ই–মেইলে।

বর্তমান সময়ের নিয়মাবলি মেনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট খুবই সীমিত আকারে চালু হওয়ার পূর্বশর্ত কোভিড টেস্ট। গো যায়ান ইতিমধ্যেই তাদের ‘গো সেফ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত তিনটি কোভিড টেস্ট ল্যাবকে নিয়ে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের দিচ্ছে বিশেষ সুবিধা, যেখানে যাত্রীরা গো যায়ানে ফ্লাইট বুকিংয়ের সময়েই কোভিড টেস্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। টেস্ট ল্যাবে গিয়ে অথবা ঘরে থেকেই টেস্ট করে তার রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চলে আসবে যাত্রীর ই–মেইলে।

পাশাপাশি এয়ার লাইনসের নিজস্ব নিয়মাবলি এবং যে এয়ারপোর্টে আপনি ল্যান্ড করবেন সেই এয়ারপোর্টের বিশেষ নিয়মাবলি এবং প্যাসেঞ্জার হিসেবে বিশেষ কোনো সহযোগিতার ব্যাপারটি খুব সহজেই জেনে নেওয়া সম্ভব গো যায়ানের হটলাইনে ফোন দেওয়ার মাধ্যমে। একজন প্রতিনিধি পুরোটা সময় থাকবে আপনার সঙ্গে আপনার ফ্লাইট–সংক্রান্ত সব বিষয়ে সহযোগিতা করতে।

ফ্লাইটটা হোক ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল, সেই টিকিট বুকিংয়ের পুরো প্রক্রিয়ার একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এখন সম্ভব নিজে নিজেই। কোনো ঝামেলা ছাড়াই ফ্লাইটের টিকিট বুক করতে এখন চলে যেতে পারেন এখানে এবং সেই সঙ্গে ফ্লাইট–সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.gozayaan.com বা কল করুন গো যায়ানের হটলাইন নম্বরে 09678-332211.