মা–মেয়ে মিলিয়ে সাজি বসন্তের সাজ
ছোট্ট মেয়েটি এই বসন্তে হয়তো পাবে তার প্রথম শাড়ি। হাতে চুড়ি আর চুলে ফুল গুঁজে দেবে মা। দেশি উৎসবে অনেকটা শখ করেই শিশুদের পরানো হয় শাড়ি বা কামিজ। আরামের কথা চিন্তা করে অনেকে ফ্রকও পরান।
তাই তো শত ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানের জন্য বসন্তের রঙিন পোশাক খুঁজে ফিরছেন মা–বাবারা। ভিড় করছেন শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোয়। সেলাই করা শাড়ি থেকে স্কার্ট-টপ—ছোটদের সব ধরনের পোশাকেই রাখা হয়েছে মনের মতো রং-নকশা।
সেইলর, দেশি দশ, লা রিভ, টুয়েভ, শৈশব ইত্যাদি বেশ কয়েকটি দেশীয় ব্র্যান্ড ঘুরে দেখা গেল, মেয়ে শিশুদের জন্য রঙিন কাপড়ের ফ্রক, স্কার্ট-টপ, কুর্তার পাশাপাশি রাখা হয়েছে টু পিসের কো-অর্ড সেট। পোশাকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ধুলারোধী শিফন ও জর্জেট কাপড়। ইনারসহ জামার ভেতরে দেওয়া হয়েছে আরামদায়ক সুতি বা লিনেন কাপড়। সুতি ও লিনেনের পোশাকে এসেছে নতুন নতুন নকশা।
পোশাকে শিশু যেন অস্বস্তিবোধ না করে সে জন্য আছে ঢিলেঢালা কুর্তা ও কামিজ। এতে দেখা যাচ্ছে, কুঁচি ও স্তর দেওয়া নকশা। কিছু জামায় পকেটও আছে। বেশির ভাগ জামার হাতাই থ্রি-কোয়াটার। ফুলের পাপড়ির নকশার পেটাল হাতাও আছে। বেল বোটম, কেপ, স্তর, পোয়েট ইত্যাদি হাতাও দেখা যাচ্ছে ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েদের টপে।
ব্লক, টাই-ডাই, বাটিক বা জলছাপ করা জামায় সুতার কাজের ফুল-পাতা ছাড়াও থাকছে উলের নকশা। জামার গলায় ও নিচে সুতা বা ছাপা নকশার টিয়া পাখি, মাছ, মেঘ, প্রকৃতি ইত্যাদি আঁকা। জুড়ে দেওয়া হয়েছে রং-বেরঙের বোতাম ও লেস। কুর্তা-কামিজের সঙ্গে জিনস ছাড়াও পরতে পারে নানা কাটের প্যান্ট। মেয়েশিশুদের বসন্তের পোশাকে বাসন্তী রং ছাড়াও প্রাধান্য পেয়েছে গোলাপি, কমলা, লাল ও বেগুনি রং।
সেলাই করা শাড়িতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছে ব্র্যান্ডগুলো। শাড়ির পার ও কুঁচিগুলো রঙিন। বেশির ভাগই সুতির হলেও খুঁজলে জামদানিও পাওয়া যাচ্ছে। মা-মেয়ের জন্য এক রকম শাড়ির সেট এনেছে বেশ কয়েকটি দেশি ব্র্যান্ড। অনলাইনভিত্তিক পেজেও পাওয়া যাচ্ছে শাড়ির সেট।