একনজরে আইইউটি
গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে লাল লাল ইটের ভবন, দেখে না তাকিয়ে উপায় নেই। এটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ক্যাম্পাস।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি হলেও আইইউটিতে চ্যান্সেলর হন ওআইসির মহাসচিব, এখন যেমন ব্রাহিম তাহা। দেশের নানা প্রান্ত তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি দেশ থেকেও এখানে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসজীবনের বৈচিত্র্যটাও তাই চোখে পড়ার মতো।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন থেকে শুরু করে খেলাধুলা, নানা কারণেই দেশ–বিদেশে আইইউটির শিক্ষার্থীদের সুনাম আছে। রোবোটিকসে যেমন আইইউটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘প্রজেক্ট আলতাইর’ নামে শিক্ষার্থীদের একটি কার্যক্রম। অনির্বাণ ও অভিযাত্রী—রোবোটিকস চর্চার দুটি দল এক হয়ে মূলত আলতাইর শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বের ২৫টি দলের মধ্যে আলতাইর হয়েছিল ১৭তম। এ মাসের শেষ সপ্তাহেও তারা অংশ নেবে ইন্টারন্যাশনাল রোভার চ্যালেঞ্জে।
কর্মক্ষেত্রেও সুনাম ধরে রেখেছেন আইইউটির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ও টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই বিশ্বের নামীদামি প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৭৬৩ শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ১৪৬ শিক্ষক। আইইউটিতে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, পুরকৌশল ও পরিবেশকৌশলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া বেশ কিছু প্রশিক্ষণ প্রকল্প ও ডিপ্লোমা কোর্সও চালু আছে।