কম খরচে ভ্রমণ করার ৬ পরামর্শ

ভ্রমণ কিংবা অবকাশযাপনের জন্য অর্থ সাশ্রয় করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো সঠিক পরিকল্পনা। ফ্লাইট, হোটেল থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা থাকলে আপনি দিন শেষে লাভবানই হবেন। বিশেষ করে ‘সেরা ডিল’ পেতে সাহায্য করবে এটা।

ব্যয়বহুল হোটেলে থাকার বদলে এমন কোনো জায়গা খুঁজে বের করুন, যেখানে কম খরচে সেরা সুবিধা পাবেন। পাঁচ তারকা হোটেলের বিলাসিতা ছেড়ে সাশ্রয়ী কোনো হোটেলে সেরা সেবা পাওয়া গেলে লুফে নিন। এতে যেমন খরচ অনেকটাই কমে আসবে, তেমনি ভ্রমণকালে নিজের বা পরিবারের আনন্দের জন্য আরও কিছু পরিমাণ বাজেট বেঁচে থাকবে।

দেশ কিংবা দেশের বাইরে, ভ্রমণের জন্য যেখানেই যান না কেন, ট্যাক্সি কিংবা ভাড়া করা গাড়ি সব জায়গাতেই ব্যয়বহুল। বরং সেই শহরের বাস, ট্রেন কিংবা পাতালরেলের মতো গণপরিবহন ব্যবহার করুন। এতে যেমন ভ্রমণ খরচ কমবে, তেমনই শহরের সৌন্দর্য ও স্থানীয় মানুষজনের জীবন আরও কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন।

পিক সিজন হলো বছরের এমন সময়, যখন ভ্রমণের খরচ থাকে সর্বোচ্চ। বিশেষ করে শীতের সময় পাহাড় বা সমুদ্রসৈকতে মানুষের ভিড় থাকে প্রচুর। যে কারণে সেখানকার হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ—সব জায়গাতেই সাধারণ কোনো পণ্যও বিক্রি হয় অতি উচ্চমূল্যে। তাই সম্ভব হলে অফ-সিজনে ভ্রমণের চেষ্টা করুন, তখন হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ—সব জায়গাতেই পণ্যের দাম বেশ কম থাকে। ভিড় এড়ানো কিংবা অর্থ সঞ্চয়—দুই ক্ষেত্রেই বেশ উপকারী অফ-সিজনে ভ্রমণ।

বিভিন্ন ট্রাভেল ওয়েবসাইটে নিয়মিতই বড়সড় ছাড়ের অফার পাওয়া যায়। বিশেষ করে অফ সিজনে যখন ভ্রমণার্থীর বেশ অভাব থাকে। সেসবের দিকে নজর রাখুন। শুধু তা–ই নয়, এয়ারলাইনস, হোটেল এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থাগুলোর দিকেও নিয়মিত নজর রাখুন। কারণ, যেকোনো সময় বিশাল ছাড়ের অফার আসতে পারে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করবেন না।

ভ্রমণ পরিকল্পনা সব সময় সপ্তাহের শেষেই করতে হবে, এমন নয়। বেশির ভাগ সময় সপ্তাহের শেষে ভ্রমণের স্থানগুলোতে বেশ ভিড় থাকে। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহের মাঝামাঝি ভ্রমণ হতে পারে ভালো সমাধান। সপ্তাহান্তের চেয়ে সপ্তাহের মাঝে সবকিছুর দামও বেশ কম থাকে।