ভূত আর লক্ষ তারার গল্প

ফাতিমা জাহান একাকী ভ্রমণ করেন বিভিন্ন দেশের আনাচকানাচ। ইতিহাস এবং প্রকৃতি দুই তাঁকে সমানভাবে আকর্ষণ করে। ‘সলো ট্রাভেলার’ ফাতিমা জাহানের লেখায় ধরা পরে বিভিন্ন জনপদের আশ্চর্যসব গল্প।

বাঁ পাশে ওই দূরে শহরের গা ঘেঁষে পাহাড়, পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে প্রাচীন বাড়িঘর, মন্দির খোদাই করা। জায়গাটার নাম কায়াকোয়, কাল যাব দেখতে। দোকানপাট দেখতে দেখতে ফিসমার্কেট এসে গেল। ভেবেছিলাম মাছের বাজার হবে। এটা একটা আধুনিক বাজার এবং মাছও আছে এক পাশে, সঙ্গে আছে সবজি, ফল, শুকনা ফল, বেকারি আইটেম—আরও কত কী! বাজারের মাঝখানে খোলা আকাশের নিচে গাছের ছায়ায় টেবিল–চেয়ার পাতা। এত ছিমছাম, সুন্দর রেস্তোরাঁ আমি বড় শহরেও দেখিনি। এ শহরে প্রাণ আছে আর তা চোখের সামনে ভেসে ভেসে খুশির বার্তা বিলায়, এ শহরের মানুষ প্রাণ খুলে কথা বলে আর হাসে। সুখী মানুষ দেখতে এমনই হয়।

কায়াকোয় নগর স্থাপিত খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় পাঁচ শ বছর পূর্বে
ছবি: লেখক

রেস্তোরাঁর টেবিলগুলো প্রায় ভরে গিয়েছিল। আমি ছোট একটা টেবিলে জায়গা দখল করে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখছিলাম।        

ফিসমার্কেটে এসেছি, মাছ তো খাবই। দোকানের সামনে ডিসপ্লেতে তাজা এবং বরফ দেওয়া হরেক মাছ, যার যেটা ইচ্ছা নিয়ে রন্ধনপ্রণালি শেফকে জানালেই তিনি রেঁধে দেবেন। একটা সামুদ্রিক মাছ অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম।

ইফতারের আগে সন্ধ্যা যেন নরম গাঁদা ফুলের রং মাখিয়ে যাচ্ছে চারদিকে। খোলা আকাশের নিচে পাতা টেবিল-চেয়ারে মুখরিত নারী–পুরুষ, তাঁদের পরনে আধুনিক পোশাক, মুখে সুখের ঝলক। আদ্যোপান্ত সুখী একটি জনপদ।

দোকানের সামনে ডিসপ্লেতে তাজা এবং বরফ দেওয়া হরেক মাছ, ফেথিয়ে শহরের মাছের বাজার
ছবি: লেখক

পরদিন এসিনের ছাদে ব্রেকফাস্ট করে চললাম কায়াকোয় জনপদ দেখতে। এসিন বলেছে ট্যাক্সি করে যাওয়াটাই ভালো হবে। একটি ট্যাক্সি রাস্তা থেকে ডেকে চড়ে বসলাম।

ট্যাক্সিচালকের নাম নাহুয়েল। ফেথিয়ে থেকে কায়াকোয়ের দূরত্ব আট কিলোমিটার। হেঁটেই পারি দেওয়া যায়। আমার হাতে সময় কম, আরও দুই জায়গায় যেতে হবে। ফিরে এসে এসিনের সঙ্গে আড্ডার লোভও সামলাতে পারছিলাম না।

সপ্রতিভ ট্যাক্সিচালক আপন মনে কথা বলে যাচ্ছিলেন। বেশ ভালো ইংরেজি জানেন। বয়স হবে পঞ্চাশ। নিজে থেকেই কায়াকোয়র গল্প করা শুরু করলেন যে এই নগরী একসময় গ্রিক জনপদ ছিল। পরে বাইজেন্টাইন, অটোমান শাসনামলেও এরা টিকে ছিল কিন্তু তুর্কি স্বাধীন হওয়ার পর গ্রিকরা শহরটি খালি করে চলে যায়। তখন থেকে ভূতের খুব উৎপাত দেখা দিয়েছে। খালি, বিরান, শুষ্ক পাহাড়ি নগরে নাকি ভূতেরা মানুষ তাড়িয়ে বেড়ায়। কখনো কানে কানে কথা বলে, গায়ে বাতাসের ঝাপটা দিয়ে যায়। আবার দেখাও দেয় নাকি।

