ট্রেন্ডসেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট

ছবি: বয়টার্সঅলংকরণ: এসএম রাকিবুর রহমান

মার্কিন নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের সমান্তরালে পরিবর্তন সূচিত পাওয়ার পোশাক ট্রেন্ডেরও। এবারের নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনোত্তর আলোচনায় দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল বেশ গুরুত্বের সঙ্গে। পোশাক নিয়ে নানা কথা সব সময়ই হয়েছে। কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, নতুন ট্রেন্ডের, নতুন স্টাইলের জন্ম দিয়েছেন হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

ফ্যাশন সাময়িকি এল-এর নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ হয়েছেন কমলা হ্যারিস
ছবি: কমলা হ্যারিসের ইনস্টগ্রাস হ্যান্ডল

স্কার্ট আর স্টিলেট্টো বা প্যান্ট-কোটের ক্লিশে ধারাকে নস্যাৎ করে তিনি নতুন ধারার জন্ম দিয়েছেন। কমলা হ্যারিস তাঁর পোশাকে সচেতনভাবেই প্রতীয়মান করেছেন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও লিঙ্গনিরপেক্ষতা; একই সঙ্গে তিনি পেয়েছেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ হয়ে ওঠার প্রয়াস।

সঠিক উপলক্ষে সঠিক রং নির্বাচনের মধ্য দিয়েও তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অতীতের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশিত হয়েছে। মানোলো ব্লাহনিক জুতা আর শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগের প্রতি তাঁর অনুরাগ যেমন লুকান, তেমনি আবার চাক টেইলর অলস্টার কনভার্সপ্রিয়তাকেও লুকান না। বরং এই স্নিকার তাঁর কত ধরনের আছে, লেস ছাড়া আর লেসসহ, তা-ও তিনি জানিয়ে দিতে কুণ্ঠা করেননি। বরং নির্বাচনী প্রচারে চাক টেইলর কনভার্স স্নিকারে তাঁর আটপৌরে, স্বচ্ছন্দ রূপ সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

নির্বাচন শেষে বিজয় অর্জনের পর জো বাইডেনকে ফোনে অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি যে ওয়ার্কআউট গিয়ারে ছিলেন, সেটা সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীদের বিশেষ প্রিয়। আর এ বছর এই করোনা প্রকোপে আরও প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁকে দেখে যেন মনে হচ্ছিল তিনি এইমাত্রই বাইরে থেকে হেঁটে এসেছেন কিংবা যাবেন। হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট পরেছিলেন নাইকি ট্র্যাকটপ; নাইকির।

এই ব্র্যান্ড যেন আমেরিকারই সমর্থক। আর এর স্লোগান জাস্ট ডু ইট অযুত তরুণের জন্য প্রেরণাবাচক। কমলার জন্য সেটা হয়েছে আরও দ্যোতনাবহ। কারণ, তিনি ও জো বাইডেন এরই মধ্যে করে ফেলেছেন। দে হ্যাভ জাস্ট ডান ইট। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ভালোর জন্য কোনো কিছু করে যাওয়ার চেষ্টা যে তাঁর অব্যাহত থাকবে, সেটাও যেন এই পোশাকের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।

কামাল করে দেওয়া কমলা হ্যারিসের নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে অনেক ‘প্রথম’। মার্কিন ইতিহাসের তিনি প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রথম বাদামি ত্বকের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত আবার প্রথম অভিবাসী মা-বাবার কন্যাও। ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে মার্কিনরা এখন মাতোয়ারা কমলাবন্দনায়, সুদিনের প্রত্যাশায়, স্বপ্নসময়ের প্রতীক্ষায়।

নির্বাচনী প্রচারণায়
ছবি: রয়টার্স

এ জন্যই কমলা হ্যারিসের দিকে দৃষ্টি তাদের বেশি। ব্যক্তি কমলা যেমন, তেমনি তাঁর পোশাক-আশাক, চলন-বলন—সবকিছুতেই প্রাণিত হচ্ছে ছেলে-বুড়ো সবাই; অনুসরণ করছে, অর্থ খুঁজে নিচ্ছে। অব্যাহত রাখছে আলোচনা। এই নিবন্ধে আলো ফেলা যেতে পারে তাঁর ট্রেন্ডসেটিং স্টাইলে। অতএব, শুরু করা যাক শেষ থেকে।

