মোগল বিরিয়ানির একাল

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খায়, আবার ভোজনরসিক মানুষ খাওয়ার জন্যও বাঁচে। ভোজনরসিক হোক বা না হোক, বিরিয়ানি ভালোবাসে না, এমন মানুষ কমই আছে।
বিরিয়ানির জন্ম সেই মোগল আমলেরও আগে। মূলত এটি রাজা-বাদশার খানদানি খাবার। প্রচুর মাংস, ঘি, চাল ও হরেক রকম দামি মসলায় তৈরি সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত বিশেষ এই খাবার তখনকার রাজা-বাদশার রান্নাঘর থেকে কালের স্রোতে এখন যেকোনো ভোজনরসিক মানুষের থালায় এসে পড়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ও জনপ্রিয় নানান রকমের বিরিয়ানির দোকান। খানদানি এই খাবার প্যাকেটজাত হয়ে চলে আসছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। করোনাকালে মানুষ কী বিরিয়ানি খাচ্ছে? জানতে আমরা কথা বলেছিলাম জনপ্রিয় কয়েকটি বিরিয়ানি রেস্তোরাঁর মালিকদের সঙ্গে।

ফুডপান্ডা বিরিয়ানি পৌঁছে দিচ্ছে গ্রাহকের দোরগোরায়
ছবি: সংগৃহীত

সুলতান’স ডাইন-এর ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, করোনাকালে ব্যবসার অবস্থা আগের মতো ভালো নেই বিধায় ৬০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। লালবাগ বিরিয়ানি হাউসের মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রেস্তোরাঁয় এসে বিরিয়ানি খাওয়ার ক্রেতা কমে গেছে। আগের ক্রেতার চার ভাগের এক ভাগও নেই এখন।

তবে সশরীর রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার মানুষ কমে গেলেও খাবারের চাহিদা কমেনি। মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছে। তাই জনপ্রিয় রেস্তোরাঁগুলো অনলাইনে খাবার সরবরাহ চালু করেছে। আর ক্রেতার কাছে খানদানি এই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ফুডপান্ডা। নিরাপদে খাবার ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তরুণ কর্মীরা, যাঁরা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

হোম ডেলিভারির এই সুবিধায় লাভ হয়েছে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়, সাধারণ ক্রেতা এবং তরুণ কর্মীদেরও। সহজেই ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিলেই পৌঁছে যাচ্ছে দোরগোড়ায়। ফুডপান্ডা গ্রাহকদের অনলাইনে অর্ডার করা আরও সুবিধাজনক ও আকর্ষণীয় করে দিচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ‘মাথা নষ্ট ডিসকাউন্ট’ অফার দিয়ে, যা চলবে অক্টোবর মাসজুড়ে।

নতুন স্বাভাবিক এই সময় বিভিন্নভাবে পাল্টে দিচ্ছে মানুষের জীবনযাপনের ধরন। এবার আমাদেরই এই সময়টাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। থেমে থাকবে না ভোজনরসিকের খানদানি বিরিয়ানি ভোজন।