একদম জনমানবশূন্য জায়গা। ভূত আসবেই ভয় দেখাতে, কায়াকোয়
ছবি: লেখক

আমাকে নাহুয়েল বলল, ‘তুমি একা পাহাড়ের ওপরে উঠে যেয়ো না আবার। একদম জনমানবশূন্য জায়গা। ভূত আসবেই ভয় দেখাতে। আমি তোমাকে নিয়ে যাব।’ নাহুয়েলের সরলতা খুব ভালো লাগল। বললাম, ‘আমি তো একাই যেতে চাই, ভূতদের সঙ্গে মিটিং করতে হবে যে! তাদের দাবিদাওয়ার কথা আমি না শুনলে কে শুনবে!’
নাহুয়েল কায়াকোয় পৌঁছে গাড়ি পার্ক করে রেখে আরেকবার বোঝাতে চাইল যে আমার একা যাওয়া ঠিক নয়।

নাহুয়েলকে না নিয়েই চললাম কায়াকোয় রাজ্যজয় করতে।

খানিক সিঁড়ি আবার সমতল, আবার পাহাড় বেয়ে ওঠা। আশপাশে জনমানুষের চিহ্নটি নেই যত দূর চোখ যায়। পাথরের তৈরি নীরব নগরী যেন। পথঘাট পাথরের বড়–ছোট টুকরা দিয়ে বাঁধানো। ঘরবাড়িও পাথরের তৈরি। কালের ঘেরাটোপে পড়ে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি পাহাড়ের নিচের দিকের ঘরগুলো। বাঁ পাশের গলি বরাবর ঢুকে গেলাম। সেখানে মিলল প্রাচীন গ্রিক উপাসনালয়। এটি খ্রিষ্টপূর্ব তিন শ সালে স্থাপিত হয়েছিল। ছাদ–দেয়াল এখনো অক্ষত। পাহাড়ের নিচে উপাসনালয়টি ছাড়া আরও কয়েকটি ঘরবাড়ি রয়েছে, যার সবই ভগ্নপ্রায়। পাথরের তিনটি বা দুটি দেয়াল কোনো রকমে দাঁড়িয়ে থেকে বলে চলেছে, আমরাও একসময় জীবন্ত ছিলাম। এসে শুনে যাও আমাদের উপাখ্যান।

প্রাচীন গ্রিক উপাসনালয়। এটি খ্রিষ্টপূর্ব তিন শ সালে স্থাপিত হয়েছিল
ছবি: লেখক

বলা হয়ে থাকে, কায়াকোয় নগর স্থাপিত খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় পাঁচ শ বছর পূর্বে। তবে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এরপর নগরটি গ্রিক নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কালের তরঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন গ্রিক থেকে বাইজেন্টাইন গ্রিক ও শেষে আধুনিক গ্রিক নগরী পর্যন্ত মানুষের বসবাস ছিল এ নগরীতে। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত এ নগর মুখরিত ছিল দৈনন্দিন কর্মচাঞ্চল্যে। মূলত গ্রিক খ্রিষ্টানরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিল এই সমুদ্রঘেরা শান্ত পর্বতমালার ভাঁজে ভাঁজে।

গোলমালটা বাধল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। অটোমান সম্রাটের নির্দেশে আক্রমণ করা হলো তুর্কি গ্রিকদের ওপর। কারণ, সে সময় রাজনৈতিক কোন্দল চলছিল অটোমান আর গ্রিক সাম্রাজ্যের মধ্যে। বেধে যায় যুদ্ধ, যাকে বলা হয় গ্রিক-তুর্কি যুদ্ধ (১৯১৯-২২)। হাজার হাজার গ্রিক কায়াকোয়বাসীকে হত্যা করা হয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেই চার বছর (১৯১৪-১৮) অনেক অধিবাসী কায়াকোয় ছেড়ে উদ্বাস্তু হিসেবে গ্রিসে চলে যায়। মুখরিত জনপদ হারিয়ে ফেলে তার সুর, শূন্য হতে থাকে নগরী।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চার বছরে অনেক অধিবাসী কায়াকোয় ছেড়ে উদ্বাস্তু হিসেবে গ্রিসে চলে যায়, কায়াকোয়
ছবি: লেখক

১৯২৩ সালে তুরস্ক গ্রিসের সঙ্গে একটি বিনিময় চুক্তি করে। কায়াকোয়বাসী গ্রিকদের বদলে গ্রিসে অবস্থানরত তুর্কিভাষী মুসলমানদের এ দেশ থেকে ও দেশে বদলাবদলি। প্রায় কুড়ি হাজার গ্রিক খ্রিষ্টান চলে যায় গ্রিসে এই জনপদ খালি করে, আপন জন্মভূমিকে পেছনে ফেলে। আর তুর্কিভাষী মুসলমান, যারা গ্রিসে হাজার বছর ধরে বসবাসরত, তাদের আনা হয় তুরস্কে। কোনো দেশের নাগরিকই এই অভিবাসন পদ্ধতিতে খুশি ছিল না। তবে এ ছাড়া তাদের উপায়ও ছিল না।