৭ নভেম্বর ২০২০। অকুস্থল চেজ সেন্টার, উইলমিংটন, ডেলাওয়ার। বিজয় সম্মেলনে উপস্থিত জনতা উন্মুখ। মঞ্চে এলেন কমলা হ্যারিস। শুভ্রবেশী। সাদা প্যান্ট-স্যুট। সিল্কি, পুসিক্যাট বো ব্লাউজ, কানে সাদা মুক্তা। কিন্তু কেন এই পোশাক? কেনই-বা সাদা? এর আগেও কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে সাদা পরতে দেখা গেছে। ব্যত্যয় এবারও করেননি। বরং আরও বেশি অর্থবহ করে তুলেছেন তাঁর পরিচ্ছদের সৌন্দর্য। যেখানে ইতিহাসের সঙ্গে, নারীর অধিকার সমুন্নত রাখার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম কমলা হ্যারিস সিগনেচার স্টাইলে ছড়িয়েছেন ব্যক্তিত্বের বিভা; তাই তো এই পোশাক ফ্যাশন স্টেটমেন্ট না হয়ে প্রকৃতপক্ষে স্টেটমেন্ট হয়ে উঠতে পেরেছে।

তাঁর পোশাক যেনতেন নয়, ডিজাইনারস কালেকশন। ক্যারোলিনা হেরেরার প্যান্ট-স্যুট। ডিজাইন করেন ওয়েস গর্ডন। কিন্তু কেন ক্যারোলিনা হেরেরা? ডিজাইনার ব্র্যান্ড তো আরও ছিল। কারণ, ক্যারোলিনাও ছিলেন একজন অভিবাসী। এসেছিলেন ভেনেজুয়েলা থেকে। এর আগে তিনি দুজন প্রেসিডেন্টপত্নীর পোশাকের নকশা করেছেন। মিশেল ওবামা ও লরা বুশ।

ওয়েস গর্ডনের ডিজাইন করা এই সাদা প্যান্ট-স্যুটের কাপড় মূলত উলের। ৯৩ শতাংশ উলের সঙ্গে ৪ শতাংশ ইলাস্টিন আর ৩ শতাংশ নাইলন মিশিয়ে তৈরি।

তাঁর এই সিল্কি ব্লাউজ একেবারেই হালের ট্রেন্ড। টম ফোর্ডের নতুন সংগ্রহেও রয়েছে। তবে এটা পুরোনো না নতুন বা কোন ডিজাইনারের, তা জানা যায়নি।

বিজয়ের রাতে; চেজ সেন্টার, উইলমিংটন, ডেলাওয়ার
ছবি: রয়টার্স

অন্যদিকে পুসিক্যাট বো আসলে আরামদায়ক অথচ উজ্জ্বল বো। পুরুষদের বো টাইয়ের মতোই মেয়েদের বো। দুই বছর আগে সুইডেনের নারীরা এই বো পরেছিলেন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে। অন্তত ইউএসএ টুডের সেটাই অভিমত। আর সাদা, সে তো ঐতিহাসিক রং। এ ছাড়া এই বো দেওয়া ব্লাউজের আরও একটি গুরুত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েরা যখন কাজ করতে শুরু করেন, ঢল নামে পথে, তখন তাঁরা এই ব্লাউজ পরেন। কমলা, অতএব, এরই মধ্য দিয়ে সেই নারীশক্তির প্রতি প্রতীকী শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়াস পেলেন।

আর সাদা? সে তো অধিকারপ্রাপ্তির রং। সেই রঙেরও শতবর্ষ এবার। কারণ, ১৯১৯ সালে ১৯তম সংশোধনীর কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা পেয়েছিলেন ভোটাধিকার। ভোটে জয়লাভের পর বিজয়মঞ্চে দাঁড়িয়ে নারীদের অর্জিত অধিকারকেই যেন তাঁর পোশাকের মধ্য দিয়ে অভিবাদন জানালেন ভারতীয় মা আর জ্যামাইকান বাবার আত্মজা কমলা হ্যারিস।

তাঁর সাদা পোশাকের সঙ্গী হয়েছে স্যামন পেটেন্ট পাম্প শু, সাদা মুক্তার দুল আর সিগনেচার ব্রেসলেট। কোটপিনে আমেরিকার পতাকা।
ঐতিহাসিক দিনে, ঐতিহাসিক উদযাপনে পোশাকের চমকে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন কমলা হ্যারিস।

সিগনেচার স্টাইলে
ছবি: রয়টার্স

কমলা হ্যারিস নতুন ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। ভেঙে দিয়েছেন চলমান ধারণা। বিশেষত পোশাকে। ফলে তাঁকে দেখা গেছে নানা সাজে। সবাই অবাক হয়েছেন। অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বাহ্বা দিয়েছেন। পুরো প্রচারণায় তিনি কী পরেছেন, তা চমৎকারভাবে পাওয়া যায় ‘হোয়াটকমলাওর’ নামের ওয়েবসাইট অনুসরণ করলে। এর বরাত দিয়ে বিভিন্ন দেশের দৈনিক আর সাময়িকপত্রগুলো দিয়েছে নানা ব্যাখ্যা।

