পঞ্চগড়ের মানুষ হিসেবে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপে প্রথম মুগ্ধ হই বছর পাঁচেক আগে। সে মুগ্ধতা দিন দিন যেন বেড়েই চলে। সাধারণত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। ১০ নভেম্বরের আবহাওয়া ছিল এমনই পরিষ্কার।
আমরা ভোররাত চারটায় পঞ্চগড় থেকে দলেবলে বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান। উদ্দেশ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন হলেও প্রস্তুতি ছিল ছবি তোলার। অবশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তোলার জন্য এভাবে বেরিয়ে পড়া নতুন নয়। গত কয়েক বছর এ সময়ে কতবার যে মধ্যরাতে বাড়ি ছেড়েছি! এ জন্য অপার মুগ্ধতা। তেঁতুলিয়ায় পৌঁছে কখনো রাত কেটে যায় এশিয়ান হাইওয়ের পাশে, কখনো ডাকবাংলোয়। এবার ভোরের আলো ফুটলে আমরা পৌঁছাই তেঁতুলিয়ার শালবাহানে।
সেই ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা তার রূপ মেলে ধরল! মুগ্ধতায় বসে না থেকে ছবিও তুললাম। ততক্ষণে সকাল সাতটা। হঠাৎ দেখি একজন বাবা তার দুই সন্তানকে বাইসাইকেলে নিয়ে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দিকে অবশ্য বেশিক্ষণ মনোযোগ দেওয়ার সময় পেলাম না। আমি সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরা তাক করলাম। সবুজ পথ, সাইকেলে আদরের সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছেন বাবা, দূরে রক্তিম কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া।