তমা মির্জার ঈদের সাজ, ঈদের রান্না

কাজের সময় বেশ স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়, ঈদেও এমন ছাঁটের পোশাকই বেছে নেবেন। পোশাকের ক্ষেত্রে সাদা, হালকা সাদা ও গোলাপি রং তাঁর পছন্দ।

অভিনেত্রী তমা মির্জা ঈদের দিন সাজবেন এভাবেইপোশাক: সাফিয়া সাথী, সাজ: সিগনেচার লুক বাই সামিয়া, স্থান কৃতজ্ঞতা: বুড়িগঙ্গা রিভার ভিউ রেস্টুরেন্ট, ছবি: কবির হোসেন

ঈদুল আজহায় আসছে তাঁর নতুন সিনেমা। এই নিয়েই এখন ব্যস্ত তমা মির্জা। ‘নকশা’র শুটিংয়ের সময় বলছিলেন, নতুন সিনেমা সুড়ঙ্গর প্রচারণাতেই কাটবে এবারের ঈদ।

ঈদে সাজবেন হালকা মেকআপে
ছবি: কবির হোসেন

ঈদের দিন কোরবানির মাংস সবাইকে বিলি করার কাজটা নিজের হাতে করতেই বেশি ভালোবাসেন তমা মির্জা। কোরবানির মাংস রান্না করা নিয়ে তমা মির্জাদের বাড়িতে আছে এক নিজস্ব ঐতিহ্য। ‘আমার নানাবাড়ি-দাদুবাড়ি দুটিই বাগেরহাট। ছোটবেলায় সেখানে ঈদ করতে যেতাম। নানাবাড়িতে নানা একটি বিশেষ মাংস রান্না করতেন। বড় পাতিলে করে পুরো কোরবানির মাংস চুলায় বসিয়ে দিতেন। ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে রান্না হতো সেই মাংস। কী যে তার স্বাদ।’

পোশাকে পছন্দ ঢিলেঢালা কাট
ছবি: কবির হোসেন

জানা গেল, তমা মির্জার মা–ও বাড়ির সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কোরবানির পর তাঁদের অংশের মাংস নিয়ে বড় পাতিলে রান্না বসান। নানির হাতের মতো স্বাদ হয়তো হয় না, তবে মায়ের রান্নাও কম মজা না, বলছিলেন তমা মির্জা। কোরবানির মাংসের বেশির ভাগটুকুই গরিবদের মধ্যে বিলি করে থাকেন তমা মির্জা। কাঁচা মাংস শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেউ যদি মাংস নিতে আসেন, তবে সেই পাতিলের রান্না থেকে তাঁদের মাংস দেওয়া হয়। তমা মির্জার কাছে এটাই ঈদের বিশেষ আনন্দ।

জানালেন, এই পর্ব শেষ হয়ে গেলে তিনি ছুটবেন সিনেপ্লেক্সগুলোয়। এ জন্য তখন একটু জমকালো সাজপোশাকে সাজবেন। যদিও এই ঈদে এখনো আলাদা করে কেনাকাটা করার বিষয়ে কিছু ভাবেননি। সকালের দিকে বাসায় হালকা পোশাক পরবেন। একটু ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কাজের সময় বেশ স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়, ঈদেও এমন ছাঁটের পোশাকই বেছে নেবেন। পোশাকের ক্ষেত্রে সাদা, হালকা সাদা ও গোলাপি রং তাঁর পছন্দ। গয়না ভালোবাসেন। চুলে খুব একটা জমকালো ভাব পছন্দ না। পরিবর্তে মাঝবরাবর সিঁথি করে পেছনে টেনে বাঁধা চুল তাঁর পছন্দ। ‘এটাকে আমার সিগনেচার স্টাইলও বলতে পারেন,’ বলছিলেন তমা।

মাঝবরাবর সিঁথি করে চুল বাঁধতে পছন্দ করেন
ছবি: কবির হোসেন

যেহেতু কোরবানির ঈদ, তাই স্বাভাবিকভাবেই সাজগোজের চেয়ে সবার খাবারের আয়োজনের দিকেই মনোযোগ থাকবে বেশি। তমা মির্জা জানালেন, অন্য সময় রান্না করলেও ঈদে রান্নাঘরে একেবারেই ঢোকেন না। মা–ই সেদিন রান্নাঘর সামলান। ‘মায়ের হাতের গরুর মাংস আর সেমাই ছাড়া যেন আমাদের ঈদ একেবারেই জমে না।’

তমা মির্জার রান্না

চুইঝালে গরুর মাংস ভুনা
ছবি: কবির হোসেন

চুইঝালে গরুর মাংস ভুনা

উপকরণ: চর্বি ও হাড়ছাড়া গরুর মাংস দেড় কেজি, পেঁয়াজ আধা কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ কাপ, জিরা ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, এলাচি ৪টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ৪টি, তেল ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ ২ চা-চামচ, লবঙ্গ ৫টি, ভাজা মসলা (ধনে, জিরা, এলাচি ও দারুচিনি) ১ টেবিল চামচ, চুইঝাল ইচ্ছামতো।

প্রণালি: গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। চুইঝাল ও ভাজা মসলা বাদে অন্য মসলা তেলে কষিয়ে নিন। মাংস দিয়ে আবারও কষাতে হবে। তেল মাংসের ওপরে উঠে এলে গরম পানি দিয়ে আবারও কষাতে হবে। মাংস আধা সেদ্ধ হলে চুইঝাল, ভাজা মসলা দিয়ে দিন। ঝোল শুকিয়ে একটু ভুনা ভুনা করে নিন। নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ঘন দুধের সেমাই
ছবি: কবির হোসেন

ঘন দুধের সেমাই

উপকরণ: দুধ ২ লিটার, চিনি আধা কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করা যেতে পারে), সেমাই ২০০ গ্রাম, ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: দুধ মৃদু আঁচে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিন। দুধে ঘন সর পড়বে, সেই সর চামচ দিয়ে ভালো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। চিনি দিয়ে দিন। এবার কড়াইতে ঘি গরম করে নিন। সেমাই হালকা লাল করে ভেজে নিতে হবে। দুধের মাঝে আলতো করে সেমাই ছেড়ে দিন। নেড়ে তিন থেকে চার মিনিট জ্বাল দিন। এবার নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করতে হবে।