হিল তিনি পরেছেন, তবে বেশি উঁচু নয়। বরং হিল বাদ দিয়ে তাঁকে স্বচ্ছন্দ বোধ হয়েছে স্নিকারে। তাঁর প্রিয় ব্র্যান্ড কনভার্স চাক টেলর অল-স্টারস। নানা রং আর স্টাইলের এই আটপৌরে জুতা তাঁকে পরতে দেখা গেছে; আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, পরেছেন তিনি নাইকির হাফডিজপড টপ, রানিং টাইস আর রোদচশমাও। কখনোবা এই জুতার সঙ্গে পরেছেন জ্যাকেট আর কালো জিনস।

প্রিয় চাক টেইলর কনভার্স স্নিকারে
ছবি: রয়টার্স

ফিলাডেলফিয়ায় তিনি যেমন পরেছেন ক্যাশমেয়ার কোট; স্লিম শিলুয়েট, ডাবল-ব্রেস্টেড, ফ্ল্যাপ পকেট, সঙ্গে, মার্টিঙ্গেল বেল্ট। বোতামও ম্যাক্সমারা সিগনেচার।
২ নভেম্বর প্রচারণার শেষ দিকে পেনসালভানিয়ায় কমলা ছিলেন কুইল্টেড কোটে। কালো জিনস, কালো মুক্তার নেকলেস আর লোরো পিয়ানা স্কার্ফে। তাঁর প্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর একটি লোরো পিয়ানা। লোরো পিয়ানার ক্যাজুয়াল জ্যাকেটে তিনি ঘুরেছেন নর্থ ক্যারোলাইনা আর গোল্ডসবরোতে। কমলা কখনো আবার পরেছেন বেসিক ইউটিলিটি কোট। সামনে জিপার দেওয়া, জিপ-আউট হুড, ড্র-স্ট্রিংসহ। এর সঙ্গী হয়েছে কালো টি-শার্ট ও চাক টেলর কনভার্স।

ডেট্রয়েট আর মিশিগানে তিনি দৃশ্যমান পি-কোট স্টাইলের জ্যাকেটে। রিবড ব্ল্যাক টার্টলনেক ব্লাউজের সঙ্গে কালো জিনস আর প্রাদার গোড়ালি ছোঁয়া বুটে। এর সামনেটা আবার গোল, যাকে বলে রাউন্ড টো। গয়না বলতে মার্কো বিসেগোর টিয়ারড্রপ স্টাড ইয়ারিং। আমরা বলি গুঁজি দেওয়া দুল।

মিশিগানে তিনি পরেন পি-কোট স্টাইলের জ্যাকেটে। রিবড ব্ল্যাক টার্টলনেক ব্লাউজের সঙ্গে কালো জিনস আর প্রাদার গোড়ালি ছোঁয়া বুটে
ছবি: রয়টার্স

বিভিন্ন সময়ে তিনি পরেছেন ডিজাইনার কালেকশন বা কোনো শীর্ষ ব্র্যান্ডের পোশাক। তাঁর পোশাকের রুচিতে একই সঙ্গে ফুটে উঠেছে আনুষ্ঠানিক ও আটপৌরে আভিজাত্য। যে পোশাকই পরেছেন, সেটাকে চমৎকারভাবে ক্যারি করেছেন। কখনোই মনে হয়নি চাপিয়ে দেওয়া কিছু। বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে পরতে দেখা গেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যান্ট-স্যুট। ক্যারোলিনা হেরেরা থেকে প্রবাল গুরুং হয়ে জোসেফ আলতুজাররাও পরেছেন। ওয়েস গর্ডনের মতো নিউইয়র্কের ডিজাইনার প্রবাল গুরুং ভারতীয়। তাঁর স্যুট কমলা পরেছেন গত বছরের গ্রীষ্মে, ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময়। এশীয় কিংবা অভিবাসী ডিজাইনাররাই তাঁকে বেশি আকৃষ্ট করে; হয়তো শিকড় তাঁকে হাতছানি দেয়।