তখন থেকেই এই জনপদকে ভূতের শহর নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ, তখন থেকেই জনমানবহীন হয়ে পড়ে রয়েছে এ নগরী।

শুকনা পাহাড়ে কাঁটাঝোপ ফুল ফুটিয়েছে বেগুনি রঙের, এ ছাড়া বড় আকারের কয়েকটি পাইনগাছ, সঙ্গে অল্প কিছু ডালিমগাছ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, যেন কারও অপেক্ষায়। চারদিকে শূন্য–শুষ্ক বাতাস হু হু করে সমুদ্রের মতো গর্জন তুলে যাচ্ছে। আশপাশে যত দূর চোখ যায় সারি সারি পাহাড়ের গায়ে ভগ্নপ্রায় বাড়িঘর আজ যেন মনুষ্যজাতিকে ডাকছে তাদের সঙ্গী হতে—একাকীত্ব সম্ভবত প্রকৃতির সবচেয়ে বেশি অসহ্য বোধ হয়।

কায়াকোয়–সারি সারি পাহাড়ের গায়ে ভগ্নপ্রায় বাড়িঘর আজ যেন মনুষ্যজাতিকে ডাকছে তাদের সঙ্গী হতে
ছবি: লেখক

আমি ধীরে ধীরে পাহাড়ের গায়ে গায়ে চলে যাওয়া পথের নিশানা দেখে ওপরের দিকে উঠতে লাগলাম। যত ওপরে যাই, নিচের জগৎ ততই হু হু করতে থাকা সাত আসমানের জিকিররত একাকী ফেরেশতা বলে ভ্রম হয়।

ভূত দেখতে এসেছি আর মনে মনে ভাবছি, এই বুঝি দেখা পাব। কেউ কানে কানে সাবধানবাণী শুনিয়ে যাবে বা কাছে ডাকবে। তার কাছে যেতে যেতে পৌঁছে যাব আরেকটি অচিন নগরে, যেখানে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ঝপ করে পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। আর আমি চোখ মেলে দেখব একটি নতুন জায়গায় এসে পড়েছি। কাউকে চিনি না, সব অপরিচিত। কিন্তু এরা আমাকে চায়, এদের মতো করে ভূত বানিয়ে রাজ্যে রেখে দিতে চায়।

ধুর কী যে আবোলতাবোল ভাবছি! আসলে ভূত দেখার নেশা মাথায় চেপে বসেছে। আর এখন পাহাড়ের চূড়ার কাছাকাছি এসে গেছি। চারদিকে গ্রীষ্মের হলুদাভ সবুজ ঘাস, লতা–গুল্ম। ধূসর আধখাওয়া বাড়িঘর, ভূতেরই খাওয়া হবে, বেগুনি কাঁটাঝোপের ফুলগুলোকে মনে হচ্ছে ভূতের চোখ আর নিজেকেই মনে হচ্ছে ভূত হয়ে যাওয়া গত জন্মের কোনো আত্মা৷ কারণ, এই মুহূর্তে আশপাশে কেউ নেই। পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে গেলেও কেউ টের পাবে না।

টুম্ব অফ আমিনটাস
ছবি: লেখক

ভূত নামমাত্র না দেখতে পেয়ে চললাম ‘টুম্ব অব আমিনটাস’ দেখতে, কায়াকোয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান। ম্যাপ বলে, যেখানে আছি তার বাঁ দিকের পথ ধরে চড়াই–উতরাই পেরোলেই পাওয়া যাবে। ১০ মিনিটের মধ্যে দেখা মিলল। তবে আরও আশ্চর্যের ব্যাপার যে ভূত না দেখা গেলেও এখানে দেখা মিলল মানুষের। দুজন ইউরোপিয়ান ছেলেমেয়ে ছবি তুলছে একে অন্যের। ভূত নিশ্চয়ই ছবি তুলতে আসবে না এই পর্বতচূড়ায়। একজনকে তো দেখলাম একেবারে টুম্বের মাথার স্তম্ভ ধরে ঝুলতে ঝুলতে ছবি তুলতে।

আরও পড়ুন

আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০ সালে টুম্ব অব আমিনটাস নির্মাণ করা হয় সমাধিসৌধ হিসেবে। মূল দরজাটি ক্ল্যাসিক্যাল নকশায় তৈরি৷ কয়েকটি স্তম্ভ, তার ওপরে ত্রিভুজাকৃতির ছাদ।

