‘মা লো মা’ গানের সেটে, শিল্পীদের ফ্যাশনে উদযাপিত হলো ঢাকার রাস্তার সংস্কৃতি

কোক স্টুডিও বাংলার গান একের পর এক চায়ের কাপে ঝড় তুলে চলেছে। গান ছাপিয়ে সেট ডিজাইন, কস্টিউম নিয়েও আলোচনার কমতি নেই। শুরু থেকেই কস্টিউমের সঙ্গে যুক্ত আছেন আনিকা জাহিন। আনিকাকে না চিনলেও তাঁর কাজ হয়তো দেখেছেন। নাটক, বিজ্ঞাপন, সিনেমা, গান আর তথ্যচিত্র মিলে ৯ বছরে তাঁর কাজের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে! সর্বশেষ সংযোজন ‘মা লো মা’। মাত্র ১২ দিনে গানটি দেখা হয়েছে দেড় কোটির বেশিবার। ১৬ মে দুপুরেও এই গানই রয়েছে ইউটিউব বাংলাদেশের ‘ট্রেন্ডিং ফর মিউজিক’-এর ১ নম্বরে। জেনে নেওয়া যাক গানটির কস্টিউম ডিজাইন আর সেটের আদ্যোপান্ত।

১ / ২৫
আনিকা জাহিন এই গানের ভেতরে মূলত বাংলাদেশের স্ট্রিট ফ্যাশনকেই তুলে ধরেছেন
ছবি: কবির হোসেন
২ / ২৫
তরুণ সংগীততারকা সাগর দেওয়ানকে দেখা যায় রিকশা পেইন্টের কুর্তা আর সবুজ কো-অর্ড সেটে। রিকশা পেইন্ট ইউনেসকোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী ঐতিহ্য
ছবি: আতা মো. আদনান
৩ / ২৫
আর সবুজ রঙের লম্বা কোটি আর প্যান্টের ভেতর দিয়ে প্রকৃতি আর পৃথিবীর রংকেই তুলে ধরেছেন সাগর
ছবি: জয়িতা তৃষা
৪ / ২৫
সাগর দেওয়ানের পায়ে ছিল বিস্কুট ফ্যাক্টরির হাতে আঁকা নকশার স্নিকার
ছবি: সংগৃহীত
৫ / ২৫
র‍্যাপার আলী হাসানের জ্যাকেটটি রয়েছে আলোচনায়। জ্যাকেটটি বিশেষভাবে কাস্টম মেড। আনিকা বলেন, ‘আমার সংস্কৃতি আর আন্তর্জাতিক প্রভাব—এই দুইয়ের সম্মিলনেই চলেছে আমার ফ্যাশন ডিজাইনিং।’ জ্যাকেটের প্যাটার্ন আনিকার পছন্দের জাপানিজ স্ট্রিটওয়্যার ব্র্যান্ড ‘কাপিতাল’থেকে অনুপ্রাণিত
ছবি: জয়িতা তৃষা
৬ / ২৫
আলী হাসানের জ্যাকেটে নানা আইডিয়ার সন্নিবেশ ঘটেছে। ফেব্রিকটা খাদি। এর ওপর নকশিকাঁথার কাজও রয়েছে। বাদ যায়নি জামদানি আর কারচুপিও। পুরোটাই তৈরি হয়েছে হাতে সেলাইয়ের মাধ্যমে
ছবি: জয়িতা তৃষা
৭ / ২৫
জ্যাকেটে লেখা ‘ছিলাম শিশু, ছিলাম ভালা’। এটা আলীর লেখা র‍্যাপেরই অংশবিশেষ। এর ডিজাইন, টাইপোগ্রাফি, ইলাস্ট্রেশন করেছেন পুরুষের পোশাকের ব্র্যান্ড ‘পাকা’-র উদ্যোক্তা, শিল্পী ও ডিজাইনার কাজী ইস্টেলা। জ্যাকেটটি ডিজাইন করেছেন কাহলো খান
ছবি: রাহাত করিম
৮ / ২৫
মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন আদনান আল রাজীব, পেছনে সেটে মজা করছেন প্রীতম
ছবি: রাহাত করিম
৯ / ২৫
ফুলমেটাল অ্যালকেমিস্ট মাঙ্গা সিরিজের কাল্পনিক চরিত্র রয় মুস্তাংয়ের পোশাক থেকে অনুপ্রাণিত প্রীতম হাসানের পোশাক। রয় মুস্তাং যেমন পেছন থেকে নিজের কাজটা করে, যখন প্রয়োজন হয় কেবল তখনই সামনে আসে, ‘মালো মা’ গানে প্রীতমের ভূমিকাও যেন অনেকটা সে রকম!