প্যান্ট-স্যুট তিনি নিয়মিতই পরেছেন। এখানেও এক ইতিহাসকেই পুনর্ব্যক্ত করা যেন। সেই ১৮৭৪ সালে, ড্রেস রিফর্ম লিগের জাতীয় সম্মেলনে ট্রাউজারকে বেছে নেওয়া হয়। তবে তিনি আঙ্গেলা ম্যার্কেল কিংবা হিলারি ক্লিন্টনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেননি। বরং পরেছেন তাঁর মতো করে। ফলে তাঁর পোশাকে মিলেছে সমসময়ের আবেদন। হয়ে উঠেছেন ট্রেন্ডি। আর এই পোশাকে ফুটে ওঠা লিঙ্গনিরপেক্ষ স্মার্টনেসে কেবল তরুণেরাই নয়, বড়রাও ভক্ত হয়েছে।

উইলমিংটনে প্রথম রাতে
ছবি: রয়টার্স

তিন রাত এবং তিন স্যুট। এটাই সত্যি। কারণ, ভোটের পরদিন থেকে টানা তিন দিন তিনি উইলমিংটনে পরেছেন তিন রঙের স্যুট। বুধবার ৪ নভেম্বর পরেন মেরুন প্যান্ট-স্যুট আর ম্যাচিং সিল্ক টপ। অনুষঙ্গ ছিল সোনার বিডের হার আর বরাবরের মতো ব্রেসলেট। পরদিন কালো স্যুটের সঙ্গে কালো টপ আর কালো নেকলেস, মুক্তার। শুক্রবার রাতে নীল স্যুটের সঙ্গে ফুশিয়া ব্লাউজ, বো দেওয়া। দুল ছিল কালো, মুক্তার। প্যান্ট-স্যুটের কোট প্রতিটিই ছিল একক বোতামের। দুটি ফ্ল্যাট পকেটের সঙ্গে একটি ওয়েল্ট পকেট। আর সঙ্গে নচ ল্যাপেলস। এমনকি যত কোটই তিনি পরেছেন, সব একই প্যাটার্নের। সঙ্গের প্যান্টগুলো স্ট্রেইট। ফলে এই পোশাকও তাঁর সিগনেচার স্টাইলে পরিণত হয়েছে। ব্রেসলেট সব সময় থেকেছে হাতে।

ডেট্রয়েটে তাঁকে ধূসর প্যান্ট-স্যুটের সঙ্গে পরতে দেখা গেছে হারমিস কাওয়া ওরা শাল। ২০১৯ সালের বসন্ত-গ্রীষ্ম সংগ্রহের এই স্কার্ফের ডিজাইন করা আবার মাওরি শিল্পী রাঙ্গিতু রেতানের।

ডেট্রয়েটে প্যান্ট-স্যুটের সঙ্গে হারমিস কাওয়া ওরা শালে প্রোজ্জ্বল
ছবি: রয়টার্স

প্রগাঢ় রঙের প্রতি তাঁর অনুরাগ বেশ দেখা প্রচারণার পুরোটা সময়। কালো, নাবিক নীল, বারগেন্ডি, মেরুন, ধূসর। মিলিয়ে পরেছেন অন্য পোশাক আর অনুষঙ্গ। মুক্তা নজর কেড়েছে। তবে সোনার হারও ছিল। কখনো সে হারে ঝুলেছে চার্মস। প্রিয় ব্র্যান্ড ফাউন্ডারের। জুতা ছিল নানা ধরনের। মানোলো ব্লানিক পাম্প শু থেকে কনভার্স, টিম্বারল্যান্ড শু থেকে প্রাদা বুট।

প্রতি পদেই তিনি ছিলেন পরিপাটি। পারসনস স্কুল অব ডিজাইনের ফ্যাশন ডিজাইন স্টাডিজের অধ্যাপক ও ‘ফ্যাশন অ্যান্ড এভরিডে লাইভ: লন্ডন অ্যান্ড নিউইয়র্ক’ বইয়ের সহলেখক হ্যাজেল ক্লার্ক বলেছেন, ‘কমলার পায়ের নিচে যেন স্প্রিং লাগানো ছিল। তিনি প্রস্তুত ছিলেন যেন যেকোনো কিছুর জন্য। আমার মনে হয়েছে, তিনি যেটাই পরেছেন, সেটাতেই আরাম বোধ করেছেন।’

সবসময়ে পরিপাটি তিনি
ছবি: রয়টার্স

এভাবেই কমলা হ্যারিস জয় করেছেন মার্কিনদের এবং সারা বিশ্বের হৃদয়। কেবল পোশাকে নয়, কথাও মানুষ শুনেছেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো। তাই তো উদযাপন সন্ধ্যায় কমলা হ্যারিসের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ ছিল: আমি প্রথম, তা বলে শেষ নয়।

তথ্যসূত্র: হোয়াটকমলাওর, নিউইয়র্ক টাইমস, এল, ভোগ, হারপারবাজার, দ্য প্রিন্ট, ইনস্টাইল, রয়টার্স