অনুষঙ্গে যে কারণে শিকলের ব্যবহার বাড়ছে
১৯৮০–এর দশকে গলায় শিকলের মালা ঝুলিয়ে যখন মঞ্চ মাতাতেন যুক্তরাষ্ট্রের হিপহপ শিল্পীরা, তখন এই শিকলই হয়ে ওঠে তাঁদের পরিচয়—বাঁধন ভেঙে বেরিয়ে আসার ঘোষণা। একদিকে শক্তি, অন্যদিকে মুক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে শিকল। এই প্রতীকী ধারা বজায় রেখে রিয়ানা, জেনডেয়া কিংবা কার্ডি বির পোশাক ও গয়নায় নিয়মিত দেখা যায় শিকল। কোরিয়ার পপ তারকারাও বেছে নিচ্ছেন এই ধাতব অনুষঙ্গ।
শুধু পশ্চিমে নয়, দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর পোশাক, গয়না ও ব্যাগে এখন জায়গা করে নিয়েছে শিকল। পোশাক, মালা, ব্রেসলেট ও কানের দুলেও দেখা যাচ্ছে শিকল। গয়নার ব্র্য্যান্ড কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেসের স্বত্বাধিকারী লায়লা খায়ের বলেন, ‘ধাতব শিকলের গয়নাগুলো নিয়মিত ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী।
নিশ্চিন্তে অনেক বছর ব্যবহার করা যায় সোনা, রুপা বা স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি শিকলের গয়না। আজকাল নারী-পুরুষ উভয়ই পরছেন এসব গয়না। ভারতীয় তারকা সালমান খানের হাতেও দেখা যায় শিকলে বাঁধা ফিরোজা পাথরের ব্রেসলেট। তাঁর হাতে পরা এ রকম ব্রেসলেট কিনেছেন অনেক ভক্ত, এখনো কিনছেন।
মিরপুরের হোপ মার্কেটে ধাতব গয়নার ভ্রাম্যমাণ দোকান চালান সাইদ হোসেন। তিনি জানান, তরুণেরাই মূলত এসব গয়নার ক্রেতা। ব্যান্ড সংগীতের ভক্ত বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মোহেব (২৩) জানান যে তিনি নিয়মিত ধাতব শিকলের ব্রেসলেট ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এটা যেমন একটু ভিন্ন ধরনের, আবার দৃষ্টিনন্দনও। পরতে ভালো লাগে।
ব্যাগেও বাড়ছে শিকলের ব্যবহার। বেশির ভাগ ব্যাগেই দেখা যাচ্ছে সোনালি বা রুপালি রঙের শিকল। শুধু ধাতব নয়, কাঠের শিকলের ব্যবহারও নজর কাড়ছে। চড়ুইয়ানার স্বত্বাধিকারী নাজিফা আনজুম কয়েক বছর ধরে কাঠের ব্যাগ তৈরি করছেন। কিন্তু ব্যাগের সঙ্গে মানানসই ফিতা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে নিজেই কাঠ দিয়ে তৈরি করতে শুরু করেন শিকল। তিনি বলেন, কাঠের শিকল একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।
কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেস, মিনিসো, মিস্টার ডিআইওয়াই, নিউমার্কেট, উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, মিরপুরের হোপ মার্কেটে পেয়ে যাবেন শিকলের গয়না। শিকলের ব্যাগ কিনতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন হাটকাহন, লা রিভ, অ্যাপেক্স বা বে–তে।
সূত্র: ব্রিটিশ ভোগ