ছবি: জয়িতা তৃষা
১০ / ২৫
প্রীতম হাসান ও আদনান আল রাজীব। প্রীতম বলেন, ‘মিউজিক কম্পোজ করা অনেকটা রান্না করার মতো। আর তাই এখানেও আগুনের ঝলকানির প্রয়োজন হয়। আমার মনে হয়, আমার কাজটা কর্নেল রয় মুস্তাংয়ের মতো। তাই পোশাকেও সেই ছাপ, অনুপ্রেরণা রেখেছি।’
ছবি: রাহাত করিম
১১ / ২৫
বয়াতি আরিফ দেওয়ানের পরনে ছিল কমলা রঙের তসর সিল্কের পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির কলারের নকশার সঙ্গে মিলিয়ে প্রিন্টের ওড়নাও ছিল
ছবি: জয়িতা তৃষা
১২ / ২৫
ছাদ পেটানো পৌঢ় নারীদের পরনে ছিল রঙিন প্রিন্টের শাড়ি
ছবি: রাহাত করিম
১৩ / ২৫
ছাদ পেটানো শিল্পীদের একাংশ
ছবি: রাহাত করিম
১৪ / ২৫
অন্য শিল্পীদের পরনে ছিল জাম্পস্যুট, বোম্বার জ্যাকেটের মতো ট্রেন্ডি পোশাক
ছবি: জয়িতা তৃষা
১৫ / ২৫
অনেক গয়না সি-শেল দিয়ে তৈরি। আবার কিছু ফিউশন করে কাস্টমাইজড করা
ছবি: রাহাত করিম
১৬ / ২৫
রাস্তায় বের হলে এ রকম ফরমাল ড্রেসিং, যেমন শার্ট, প্যান্ট, কোট, জুতা পরা কিছু মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা হবেই! সেটিই-বা বাদ যাবে কেন স্ট্রিট ফ্যাশন থেকে
ছবি: রাহাত করিম
১৭ / ২৫
তারের জঞ্জাল যেন বাংলাদেশের শহুরে রাস্তার দুপাশের বাস্তবতা। সেটিও উঠে এসেছে এই গানের সেটে
ছবি: রাহাত করিম
১৮ / ২৫
প্রীতম হাসান ও সাগর দেওয়ান
ছবি: রাহাত করিম
১৯ / ২৫
পাপেট শোর এই নারীর পরনেও টাঙ্গাইলের শাড়ি
ছবি: রাহাত করিম
২০ / ২৫
আরেকজনের পাপেট নাচিয়ের গলায় ঝুলছে গামছা
ছবি: রাহাত করিম
২১ / ২৫
সবার পোশাকের রং উজ্জ্বল, ঝলমলে। যেটা আমাদের রঙিন, প্রাণবন্ত সংস্কৃতিরই অংশ
ছবি: রাহাত করিম
২২ / ২৫
মোহাম্মদপুরের রাস্তার পাশের একটি বাড়িকে অনেকটা সেভাবেই তুলে ধরা হয়েছে এই গানের সেটে
ছবি: আতা মো. আদনান
২৩ / ২৫
উঠে এসেছে ঢাকার অলিগলির শরবতের দোকানও
ছবি: রাহাত করিম
২৪ / ২৫
সব মিলিয়ে এই গানের সেট আর কস্টিউম ডিজাইনে উঠে এসেছে মূলত শহুরে তরুণদের স্ট্রিট ফ্যাশন আর ঢাকা শহরের রাস্তার সংস্কৃতি
ছবি: রাহাত করিম
২৫ / ২৫
সব মিলিয়ে এই গানে উদযাপিত হয়েছে ঢাকার বৈচিত্র্যময় ‘স্ট্রিট কালচার’
ছবি: রাহাত করিম