বেণির যেই ৪ বাঁধন মানাবে পূজার অনুষ্ঠানে

স্কুলে যাওয়ার আগে, অলস দুপুরে সময় পার করতে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় চুলে তেল দিয়ে পরিপাটি করে এক বেণি, দুই বেণি করার দিন আর নেই। এখন শ্যাম্পু করা ফুরফুরে চুল উড়িয়ে বেড়ানোরই দিন। কালেভদ্রে চুল বাঁধা হলেও সেটাও হয় এ যুগের মেসি (অগোছালো) স্টাইলে। রীতি যতই বদলে যাক না কেন, বেণির আবেদন কিন্তু হারিয়ে যায়নি।

বেণির আছে নিজস্ব এক ভাষা। শাড়ি বা পাশ্চাত্য পোশাক—সব পোশাকের সঙ্গেই খুব সহজাতভাবে মানিয়ে যায়। একই চুলে করা যায় নানা নকশার বেণি। খেজুর বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি, পাটি বেণি যেভাবেই বাঁধুন না কেন, সব বয়সে মানিয়েও যায়। পুরো চুল নিয়ে বা আংশিক অংশ নিয়েও করা যায় নানা স্টাইলের বেণি।

খেজুর বেণির সৌন্দর্যই আলাদা। শাড়ির সঙ্গে করার জন্য আদর্শ এক স্টাইল।
ছবি: কবির হোসেন
মাথার সামনের অংশের সব চুল নিয়ে বেণি বাঁধা হয়েছে। খুব বেশি পেছনে যাবে না। মাথার মাঝামাঝি জায়গায় এসে ঝুঁটি করে ফেললেই হবে।
ছবি: কবির হোসেন

তরুণীদের মধ্যে একটু অগোছালোভাবে বেণি করাটাও এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে গরমের সময় একটু আঁটসাটভাবে বেণি করলেই ভালো। ওপর থেকে নিচের দিকে করার পাশাপাশি নিচের দিক থেকে নিয়ে ওপর দিকেও বেণি করা হচ্ছে। চুলের তিনটি ভাগ এক করে নতুন নতুন উপায়ে বেণি বাঁধার চলও দেখা গেছে।

মাথার চারপাশ থেকে বেণি করা হয়েছে। একদম ঘাড়ের কাছ থেকে বেণি শুরু করে ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার একদম সামনে থেকে বেণি করেও পেছনের দিকে নেওয়া হয়েছে। সব কটি বেণি এক জায়গায় এসে উঁচু করে বাঁধা খোঁপায় বাঁধা পড়েছে। যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে।
ছবি: কবির হোসেন
সাধারণভাবে একটি বেণি করা হয়েছে। এরপর মাথার চারপাশ থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্লিপ দিয়ে লাগানো হয়েছে।
ছবি: কবির হোসেন

লম্বা ও ভারী চুলের অধিকারীরা তো যেকোনো ধরনের বেণির স্টাইল করতে পারেন। সমস্যায় পড়ে যান পাতলা চুলের অধিকারীরা। এ ক্ষেত্রে পুরো চুল কোঁকড়া করে নিয়ে এরপর বেণি করতে পারেন। আঁটসাঁট করে না বেঁধে হালকা করেও বাঁধা যায়। বেণি করার আগে পুরো চুলকে পেছন দিকে আঁচড়ে কিছুটা ফুলিয়েও নিতে পারেন। এ ধরনের চুলে একটু অগোছালো ভাব থাকলেই বরং ভালো লাগে।