পাশে পাথরের পাহাড় কেটে কেটে খুপরির মতো ওপরে নিচে অনেকগুলো দরজা, আসলে সেগুলোও কবরে ঢোকার প্রবেশপথ।

এখানে দাঁড়িয়ে নিচে ভূমধ্যসাগরের তীরের ফেথিয়ে শহর আরও ভালোভাবে দেখা যায়। এসিনের হোটেলে আমার রুম থেকে যেমন এই সমাধিসৌধ দেখা যায়, তেমনি এখান থেকেও হোটেল দেখা যাবে একটু কসরত করলেই। অথবা যদি সত্যিই কেউ অপেক্ষায় থাকে, তবে এপাশ থেকে চিৎকার দিয়ে জানান দেওয়া যায় যে আমি আছি তোমার অপেক্ষায়। পথ অপেক্ষায় থাকে আরেক পথের, গ্রীষ্মের বাতাস অপেক্ষায় থাকে বসন্তের বাতাসের আর মানুষ অপেক্ষায় থাকে মানুষের। এই সব কবরের মানুষের অপেক্ষায় কেই–বা আছে! দেশান্তরিত পরবর্তী প্রজন্ম কি মনে রাখে কাউকে, নাকি আমরা ভ্রমণার্থীরাই হয়ে যাই চিরচেনা, আপনজন।

পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে নিচে ভূমধ্যসাগরের তীরের ফেথিয়ে শহর আরও ভালোভাবে দেখা যায়
ছবি: লেখক

পাহাড় থেকে নিচে নেমে দেখি নাহুয়েল অপেক্ষা করছেন। আমরা চললাম পিচঢালা পথ ধরে পাহাড়ের ওপরে ফেথিয়ে শহরের রূপ দেখতে।

রূপ তো নয় যেন মোহ! ফেথিয়ে শহর তার আত্মার পসরা সাজিয়ে রেখেছে এই সাগরপাড়ে। সাগরের নীল জল, তীরে বেঁধে রাখা সাদা পানসি, সমানতালে গড়ে ওঠা সারিবদ্ধ আবাসস্থল আর এগুলো পার হলেই সবুজ হলুদের লুকোচুরিতে মত্ত বনভূমি আর পর্বতমালা। এ মোহের টানে যাযাবর প্রাণও হয়ে যেতে পারে গৃহী।

এ রকম এক মধ্যদুপুরে ফেথিয়ে ঘোর লাগিয়ে দিল আমার প্রাণে। আমার মতো যাযাবরকে যে বাঁধতে পারে সে শহর সাধারণ শহর নয়, অসীম তার সত্তা।
হোটেলে ফিরে না গিয়ে আগে গেলাম ফিসমার্কেটে। একটু ঘুরেফিরে চললাম হোটেলের দিকে। আজ আর অন্যকিছুতে মনোযোগ নেই। আমার মন পড়ে আছে এসিনের কাছে। কাল চলে যাচ্ছি শহর ছেড়ে। হয়তোবা এসিনের সঙ্গে আর দেখা হবে না, হয়তোবা হবে।

ফেথিয়ে শহরে লেখক
ছবি: সংগৃহীত

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হোটেলে গেলাম। এসিন রিসেপশনেই ছিল।

আমরা বসে পড়লাম আড্ডায়। এসিনের হোটেলের ছাদে একটা সুইমিংপুল আছে। আমরা তার পাশে বসলাম। এসিন এল স্ন্যাকস নিয়ে। আকাশ ভরে রয়েছে তারায়। যেন ফুল ফুটিয়েছে কেউ সুবাস ছড়ানোর জন্য আকাশ থেকে।

যেন অসমবয়সী দুজন বন্ধুর দেখা বহুদিন বাদে, যেন এই বহুদিনের সব কথা সারতে হবে একটি সন্ধ্যার মধ্যে, যেন অবারিত বাতাসে পরিদের গল্প বলতে খোদা আমার কাছে পাঠিয়েছেন এসিনকে। আমি বলি আমার যাযাবর জীবনের গল্প, এসিন বলে তার শৈশব–কৈশোর আর যৌবনের গল্প। যেন আমাদের গল্পেই রাতের আকাশে তারারা ফোটায় অযুত নিযুত লক্ষ গল্প।

ওলুদেনিয সমুদ্রসৈকত
ছবি: লেখক
ওলুদেনিয সমুদ্রসৈকত
ছবি: লেখক
ফেথিয়ে শহরের মসজিদ
ছবি: লেখক
ফেথিয়ে শহরের বাজার
ছবি: লেখক
ফেথিয়ে শহর
ছবি: লেখক
ফেথিয়ে শহর
ছবি: লেখক