১৯ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস
মডেল: আজিম উদ দৌলা, ছবি: সুমন ইউসুফ

পুরুষদের যেন দুঃখ পেতে নেই। দুঃখ পেলেও বলতে নেই। বললেও কাঁদতে নেই। সঙ্গোপনে দুঃখ পুষতে পুষতে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে যায় একেকজন পুরুষ। একসময় ঠিকই অগ্ন্যুৎপাত হয়। সেই সুতীব্র লাভা অন্যকে হয়তো পোড়ায় কিছুটা। কিন্তু পুরুষটাকে পুড়িয়ে করে নিঃশেষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ বলছে, অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের বড় ঘাতক আত্মহত্যা।

বাবা, ভাই, বন্ধু, প্রেমিক, স্বামী কিংবা পুত্র—সময় ও সম্পর্ক ভেদে তাঁরাই তো সবচেয়ে আপনজন। নির্ভরতার আশ্রয়। একইভাবে আপনিও তাঁদের জন্য তা–ই হয়ে উঠুন। তাঁরা যেন তাঁদের শোক-দুঃখ, হাহাকার-চিৎকার পরম মমতায় জমা রাখতে পারেন আপনার কাছে। গলা ছেড়ে কাঁদতে পারেন আপনাকে জড়িয়ে ধরে।

এ রকম ভাবনা থেকেই প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টমাস ওস্টার ধারণাটির জন্ম দেন এবং সে বছর ফেব্রুয়ারিতে এটি পালিত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অধ্যাপক জেরোম তিলক সিংয়ের প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির দিন ধার্য হয় ১৯ নভেম্বর। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—হেলপিং মেন অ্যান্ড বয়েজ—পুরুষ ও ছেলেদের সাহায্য করো।

আজকের দিনটি বিশেষভাবে পালন করতে পারেন। প্রিয় পুরুষদের দিতে পারেন প্রিয় কোনো উপহার। ঘরে বা বাইরে এক বেলা দারুণ খাবারের আয়োজন করা যায়। একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। ঘুরতে গেলেও মন্দ হয় না। নিদেনপক্ষে জীবনের সেরা পুরুষকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দু-চার লাইন লিখতে পারেন।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে